ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার দাবি
শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ কর
- Update Time : ০৩:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ মে ২০২৩
- / ২০৪ Time View
শ্রমিক-কর্মচারীদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। মহান মে দিবসের সমাবেশ ও মিছিলে তাঁরা এই দাবি করেন।
আজ ১ মে , সোমবার, বিকাল ৪টায়, কামরাঙ্গীচর ঝাউলাহাটি চৌরাস্তায় ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র উদ্যাগে মহান মে দিবস উপলক্ষ্যে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চা’র সমন্বয়ক নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেনের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলন কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য বেলাল চৌধুরী, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় নেতা মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সভাপতি শহিদুল ইসলাম, গণমুক্তি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা রফিকুল ইসলাম।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন গণমুক্তি ইউনিয়নের আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা দলিলের রহমান দুলাল, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর নেতা জাকির হোসেন কাঞ্চন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সুমন প্রমূখ।
সমাবেশ পরিচালনা করেন নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সহ সভাপতি বিপ্লব ভট্টাচায্য।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওই দিন তাঁদের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ৮ ঘণ্টা কাজের দাবি স্বীকৃত হয়েছিলো। এরপর থেকে সারা বিশ্বে দিনটি ‘মে দিবস’ হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। কিন্তু বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে এখনও ৮ ঘন্টা কাজের দাবি বাস্তবায়ন হয়নি।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ, সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে নিত্যপণ্যের দাম কমানোর দাবি করেন। এছাড়া মে দিবসে সকল কল কারখানা ও অফিস বন্ধ রাখা, গৃহ শ্রমিকসহ সকল খাতে ৮ ঘন্টা কর্ম দিবস ও আইএলওর বিধান অনুযায়ী ওভারটাইম নিশ্চিত করারও দাবি করেন। বক্তারা বলেন, সকল বেকারদের কাজ দিতে হবে, নইলে বেকার ভাতা দিতে হবে। এছাড়া হোটেল, পরিবহন, দোকান, গণমাধ্যম, গৃহশ্রমিকসহ আনুষ্ঠানিক ও অনানুষ্ঠানিক সকল সেক্টরের শ্রমিকদের নিয়োগপত্র ও মজুরী কাঠামো প্রদানের দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ, কৃষি মজুরদের ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সকল কালাকানুন বাতিল এর দাবি করেন। তাঁরা পরিসেবার নামে শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার হরণের চক্রান্ত রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।
পরে ঝাউলাহাটি চৌরাস্তা থেকে মিছিল শুরু হয় এবং কোম্পানিহাটি হয়ে সেকশন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।