ঢাকা ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যূত্থানে শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত স্বৈরাচার পতনে ক্রীড়ানকের ভুমিকা পালন করে আবু সাঈদের মৃত্যু পূর্বাচলে ঘোড়ার মাংসসহ আটক ১ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে গবেষণা খাতে কুবির এক শিক্ষক ও এক কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণ সেনা কর্মকর্তা সেজে প্রতারণা, ভুয়া ‘মেজর’ আটক মগবাজারে আবাসিক হোটেলে স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের রহস্যজনক মৃত্যু ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা, ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৪:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ৯২ Time View

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। আগামী রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্ট। মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এদিকে, এ রায়ের প্রতিবাদে ওইদিনই আদালতের সামনেই বিক্ষোভ করেন নিয়োগ বঞ্চিতরা। এ সময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে স্লোগান, আদালতের দরজায় ধাক্কাধাক্কি, আইনজীবীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় পুলিশ সদস্যদের। এসময় তড়িঘড়ি করে এজলাস ছাড়েন বিচারপতিরা। এরপর থেকে টানা আন্দোলন করে আসছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ৩ পার্বত্য জেলা বাদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ফলাফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।

পরবর্তীতে এক রিটের শুনানি শেষে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।

এ আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ লিভ টু আপিলের আবেদন করলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। একপর্যায়ে এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আপিল করলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

Please Share This Post in Your Social Media

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আপিল

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৪:৪৪:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিলে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। আগামী রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে এই আবেদনের ওপর শুনানি হবে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্ট। মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এদিকে, এ রায়ের প্রতিবাদে ওইদিনই আদালতের সামনেই বিক্ষোভ করেন নিয়োগ বঞ্চিতরা। এ সময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে স্লোগান, আদালতের দরজায় ধাক্কাধাক্কি, আইনজীবীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় পুলিশ সদস্যদের। এসময় তড়িঘড়ি করে এজলাস ছাড়েন বিচারপতিরা। এরপর থেকে টানা আন্দোলন করে আসছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ৩ পার্বত্য জেলা বাদে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই ফলাফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ হন।

পরবর্তীতে এক রিটের শুনানি শেষে গত বছরের ১৯ নভেম্বর দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।

এ আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ লিভ টু আপিলের আবেদন করলে গত ৬ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগে বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে। একপর্যায়ে এ সংক্রান্ত রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ হাজার ৫৩১ সহকারী শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের নির্দেশ দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার আপিল করলো প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর।