ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৫ আগস্টের পর হিন্দু সম্প্রদায়কে ভয় দেখানো হতো : হাসনাত আব্দুল্লাহ লবণের ট্রাকে ইয়াবা পাচারের মামলায় চালকের যাবজ্জীবন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার সাত দফা প্রস্তাব বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা হচ্ছে না বুলবুল-ফাহিমের, করতে হবে নির্বাচন ছাত্রীকে যৌন হয়রানির ঘটনায় জামায়াত নেতা বহিষ্কার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট ব্লক করায় ৩০০ কোটির ক্ষতিপূরণ গুনছে ইউটিউব পুরান ঢাকাকে আগের ঐতিহ্যে ফিরিয়ে নিবো – আলহাজ্ব আব্দুর রহমান সাকিবকে আর কখনো বাংলাদেশের হয়ে খেলতে দেওয়া হবে না : ক্রীড়া উপদেষ্টা বিজিবি জনগণের পাশে ছিল, আছে এবং থাকবে : ডিজি লন্ডনে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্য ভাঙচুর, ভারতের প্রতিক্রিয়া
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত

লাশ উত্তোলনে আগ্রহ নেই পরিবারের, ফিরে গেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

জামালপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • / ১২২ Time View

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলনের আগ্রহ নেই তার পরিবারের লোকজনের।

২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ২. ০০ ঘটিকায় আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলন করতে গেলে লাশ উত্তোলনের আগ্রহ দেখাননি নিহতের বড় ভাই ও পরিবারের সদস্যরা।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় ৫ আগস্ট নিহত হন রিপন মিয়া।

পরের দিন ৬ আগস্ট বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময় রিপনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই জামালপুরের বকশীগঞ্জে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রিপন মিয়া নিহত হওয়ায় তার বড় ভাই আক্তার হোসেন বাদী হয়ে বিগত ২৫/০৮/২০২৪ তারিখে উত্তরা পূর্ব থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে এ মামলায় ২৯/০১/২০২৫ তারিখে নিহত রিপন মিয়া লাশের ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলনের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার লাশ উত্তোলন করতে গেলে পরিবারের সদস্য ও মামলার বাদী আক্তার হোসেন লাশ উত্তোলনে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বাধা প্রদান করেন।

এ অবস্থায় কিছু সময় অপেক্ষা করেও লাশ উত্তোলন করতে না পেরে ফিরে আসেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে নিহত রিপন মিয়ার বড় ভাই ও মামলার বাদী আক্তার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হবে তা আমাকে অবগত করা হইনি। আমি বার বার আদালতে গেলেও আমাকে লিখিত কোন পেপার প্রদান করা হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই খাইরুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশক্রমে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করতে গেলে পরিবারের আগ্রহ না থাকায় লাশ উত্তোলন করতে পারেনি।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা বলেন, আদালতের নির্দেশে রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলন করতে গেলে নিহত রিপন মিয়ার পরিবার সম্মতি দেয়নি। পরিবারের সম্মতি ও সহযোগিতা ছাড়া কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সুযোগ নেই। বিষয়টি আদালতে জানানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত

লাশ উত্তোলনে আগ্রহ নেই পরিবারের, ফিরে গেলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট

জামালপুর প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৫৬:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

জামালপুরের বকশীগঞ্জে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহত রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলনের আগ্রহ নেই তার পরিবারের লোকজনের।

২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) দুপুর ২. ০০ ঘটিকায় আদালতের নির্দেশ মোতাবেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলন করতে গেলে লাশ উত্তোলনের আগ্রহ দেখাননি নিহতের বড় ভাই ও পরিবারের সদস্যরা।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকার উত্তরায় ৫ আগস্ট নিহত হন রিপন মিয়া।

পরের দিন ৬ আগস্ট বিকাল ৩.০০ ঘটিকার সময় রিপনের লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই জামালপুরের বকশীগঞ্জে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে রিপন মিয়া নিহত হওয়ায় তার বড় ভাই আক্তার হোসেন বাদী হয়ে বিগত ২৫/০৮/২০২৪ তারিখে উত্তরা পূর্ব থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।

পরে এ মামলায় ২৯/০১/২০২৫ তারিখে নিহত রিপন মিয়া লাশের ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলনের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। আদালতের নির্দেশে মঙ্গলবার লাশ উত্তোলন করতে গেলে পরিবারের সদস্য ও মামলার বাদী আক্তার হোসেন লাশ উত্তোলনে অনাগ্রহ প্রকাশ করেন এবং বাধা প্রদান করেন।

এ অবস্থায় কিছু সময় অপেক্ষা করেও লাশ উত্তোলন করতে না পেরে ফিরে আসেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলাম।

এ বিষয়ে নিহত রিপন মিয়ার বড় ভাই ও মামলার বাদী আক্তার হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করা হবে তা আমাকে অবগত করা হইনি। আমি বার বার আদালতে গেলেও আমাকে লিখিত কোন পেপার প্রদান করা হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই খাইরুল ইসলাম জানান, আদালতের নির্দেশক্রমে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করতে গেলে পরিবারের আগ্রহ না থাকায় লাশ উত্তোলন করতে পারেনি।

এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা বলেন, আদালতের নির্দেশে রিপন মিয়ার লাশ উত্তোলন করতে গেলে নিহত রিপন মিয়ার পরিবার সম্মতি দেয়নি। পরিবারের সম্মতি ও সহযোগিতা ছাড়া কবর থেকে লাশ উত্তোলনের সুযোগ নেই। বিষয়টি আদালতে জানানো হবে। আদালতের সিদ্ধান্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।