ঢাকা ০৯:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কুবির সাংবাদিকতা বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্তরসহ প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে শর্টকোড চালুর সিদ্ধান্ত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হচ্ছে বাস ট্র্যাকিং সিস্টেম ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে গাজীপুরে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিল নোয়াখালীতে নামাজ পড়তে গেলে মসজিদের শৌচাগারে শিশুকে বলৎকার বান্দরবানে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ৪ আসামীর যাবজ্জীবন, ১ লাখ টাকা জরিমানা ধর্ষণ বিরোধী স্লোগানে মুখরিত কুবি ক্যাম্পাস বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়কসহ ৭ জন কারাগারে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে কুপিয়ে জখম কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বহির্বিভাগের টিকিট বাণিজ্য

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি

রংপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:০১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / ২৪ Time View

আগামী সাত দিনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় না করা হলে ক্যাম্পাসে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শামসুর রহমান, রহমত আলী, আরমান হোসেন, সাকিব মিয়া, আহসান হাবিব রকি, মেহেদী হাসানসহ অন্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাবি করতে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রাখার ঘোষণা দেন। অথচ রোকেয়া নামে রংপুরে আরেকটি সরকারি কলেজ থাকার কারণে পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামী স্বৈরাচারের শাসনামলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নাম পরিবর্তন করে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নাম পুনর্বহালের দাবি উঠলে সে সময় নানান ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দমিয়ে রাখা হয়। ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যখন রংপুরে একটি ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের সিদ্ধান্ত দেন তখন পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা প্রতিবাদ করেন। পরে ছাত্রদের কঠোর আন্দোলনের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নাম পুনর্বহাল আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণস্বাক্ষর, উপাচার্য ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করে আসছে। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। এরই অংশ হিসেবে বিগত ৫ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত শেখ হাসিনার উদ্বোধনী ফলকটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নাম ঘোষণা করেন।

তারা আরও বলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকার এ বিষয়ে কার্যকর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিষ্ঠাকালীন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নাম পুনর্বহাল করা না হলে ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাবে শিক্ষার্থীরা। এর দায় কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শওকত আলী জানান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রংপুরবাসীর দাবি প্রতিষ্ঠাকালীন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় পুনর্বহাল করা হোক। বিষয়টি আমি শিক্ষা উপদেষ্টা ও সরকারের সব মহলে জানিয়েছি। আশা করি সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।

Please Share This Post in Your Social Media

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন না হলে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি

রংপুর প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:০১:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আগামী সাত দিনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় না করা হলে ক্যাম্পাসে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শামসুর রহমান, রহমত আলী, আরমান হোসেন, সাকিব মিয়া, আহসান হাবিব রকি, মেহেদী হাসানসহ অন্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, ‘২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু তৎকালীন ফ্যাসিস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা দাবি করতে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রাখার ঘোষণা দেন। অথচ রোকেয়া নামে রংপুরে আরেকটি সরকারি কলেজ থাকার কারণে পরিচয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আওয়ামী স্বৈরাচারের শাসনামলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নাম পরিবর্তন করে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নাম পুনর্বহালের দাবি উঠলে সে সময় নানান ট্যাগ দিয়ে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের দমিয়ে রাখা হয়। ২০১৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা যখন রংপুরে একটি ‘রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদনের সিদ্ধান্ত দেন তখন পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা প্রতিবাদ করেন। পরে ছাত্রদের কঠোর আন্দোলনের মুখে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও সরকার।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে নাম পুনর্বহাল আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণস্বাক্ষর, উপাচার্য ও শিক্ষা উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি প্রদান মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি করে আসছে। এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা। এরই অংশ হিসেবে বিগত ৫ ফেব্রুয়ারি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত শেখ হাসিনার উদ্বোধনী ফলকটি বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নাম ঘোষণা করেন।

তারা আরও বলেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকার এ বিষয়ে কার্যকর কোনও উদ্যোগ নেয়নি। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ। আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিষ্ঠাকালীন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় নাম পুনর্বহাল করা না হলে ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে যাবে শিক্ষার্থীরা। এর দায় কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম শওকত আলী জানান, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও রংপুরবাসীর দাবি প্রতিষ্ঠাকালীন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয় পুনর্বহাল করা হোক। বিষয়টি আমি শিক্ষা উপদেষ্টা ও সরকারের সব মহলে জানিয়েছি। আশা করি সরকার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে।