ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

রোগ প্রতিরোধ করতে না পারলে সেবা বাড়িয়ে লাভ নেই: স্বাস্থ্য সচিব

Reporter Name
  • Update Time : ০২:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩
  • / ২১৭ Time View

রোগ প্রতিরোধ করতে না পারলে যতো সেবাই বাড়ানো হোক যথেষ্ট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি বলেন, আমরা গর্ব করে বলি, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি, হাসপাতালগুলোতে সেবা বাড়াচ্ছি। কিন্তু যতো সেবাই বাড়ানো হোক যথেষ্ট হবে না, যদি আমরা প্রিভেনশনকে গুরুত্ব না দেই।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে নেগলেক্ট ট্রপিক্যাল ডিজিস (এনটিডি) দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় বর্তমান যে ফ্যাসিলিটি আছে, সেটা দিয়েই প্রিভেনশনে আমরা আরও বেশি কাজ করতে পারি। ছোটখাটো যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া খুবই জরুরি। অনেকসময় ছোটখাটো রোগ থেকেই বিভিন্ন বড় সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য সচেতনতাটা খুবই জরুরি।
তিনি আরও বলেন, অসংখ্য মানুষ এখন অর্থের চাপের কারণে হাসপাতালে যায় না। প্রেশার নিয়ে ঘুমিয়ে আছে, ডায়াবেটিস নিয়ে চলাফেরা করছে। যখন সিভিয়ার পর্যায়ে পৌঁছে, তখন হাসপাতালে ছুটে যায়। কিন্তু তখন আর তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

এনটিডি রোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, এনটিডি নিয়ে ১৪৯টি দেশ সমস্যায় আছে। আমাদের রোগের প্রবণতা বেশি। ফাইলেরিয়া ও কালাজ্বরের প্রকোপ হরহামেশাই দেখা যায়। আমরা যদি এখানে বিনিয়োগ করি এবং সচেতনতা বাড়াতে পারি, তাহলে অসংখ্য ডিজিজ প্রিভেনশন করতে পারবো।

চিকিৎসায় খরচ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, স্বাস্থ্য খাতে প্রতি ডলার খরচ করলে ২৫ ডলার রিটার্ন পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রিভেনশনে যদি খরচ করা হয়, মানুষ অসুস্থ হবে না। চিকিৎসার পেছনে খরচ হবে না। এতে ২৫ ডলার মূল্যের লাভ হবে। আমরা আমাদের বিভিন্ন ডিজিজ ম্যানেজমেন্টে যে পরিমাণ ব্যয় করি, সেটাকে বাড়িয়ে যদি আমরা ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজে আনতে পারি তাহলে অনেকটাই এগিয়ে যাবো।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, এনটিডি প্রতিরোধে ২০৩০ সালের মধ্যে যেসব টার্গেট আছে, সেগুলো অর্জন করতে হলে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ ও কাজ করা প্রয়োজন। তাহলেই কাজটি সফল হবে এবং আমরা আমরাদের টার্গেট পূরণ করতে পারব।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশেদা সুলতানা। এছাড়াও আরও ছিলেন- স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলনসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (সিডিসি) ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ড. রোবেদ আমিন।

Please Share This Post in Your Social Media

রোগ প্রতিরোধ করতে না পারলে সেবা বাড়িয়ে লাভ নেই: স্বাস্থ্য সচিব

Reporter Name
Update Time : ০২:৩৮:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৩

রোগ প্রতিরোধ করতে না পারলে যতো সেবাই বাড়ানো হোক যথেষ্ট হবে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার।

তিনি বলেন, আমরা গর্ব করে বলি, স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছি, হাসপাতালগুলোতে সেবা বাড়াচ্ছি। কিন্তু যতো সেবাই বাড়ানো হোক যথেষ্ট হবে না, যদি আমরা প্রিভেনশনকে গুরুত্ব না দেই।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল শেরাটনে নেগলেক্ট ট্রপিক্যাল ডিজিস (এনটিডি) দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্য সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য সেবায় বর্তমান যে ফ্যাসিলিটি আছে, সেটা দিয়েই প্রিভেনশনে আমরা আরও বেশি কাজ করতে পারি। ছোটখাটো যেকোনো সমস্যায় চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া খুবই জরুরি। অনেকসময় ছোটখাটো রোগ থেকেই বিভিন্ন বড় সমস্যা দেখা দেয়। এজন্য সচেতনতাটা খুবই জরুরি।
তিনি আরও বলেন, অসংখ্য মানুষ এখন অর্থের চাপের কারণে হাসপাতালে যায় না। প্রেশার নিয়ে ঘুমিয়ে আছে, ডায়াবেটিস নিয়ে চলাফেরা করছে। যখন সিভিয়ার পর্যায়ে পৌঁছে, তখন হাসপাতালে ছুটে যায়। কিন্তু তখন আর তাকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।

এনটিডি রোগ প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য সচিব বলেন, এনটিডি নিয়ে ১৪৯টি দেশ সমস্যায় আছে। আমাদের রোগের প্রবণতা বেশি। ফাইলেরিয়া ও কালাজ্বরের প্রকোপ হরহামেশাই দেখা যায়। আমরা যদি এখানে বিনিয়োগ করি এবং সচেতনতা বাড়াতে পারি, তাহলে অসংখ্য ডিজিজ প্রিভেনশন করতে পারবো।

চিকিৎসায় খরচ প্রসঙ্গে সচিব বলেন, স্বাস্থ্য খাতে প্রতি ডলার খরচ করলে ২৫ ডলার রিটার্ন পাওয়া যায়। অর্থাৎ প্রিভেনশনে যদি খরচ করা হয়, মানুষ অসুস্থ হবে না। চিকিৎসার পেছনে খরচ হবে না। এতে ২৫ ডলার মূল্যের লাভ হবে। আমরা আমাদের বিভিন্ন ডিজিজ ম্যানেজমেন্টে যে পরিমাণ ব্যয় করি, সেটাকে বাড়িয়ে যদি আমরা ইউনিভার্সাল হেলথ কভারেজে আনতে পারি তাহলে অনেকটাই এগিয়ে যাবো।
এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম বলেন, এনটিডি প্রতিরোধে ২০৩০ সালের মধ্যে যেসব টার্গেট আছে, সেগুলো অর্জন করতে হলে আমাদের সমন্বিত উদ্যোগ ও কাজ করা প্রয়োজন। তাহলেই কাজটি সফল হবে এবং আমরা আমরাদের টার্গেট পূরণ করতে পারব।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশেদা সুলতানা। এছাড়াও আরও ছিলেন- স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলনসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (সিডিসি) ও রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ড. রোবেদ আমিন।