সচিবালয়ে চাকরির আড়ালে দালালি ও অর্থ আত্মসাৎ: অফিস সহকারী শামীমের অপকর্ম

- Update Time : ০৪:০৮:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
- / ২২৭ Time View
সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসেও শামীম নামে এক অফিস সহকারী দীর্ঘদিন ধরে দালালি ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত।
চাকরি দেওয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন তিনি। আরও জানা যায়, সচিবালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন কার্যক্রম সাধন করে দেওয়ার নামেও অর্থ আত্মসাৎ করে চলছেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার প্রমাণও পাওয়া গেছে। তিনি অফিস টাইমে অফিসের বাহিরে বিভিন্ন অফিসিয়াল ফাইল এবং কাজ বুঝে নিয়ে থাকেন এবং অফিসের বাহিরেই কাজ করে দেওয়ার বিনিময়ে কি পরিমান অর্থ দিতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করে অর্থ গ্রহন করে থাকেন। যার ভিডিওসহ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শামীম বিভিন্ন সময় চাকরির কথা বলে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন। কিন্তু চাকরি তো দুরের কথা, উল্টো টাকা ফেরত চাইলে নানা ধরনের তাল বাহানা ও হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
একই দৃশ্য দেখা যায় বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, শামীম তার থেকে মাঠ পর্যায়ের একটি মেলার অনুমোদন নিয়ে দেওয়ার জন্য ৫ লক্ষ টাকার একটি চেক এবং নগদ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, সেই কাজে শামীমের সাথে বাবু এবং আল-আমীন নামের ২ জন সহযোগী জড়িত ছিলো। পরবর্তীতে সে কার্যসম্পাদন করতে ব্যর্থ হলে ভুক্তভোগীকে ৫ লক্ষ টাকার চেক ফেরত দিলেও, নগদ অর্থ ফেরত দিতে প্রায় ছয় মাস তালবাহানা করেন। অতঃপর অনেক চেষ্টার পর তিনি কিছু টাকা ফেরত দিলেও বাকি টাকা ফেরত চাইলে তিনি বিভিন্ন তালবাহানা করেন।
এরকম আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে কয়েকজন ভুক্তভোগী এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানা যায়।
এ বিষয়ে “দৈনিক নওরোজ” থেকে শামীমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সে বিভিন্ন মাধ্যমে ফোন দিয়ে প্রথমে সুপারিশ অতঃপর হুমকি ধামকি প্রদান করেন। অনেক চেষ্টার পর নওরোজ প্রতিনিধি তার সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। অতঃপর তার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রথমে তিনি অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে কিছু মৌখিক প্রমাণাদি তার কাছে পেশ করা হলে তিনি বলেন, “এ কাজ শুধু আমি একাই করি না, আরো অনেকেই এর সাথে জড়িত।” বক্তব্যের শেষে তিনি আমাদের সাথে আবারো যোগাযোগ করেন এবং আর্থিক প্রলোভন দেখান, নওরোজ প্রতিনিধি সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে তিনি(শামিম) বলেন “আপনারা নিউজ করে যা পারেন করে নিন, আমার তাতে কিছুই যায় আসে না।”
সচিবালয়ের মতো স্থানে একজন অফিস সহকারীর এমন অপকর্মে সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ ও হতাশ। তারা এ বিষয়ে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়