শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের লাল পাসপোর্ট বাতিল হচ্ছে
- Update Time : ০৫:১১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
- / ৪৫ Time View
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ও সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের নামে বরাদ্দ কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল পাসপোর্ট) বাতিল করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।
সূত্রটি জানায়, লাল পাসপোর্ট বাতিল হলে যেসব সাবেক মন্ত্রী-এমপির নামে ফৌজদারি অপরাধের মামলা আছে বা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের সাধারণ পাসপোর্ট পেতে আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আদালতের আদেশ পেলেই কেবল মিলবে সাধারণ পাসপোর্ট।
ভারতে আশ্রয় নেওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বা লাল পাসপোর্টধারী ছিলেন। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই স্বাক্ষরিত সমঝোতা অনুযায়ী, সেই পাসপোর্টের সুবাদে তিনি অন্তত দেড় মাস কোনো ভিসা ছাড়াই অনায়াসে ভারতে অবস্থান করতে পারবেন।
গত ৫ আগস্ট ভারত যান তিনি। ভারতের আইন অনুযায়ী আর ২৯ দিন দেশটিতে থাকতে পারবেন শেখ হাসিনা। যদি না এর মধ্যে সেই পাসপোর্ট ‘রিভোকড’ বা প্রত্যাহৃত হয়। তাই বর্তমান অবস্থান সম্পূর্ণ আইনসম্মত, ভারতের এ ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ারও প্রয়োজনও নেই। অন্যদিকে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টধারী। ফলে তিনি ভারতে অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পাবেন। এই সুবিধায় তিনি যতদিন খুশি ভারতে থাকতে পারবেন।
এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, সংসদের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে বা সংসদ ভেঙে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কূটনৈতিক পাসপোর্টের বৈধতা শেষ হয়ে যায়। সাধারণত কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীরা মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে সেই পাসপোর্ট সারেন্ডার করে সাধারণ পাসপোর্ট নিয়ে থাকেন।
নওরোজ/এসএইচ