ঢাকা ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাত থেকে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ১১:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • / ২৭ Time View

ছবি: সংগৃহীত

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের আজদাবিয়া শহরে মানবপাচারকারীদের হাতে জিম্মি থাকা শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সোমবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, পাচারচক্রটি পাঁচ নারীসহ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করছিল। আটক অবস্থায় তাদের ওপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। এ ঘটনায় লিবিয়া, সুদান ও মিসরের নাগরিক সন্দেহে পাঁচ মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে জিম্মিদের কতদিন আগে আটক করা হয়েছিল বা তারা কোন কোন দেশের নাগরিক—সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং সংঘাত থেকে বাঁচতে তারা এই বিপজ্জনক যাত্রায় পা বাড়ায়। এই যাত্রায় লিবিয়াকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

তবে এই পথ মোটেও নিরাপদ নয়। বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী পাচারকারীদের হাতে জিম্মি হন, নিপীড়নের শিকার হন, এমনকি জীবন হারান।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ার উত্তরাঞ্চলের কুফরা শহরের উপকণ্ঠে মরুভূমির একটি গণকবর থেকে ২৮ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। কিছুদিন পর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জিলখারা এলাকায় আরও একটি গণকবর থেকে ১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লিবিয়ায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রায় ৮ লাখ ২৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী অবস্থান করছে। এদের অনেকে পাচারের শিকার হয়ে পড়েন সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের হাতে, যারা তাদের ইউরোপে পাঠানোর নামে জিম্মি করে নির্যাতন চালায় ও মুক্তিপণ আদায় করে।

Please Share This Post in Your Social Media

লিবিয়ায় মানবপাচারকারীদের হাত থেকে শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ১১:৫০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের আজদাবিয়া শহরে মানবপাচারকারীদের হাতে জিম্মি থাকা শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। সোমবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে লিবিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, পাচারচক্রটি পাঁচ নারীসহ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি করছিল। আটক অবস্থায় তাদের ওপর চালানো হয় শারীরিক নির্যাতন। এ ঘটনায় লিবিয়া, সুদান ও মিসরের নাগরিক সন্দেহে পাঁচ মানবপাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে জিম্মিদের কতদিন আগে আটক করা হয়েছিল বা তারা কোন কোন দেশের নাগরিক—সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত ইউরোপে পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে। ক্ষুধা, দারিদ্র্য এবং সংঘাত থেকে বাঁচতে তারা এই বিপজ্জনক যাত্রায় পা বাড়ায়। এই যাত্রায় লিবিয়াকে একটি গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

তবে এই পথ মোটেও নিরাপদ নয়। বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী পাচারকারীদের হাতে জিম্মি হন, নিপীড়নের শিকার হন, এমনকি জীবন হারান।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লিবিয়ার উত্তরাঞ্চলের কুফরা শহরের উপকণ্ঠে মরুভূমির একটি গণকবর থেকে ২৮ জন অভিবাসীর মরদেহ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। কিছুদিন পর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জিলখারা এলাকায় আরও একটি গণকবর থেকে ১৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত লিবিয়ায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের প্রায় ৮ লাখ ২৫ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী অবস্থান করছে। এদের অনেকে পাচারের শিকার হয়ে পড়েন সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের হাতে, যারা তাদের ইউরোপে পাঠানোর নামে জিম্মি করে নির্যাতন চালায় ও মুক্তিপণ আদায় করে।