ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটের সাবেক মেয়রসহ ৯০ জনের নামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট
  • Update Time : ০৫:৩২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৬ Time View

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অপসারিত মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল আলম নাদেল, হাবিবুর রহমান ও রঞ্জিত সরকার এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস কায়েস চৌধুরীসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মহানগরের তোপখানা সুরমা ভ্যালি ১৩৬-এর বাসিন্দা রাশেদ আহমদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসিকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী রিপন চন্দ্র দাশ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৯০ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আইনজীবী রিপন চন্দ্র দাশ জানান, মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, রঞ্জিত সরকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের এপিএস কায়েছ চৌধুরী, সিলেট মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি, এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকার আব্দুল হাফিজের পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ওরফে পাথর শামীমসহ ৯০ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার পতরেন দিন (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মহানবগরের সুরমা মার্কেট ও কিন ব্রিজ এলাকায় ১নং আসামি মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে বন্দুক, কাটা রাইফেল, ককটেল, রামদা, লাঠি ও লোহার রডসহ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসামিরা অবস্থান করছিলেন।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন ভিকটিমসহ অন্যরা। উল্লিখিত স্থানে শোভাযাত্রাটি আসামাত্র গুলিবর্ষণ করতে থাকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীরা। এতে ভিকটিম তথা মামলার বাদী রাশেদ আহমদ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।

এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে অপর আসামিরা তাকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাশেদ বর্তমানে পঙ্গুত্ব বরণ করতে যাচ্ছেন। তিনি এখনো ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।তিনি মানবেতর জীবন কাটতে হচ্ছে।তিনি রাষ্ট্রের কাছে সুবিচার দাবী করেন।

নওরোজ/এসএইচ

Please Share This Post in Your Social Media

সিলেটের সাবেক মেয়রসহ ৯০ জনের নামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা

মো. মুহিবুর রহমান, সিলেট
Update Time : ০৫:৩২:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৪

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের অপসারিত মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল আলম নাদেল, হাবিবুর রহমান ও রঞ্জিত সরকার এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এপিএস কায়েস চৌধুরীসহ ৯০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।

বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মহানগরের তোপখানা সুরমা ভ্যালি ১৩৬-এর বাসিন্দা রাশেদ আহমদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেন মামলাটি আমলে নিয়ে কোতোয়ালি থানার ওসিকে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী রিপন চন্দ্র দাশ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলায় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ৯০ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০০/৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আইনজীবী রিপন চন্দ্র দাশ জানান, মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন- সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, রঞ্জিত সরকার, হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের এপিএস কায়েছ চৌধুরী, সিলেট মহানগর যুবলীগের আহবায়ক আলম খান মুক্তি, এয়ারপোর্ট থানার বড়শালা এলাকার আব্দুল হাফিজের পুত্র আওয়ামী লীগ নেতা জাকির হোসেন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম ওরফে পাথর শামীমসহ ৯০ জন। এছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনার পতরেন দিন (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মহানবগরের সুরমা মার্কেট ও কিন ব্রিজ এলাকায় ১নং আসামি মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে বন্দুক, কাটা রাইফেল, ককটেল, রামদা, লাঠি ও লোহার রডসহ অবৈধ অস্ত্র নিয়ে আসামিরা অবস্থান করছিলেন।

এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে একটি মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা বের করেন ভিকটিমসহ অন্যরা। উল্লিখিত স্থানে শোভাযাত্রাটি আসামাত্র গুলিবর্ষণ করতে থাকে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন সন্ত্রাসীরা। এতে ভিকটিম তথা মামলার বাদী রাশেদ আহমদ পায়ে গুলিবিদ্ধ হন।

এ সময় তিনি মাটিতে পড়ে গেলে অপর আসামিরা তাকে উপর্যুপরি কোপাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় পথচারীরা উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাশেদ বর্তমানে পঙ্গুত্ব বরণ করতে যাচ্ছেন। তিনি এখনো ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।তিনি মানবেতর জীবন কাটতে হচ্ছে।তিনি রাষ্ট্রের কাছে সুবিচার দাবী করেন।

নওরোজ/এসএইচ