ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ মণ্ডল কারাগারে কিশোরগঞ্জে যুবলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান পূর্ণবহালের প্রতিবাদে মানববন্ধন পঞ্চগড়ে সেনাবাহিনীর অভিযানে জাল ডলার বিক্রি চক্রের ৬ সদস্য আটক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ প্রান্তিক মৎস্য চাষীদের মাঝে মৎস্য খাদ্য বিতরণ জামালপুরে করোনায় এক চিকিৎসক আক্রান্ত ভাঙা নয়,মূল নকশায় ফিরছে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বিতর্কিত’ ভাস্কর্য ‘অঞ্জলি লহ মোর’ ভাড়া নিয়ে বিতন্ডায় প্রাণ গেলা অটোচালকের ভাড়া বেশি নেওয়ার প্রতিবাদ করায় মাথা ফাটালো যাত্রীর গাইবান্ধায় প্রকাশ্যে স্টেশনমাস্টারকে মারধর যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা

শেকৃবিতে ছাত্রশিবিরের ব্যতিক্রমী ঈদ আয়োজন

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১২:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫
  • / ১৮৬ Time View

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক ব্যতিক্রমী মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছে।

শনিবার (৭ জুন) দুপুর দেড়টায় শেরেবাংলা হল ক্যান্টিনে ‘ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও ত্যাগের মহিমায় কোরবানি এবং মধ্যাহ্নভোজ ২০২৫’ শীর্ষক এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের ত্যাগ ও আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রয়াসে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজন করে এই ভোজের, যেখানে কোরবানি করা হয় দুইটি গরু ও একটি খাসি।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধর্মের শতাধিক শিক্ষার্থী। দুপুরের ভোজ শেষে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে ‘ভ্রাতৃত্বের উপহার ২০২৫’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও এলাকার শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, “দূরে থাকায় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারিনি। কিন্তু আজকের এই আয়োজন সেই অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করেছে। এখানে একসাথে খাওয়া, কোরবানির মাংস বিতরণসহ সবকিছুই খুব আবেগঘন ছিল।”

মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণকারী সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী বলেন, “আমি মুসলিম না, কিন্তু এই আয়োজনে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। এখানে ধর্মের বেড়া না রেখে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা হয়েছে—এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। এমন আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ শিক্ষাঙ্গনে সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”

অনুষ্টানে শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মোঃ আবুল হাসান বলেন, “ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা হলো ত্যাগ। আমরা চাই এই ত্যাগের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা ছড়িয়ে দিতে। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগাতে চেয়েছি এবং সমাজের অসহায় মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটাতে চেয়েছি।”

Please Share This Post in Your Social Media

শেকৃবিতে ছাত্রশিবিরের ব্যতিক্রমী ঈদ আয়োজন

অনিন্দ্য বিশ্বাস অর্ঘ্য, শেকৃবি প্রতিনিধি
Update Time : ১২:৫৯:২১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৮ জুন ২০২৫

রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে এক ব্যতিক্রমী মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছে।

শনিবার (৭ জুন) দুপুর দেড়টায় শেরেবাংলা হল ক্যান্টিনে ‘ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও ত্যাগের মহিমায় কোরবানি এবং মধ্যাহ্নভোজ ২০২৫’ শীর্ষক এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। ঈদের ত্যাগ ও আনন্দকে ভাগাভাগি করে নেওয়ার প্রয়াসে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজন করে এই ভোজের, যেখানে কোরবানি করা হয় দুইটি গরু ও একটি খাসি।

অনুষ্ঠানে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ধর্মের শতাধিক শিক্ষার্থী। দুপুরের ভোজ শেষে বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে ‘ভ্রাতৃত্বের উপহার ২০২৫’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও এলাকার শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে কোরবানির মাংস বিতরণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম তার অনুভূতি জানিয়ে বলেন, “দূরে থাকায় পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে পারিনি। কিন্তু আজকের এই আয়োজন সেই অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করেছে। এখানে একসাথে খাওয়া, কোরবানির মাংস বিতরণসহ সবকিছুই খুব আবেগঘন ছিল।”

মধ্যাহ্ন ভোজে অংশগ্রহণকারী সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থী বলেন, “আমি মুসলিম না, কিন্তু এই আয়োজনে অংশ নিতে পেরে খুব ভালো লেগেছে। এখানে ধর্মের বেড়া না রেখে সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করা হয়েছে—এটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। এমন আন্তরিকতা ও ভ্রাতৃত্ববোধ শিক্ষাঙ্গনে সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।”

অনুষ্টানে শেকৃবি শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মোঃ আবুল হাসান বলেন, “ঈদুল আজহার মূল শিক্ষা হলো ত্যাগ। আমরা চাই এই ত্যাগের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সমাজের সকল স্তরের মানুষের মাঝে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা ছড়িয়ে দিতে। এই আয়োজনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ জাগাতে চেয়েছি এবং সমাজের অসহায় মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটাতে চেয়েছি।”