সিলেটে দুর্দিন কাটছে না চা শ্রমিকদের
- Update Time : ০৬:২১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪
- / ২৬ Time View
মূলধারার জনগোষ্ঠী থেকে তুলনামুলক পিছিয়ে চা শ্রমিকরা। এ জন্য চা শ্রমিকরা থাকেন না চোখের সামনে। শতবর্ষ ধরে তারা কঠোর পরিশ্রম করলেও তাদের শ্রমের ন্যায্য মজুরি ও মৌলিক অধিকার থাকে অনিশ্চিত। নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য বারবার আন্দোলন করেও ন্যায্য অধিকার পায়নি। দুর্দিন যেন কাটছেই না চা বাগান শ্রমিকদের।
সিলেটে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ন্যাশনাল টি কোম্পানির অধীনে থাকা ১২ চা বাগানের শ্রমিকদের বেতন বন্ধ দীর্ঘদিস থেকে। কবে নাগাদ দেয়া হবে তাও জানা নেই কারো। বাগানগুলোর শ্রমিকরা গেলো আড়াই মাস যাবত মানবেতর জীবন পার করছেন। অনেকেই দিন গুনছেন কবে স্বাভাবিক হবে বাগানের কার্যক্রম। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন কেউ কেউ। তবে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহমুদ হাসান জানান, তহবিল না থাকায়, তৈরি হয়েছে এই সংকট। তার দাবি, একমাসের বেশি সময় ধরে শ্রমিকরা কাজে না যাওয়ায় এরইমধ্যে ক্ষতি হয়েছে ৩০ কোটি টাকা।
সিলেটের লাক্কাতুরা মাজলাইনের চা শ্রমিক স্বরসতী লোহার জানান, অনেক কষ্টে জীবনযাপন করলাম। তবুও একদিন খাই একদিন না খেয়ে ঘুমাই। আমাদের তো কিছু না, কিন্তু বাচ্চা-কাচ্চাদের কয়দিন না খাওয়ায়ে রাখব। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালি কার্যকরী পরিষদের সভাপতি রাজু গোয়ালা জানান, সরকার পদক্ষেপ নিলে এটার সমাধান করা সম্ভব। কিন্তু কেন করছেন না এটা আমি জানি না। আমি আবারো অনুরোধ করব কোম্পানি ও সরকারের কাছে যাতে দ্রুত বাগানগুলো চালু করার ব্যবস্থা করা হয়।
সিলেট বিভাগের ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১২ চা বাগানের প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক পরিবারের জীবিকার লড়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। ৬ সপ্তাহের উপরে তলব রেশন বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন কাটছে তাদের। আর্থিক সংকটের কারণে ন্যাশনাল টি কোম্পানি শ্রমিকদের সাপ্তাহিক মজুরি ও রেশন দিতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে শ্রমিক পরিবারের মধ্যে চরম হতাশা ও অস্থিরতা চলছে।
নওরোজ/এসএইচ
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়