শ্রীপুরের গোসিংগা ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ, বিপাকে পোষাক শ্রমিক ও শিক্ষার্থীরা
![](https://nawroj.com.bd/wp-content/uploads/2023/04/LOGO-NAWROJ-2022-icon.png)
- Update Time : ০৪:১৯:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
- / ৬৯ Time View
গাজীপুরের শ্রীপুরের কচুরিপানা জটে গোসিংগা ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে পোষাক শ্রমিক ও শিক্ষার্থীরা। নৌকা চলাচল বন্ধ হওয়ায় শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজ, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজ ও শ্রীপুর খোজেখানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ অসুবিধায় পড়েছে ওই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সরেজমিনে দেখা গেছে, শীতলক্ষ্যা নদীর গোসিংগা ও দরদরিয়া ঘাটে নৌকা চলাচল বন্ধ। দুই পারের অটো সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো বন্ধ। স্কুল কলেজ শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছে বাড়ীতে। পোষাক কারখানার শ্রমিকদের নদীর ঘাটে বসে থাকতে দেখা গেছে। কাপাসিয়া উপজেলার দেওনা গ্রামের মোবারক হোসেন এর ছেলে ফরহাদ বলেন, আমি গার্মেন্টসে চাকুরি করি। আজকে অফিসে যেতে পারিনাই। স্থানীয়রা জানান, কাপাসিয়ার চৌড়াপাড়া, দরদরিয়া, ভুলেশ্বর, দেওনা, হাইলজোর গ্রামের শিক্ষার্থীরা এ ঘাট দিয়ে নিয়মিত স্কুল কলেজে যায়।
খোজেখানি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় দুই শিক্ষার্থী চৌরাপাড়া গ্রামের জলিল মিয়ার মেয়ে ( মানবিক বিভাগ), একই গ্রামের জামাল মেয়ে (বিজ্ঞান বিভাগ) নৌকার জন্য অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। তারা বলেন, আমরা সকাল থেকে দাড়িয়ে আছি। নৌকা আসেনি। দুই ঘন্টা পরে জানতে পারছি নৌকা চলাচল বন্ধ। এখন বাড়ী চলে যাব। নোকার মাঝি দেলোয়ার মিয়া ও জামাল মিয়া বলেন, গতকাল বিকাল থেকে নৌকা চলাচল বন্ধ। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে,তিনি বলেন।
সিংহশ্রী পল্লী বিদ্যুত ইলেকট্রেশিয়ান শামীম হোসেন বলেন, আজকে কাজে যাওয়া হলোনা।আমার গোসিংগা যাওয়ার খুর দরকার। গোসিংগা গ্রামের ইকবাল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ডিগ্রি কলেজে পড়ে। আজ থেকে কলেজে যাওয়া বন্ধ।নৌকা চলাচল শুরু হলে কলেজে যাবে।
শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আবু বাক্কার ছিদ্দিক আকন্দ জানান, আমাদের কলেজে বিভিন্ন এলাকার শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে।পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলার অনেক শিক্ষার্থীও রয়েছে। বিশেষ করে দরদরিয়া রায়েদ আমরাইদ এলাকার বেশিরভাগ উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। তাদেরকে শীতলক্ষা নদীর গোসিংগা ঘাট দিয়ে আসতে হয়। নদীতে বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে কচুরিপানা জমে যাওয়ার কারণে শুনেছি নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ওইসব এলাকার অনেক শিক্ষার্থী কলেজে আসতে পারছে না।
গোসিংগা ঘাট ইজারাদার মিন্টু মিয়া বলেন, দৈনিক ৬৮০০ টাকা উঠাতে হবে। তা না হলে ইজারা টাকা পরিশোধ করতে পারবোনা। আজ থেকে নৌকা চলাচল বন্ধ। কাপাসিয়া ইউএনও এ কে এম লুৎফর রহমান জানান, উপজেলা প্রশাসন থেকে ফান্ড দিয়ে কচুরিপানা জট সরানো সম্ভব নয়। এসব সরাতে বিআইডব্লিউটিএর সহযোগিতা প্রয়োজন।
বিআইডব্লিউটিএ নরসিংদীর ঘোড়াশাল বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা নূর স্বপন জানান, শীতলক্ষ্যা নদীর নারায়ণগঞ্জ থেকে চরসিন্দুর পর্যন্ত নদীর ক্যানেল চলাচলে উপযোগী রয়েছে। চরসিন্দুর থেকে বরমী পর্যন্ত নৌ চলাচল বন্ধের বিষয়টি দেখতে হবে। এটা আমাদের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।