ঢাকা ০১:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে জাককানইবি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ “চব্বিশ-এক ফ্যাসিবাদের বিদায় ঘটিয়েছে, বাংলায় আরেক ফ্যাসিবাদ ফিরলে ছাত্রজনতা ঘরে বসে থাকবে না” নারকীয় হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজপথে শেকৃবি শিক্ষার্থীরা টঙ্গীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত: ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিল যুবসমাজ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে জোর দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা রংপুর বিভাগের ১৩ বিদ্যালয়ে পাস করেনি কেউ প্রধান বিচারপতির সাথে কানাডার হাইকমিশনারের সাক্ষাত রংপুরে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় অপারেশন থিয়েটার সিলগালা: ১ লাখ টাকা জরিমানা ১১ জুলাই কুবিতে আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়া সেই ইউএনওকে পীরগাছায় বদলি

শিশু রাফসান হত্যা: ৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

Reporter Name
  • Update Time : ১২:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
  • / ২৬৪ Time View

গাইবান্ধায় ৩ বছরের শিশু রাফসান সামী অপহরণ ও মুক্তিপণ না পেয়ে গলাটিপে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মফিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ম‌ফিদুল দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক ছি‌লেন।
মঙ্গলবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২।

র‌্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রোয়া গ্রামের মেজবাবুল ইসলামের ছেলে শিশু রাফসান সামীকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ক‌রে দুর্বৃত্তরা। মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশু রাফসানকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে গুম করে।

ঘটনার একদিন পর স্থানীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মেজবাবুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার মফিদুল ইসলামসহ আরো দুজনকে আসামি করে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ক‌রে আদাল‌তে সোর্পদ করা হ‌লে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মফিদুল ইসলাম ৪৬ মাস কারাগারে থাকার পর নিয়মিত হাজিরা দেয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে আদালত তাকে জামিন দেন। কিন্তু পরে আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক জীবন যাপন করেন।

পলাতক থাকাবস্থায় আদালত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেপ্তার মফিদুল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেন। সর্বশেষ তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তথ্য পে‌য়ে মফিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

শিশু রাফসান হত্যা: ৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

Reporter Name
Update Time : ১২:৫৯:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩

গাইবান্ধায় ৩ বছরের শিশু রাফসান সামী অপহরণ ও মুক্তিপণ না পেয়ে গলাটিপে হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মফিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। ম‌ফিদুল দীর্ঘ ৯ বছর পলাতক ছি‌লেন।
মঙ্গলবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার চন্দ্রা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-২।

র‌্যাব-২ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক জানান, ২০১৪ সালের ২১ জানুয়ারি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রোয়া গ্রামের মেজবাবুল ইসলামের ছেলে শিশু রাফসান সামীকে তার বাড়ি থেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি ক‌রে দুর্বৃত্তরা। মুক্তিপণ না পেয়ে অপহরণকারীরা শিশু রাফসানকে গলাটিপে হত্যা করে মরদেহ মাটিচাপা দিয়ে গুম করে।

ঘটনার একদিন পর স্থানীয় থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ওই ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা মেজবাবুল ইসলাম বাদী হয়ে গ্রেপ্তার মফিদুল ইসলামসহ আরো দুজনকে আসামি করে গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার পর আসামিদের গ্রেপ্তার ক‌রে আদাল‌তে সোর্পদ করা হ‌লে তারা হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

মফিদুল ইসলাম ৪৬ মাস কারাগারে থাকার পর নিয়মিত হাজিরা দেয়ার শর্তে মুচলেকা নিয়ে আদালত তাকে জামিন দেন। কিন্তু পরে আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক জীবন যাপন করেন।

পলাতক থাকাবস্থায় আদালত মামলাটির দীর্ঘ বিচারিক কার্যক্রম শেষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করেন।

গ্রেপ্তার মফিদুল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়িয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপন করেন। সর্বশেষ তিনি গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানাধীন চন্দ্রা এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করেন। তথ্য পে‌য়ে মফিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।