ঢাকা ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিগারেটের দাম নিয়ে দুঃসংবাদ

জাতীয়
  • Update Time : ০৫:০০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
  • / ১৫০ Time View

বাংলাদেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা ও স্বল্পমূল্যের কারণে তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে, যা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন তরুণ চিকিৎসকরা। তাদের মতে, সিগারেটকে যদি সবার নাগালের বাইরে না নেওয়া হয়, তবে ধূমপান রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ কারণে তারা আসন্ন বাজেটে সিগারেটের মূল্য বাড়ানো ও কর কাঠামো সরল করার দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।

তরুণ চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে সিগারেটের চারটি মূল্যস্তর (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের দামের ব্যবধান খুবই কম, ফলে ধূমপায়ীরা সহজেই এক স্তর থেকে অন্য স্তরে চলে যেতে পারেন। তারা প্রস্তাব দেন—নিম্ন ও মধ্যম স্তর একত্র করে প্রতি ১০ শলাকার সিগারেটের দাম কমপক্ষে ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, উচ্চ স্তরের দাম ১৪০ টাকা অপরিবর্তিত রেখে প্রিমিয়াম স্তরের দাম ১৯০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেন।

প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের ফারজানা রহমান মুন বলেন, “সিগারেট সস্তা হলে তরুণেরা সহজেই এতে আসক্ত হয়ে পড়ে। কর কাঠামো ঠিক রেখে দাম বাড়ালে অন্তত ২৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন এবং প্রায় ১৭ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু রোধ সম্ভব।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল জানান, “তামাক খাত থেকে যত রাজস্ব আসে, তা তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয়ের মাত্র ৭৫ শতাংশ পূরণ করে। কার্যকর কর নীতি বাস্তবায়ন করলে এই রাজস্ব ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।”

Please Share This Post in Your Social Media

সিগারেটের দাম নিয়ে দুঃসংবাদ

জাতীয়
Update Time : ০৫:০০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

বাংলাদেশে সিগারেটের সহজলভ্যতা ও স্বল্পমূল্যের কারণে তরুণদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা ক্রমশ বেড়ে চলেছে, যা উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন তরুণ চিকিৎসকরা। তাদের মতে, সিগারেটকে যদি সবার নাগালের বাইরে না নেওয়া হয়, তবে ধূমপান রোধ করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ কারণে তারা আসন্ন বাজেটে সিগারেটের মূল্য বাড়ানো ও কর কাঠামো সরল করার দাবি জানিয়েছেন।

শনিবার (১০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা বলেন।

তরুণ চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে সিগারেটের চারটি মূল্যস্তর (নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম) রয়েছে। এর মধ্যে নিম্ন ও মধ্যম স্তরের দামের ব্যবধান খুবই কম, ফলে ধূমপায়ীরা সহজেই এক স্তর থেকে অন্য স্তরে চলে যেতে পারেন। তারা প্রস্তাব দেন—নিম্ন ও মধ্যম স্তর একত্র করে প্রতি ১০ শলাকার সিগারেটের দাম কমপক্ষে ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, উচ্চ স্তরের দাম ১৪০ টাকা অপরিবর্তিত রেখে প্রিমিয়াম স্তরের দাম ১৯০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেন।

প্ল্যাটফর্ম ডক্টরস ফাউন্ডেশনের ফারজানা রহমান মুন বলেন, “সিগারেট সস্তা হলে তরুণেরা সহজেই এতে আসক্ত হয়ে পড়ে। কর কাঠামো ঠিক রেখে দাম বাড়ালে অন্তত ২৪ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপান ত্যাগ করতে পারেন এবং প্রায় ১৭ লাখ মানুষের অকালমৃত্যু রোধ সম্ভব।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. শাফিউন নাহিন শিমুল জানান, “তামাক খাত থেকে যত রাজস্ব আসে, তা তামাকজনিত রোগের চিকিৎসা ব্যয়ের মাত্র ৭৫ শতাংশ পূরণ করে। কার্যকর কর নীতি বাস্তবায়ন করলে এই রাজস্ব ৪৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো সম্ভব।”