ঢাকা ০৪:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
রমেকের ডাক্তার মাহাবুবকে চান ‘না’ সহকর্মীরা, অন্যত্র বদলির দাবি  কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
  • Update Time : ০৫:৪০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ২৩৪ Time View

Exif_JPEG_420

লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩সেন্টিমিটার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আশ্বিন মাসেও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন নতুন করে আরও একটি বন্যার কবলে পড়েছেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১দশমিক ৭০মিটার।

যা (বিপদসীমা ৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ৪৫সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অন্যান্য পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার নিচে থাকলেও বিকাল ৩টার পর থেকেই কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ আবারও বন্যার কবলে পড়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে।

ইতিপূর্বে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাটের কিছু কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মর্মে খবর পাওয়া গেছে।

পানির প্রবাহের ধীরগতির কারণে তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার পানিবন্দি পরিবারগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেন। যা দ্রুত কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, তিস্তায় এটি চতুর্থ বারের মতো বন্যা। বৃষ্টির কারণে উজানের গজলঢোবা ব্যারেজের পানির ঢেউয়ের ফলে পানির প্রবাহ বেড়েছিল।

ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে বলে দাবি করেছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানির প্রবাহ কোথাও কমেছে, আবার কোথাও বেড়েছে।

বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খোলা রয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি আরও কমবে বলে গণমাধ্যমকে বলেন।

এদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০.৩৪মিটার (বিপদসীমা ৩১.০৯মিটার) যা বিপদসীমার ৭৫সেন্টিমিটার নিচে।

অপরদিকে পাটগ্রাম পয়েন্টে পানি সমতল ৫৭.৩০মিটার (বিপদসীমা ৬০.৩৫মিটার) যা বিপদসীমার ৩০৫সেন্টিমিটার নিচে।

এছাড়া লালমনিরহাটের ধরলা নদী কবলিত মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়াও রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীতে বন্যার পানিও বাড়তে শুরু করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার উপরে

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট প্রতিনিধি:
Update Time : ০৫:৪০:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৩সেন্টিমিটার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

আশ্বিন মাসেও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজন নতুন করে আরও একটি বন্যার কবলে পড়েছেন।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টা থেকে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১দশমিক ৭০মিটার।

যা (বিপদসীমা ৫২দশমিক ১৫সেন্টিমিটার) যা বিপদসীমার ৪৫সেন্টিমিটার নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে সবকটি জলকপাট খুলে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোর থেকে অন্যান্য পয়েন্টে পানি কমে বিপদসীমার নিচে থাকলেও বিকাল ৩টার পর থেকেই কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার উপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফলে তিস্তা নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষ আবারও বন্যার কবলে পড়েছে গত এক সপ্তাহ ধরে।

ইতিপূর্বে পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাটের কিছু কিছু এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে মর্মে খবর পাওয়া গেছে।

পানির প্রবাহের ধীরগতির কারণে তিস্তা নদীর তীরবর্তী লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার পানিবন্দি পরিবারগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেন। যা দ্রুত কাটিয়ে উঠা সম্ভব হবে।

বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, তিস্তায় এটি চতুর্থ বারের মতো বন্যা। বৃষ্টির কারণে উজানের গজলঢোবা ব্যারেজের পানির ঢেউয়ের ফলে পানির প্রবাহ বেড়েছিল।

ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানির প্রবাহ কমেছে বলে দাবি করেছে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার বলেন, তিস্তার পানির প্রবাহ কোথাও কমেছে, আবার কোথাও বেড়েছে।

বর্তমানে তিস্তা ব্যারাজের সবগুলো জলকপাট খোলা রয়েছে। তবে ভারতে পানির প্রবাহ কমে গেলে তিস্তার পানি আরও কমবে বলে গণমাধ্যমকে বলেন।

এদিকে ধরলা নদীর শিমুলবাড়ি পয়েন্টে পানি সমতল ৩০.৩৪মিটার (বিপদসীমা ৩১.০৯মিটার) যা বিপদসীমার ৭৫সেন্টিমিটার নিচে।

অপরদিকে পাটগ্রাম পয়েন্টে পানি সমতল ৫৭.৩০মিটার (বিপদসীমা ৬০.৩৫মিটার) যা বিপদসীমার ৩০৫সেন্টিমিটার নিচে।

এছাড়া লালমনিরহাটের ধরলা নদী কবলিত মোগলহাট, কুলাঘাট ও বড়বাড়ী ইউনিয়নের কিছু কিছু এলাকায় বন্যায় প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়াও রত্নাই, স্বর্ণামতি, সানিয়াজান, সাকোয়া, চাতলা, মালদহ, ত্রিমোহীনি, মরাসতি, গিরিধারী, গিদারী, ধোলাই, শিংগীমারী, ছিনাকাটা, ধলাই ও ভেটেশ্বর নদীতে বন্যার পানিও বাড়তে শুরু করেছে।