ঢাকা ০৮:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র আত্মপ্রকাশ : ছাত্রলীগের হামলা মুক্তি পেল বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিয়ে নির্মিত সিরিজ ‘ক্যাম্পাস রিটার্নস’ সারাদেশে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয় ঢাবিতে শুরু হচ্ছে ১৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব-২০২৩ ঢাবিতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ৯৯ শিক্ষার্থীকে শাস্তি ঢাবিতে যৌন হয়রানি মারধর ও গবেষণাপত্রে চুরির দায়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের: হানিফ চবিতে সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চায় ডুজা লালবাগে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে লালবাগে মদিনা মিষ্টান্ন ভান্ডারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

উত্তরায় রেল লাইনের পাশে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৩:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩
  • / ১১১ Time View

উত্তরা আজমপুর রেল লাইনের পূর্ব পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ কাপড়চোপড় এর মার্কেট।

মার্কেটগুলো নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সরকারদলীয় হেলালের। তার নিয়ন্ত্রণে চলছে প্রায় ১০০ দোকান। দৈনিক প্রতিটি দোকানের আকার ও প্রকারভেদে ১০০- ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়।

দোকানদারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দৈনিক ৩০ হাজার টাকার মত লেনদেন হয় মার্কেটগুলো থেকে। এই টাকার সিকিভাগ ও সরকারি কোষাগারে যায় না।

এলাকাবাসীদের ভাষ্যমতে রেললাইনের পাশে দোকান গড়ে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা যেখানে দোকানপাট গড়ে উঠবে সেখানে জনসমাগম ঘটবেই। এমনিতেই ঘনবসতিপূর্ণ আজমপুর রেল লাইনে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা লেগেই আছে।

বিষয়টি নিয়ে এই প্রতিবেদকের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শামীমের সাথে টেলিফোনে কথা হলে তিনি বলেন আসলে যারা ফুটপাতে দোকানদারি করে থাকেন তারা গরীব ঘরের সন্তান। তাদের প্রত্যেকের পরিবারে চার থেকে পাঁচজন করে সদস্য রয়েছে। তাদের অন্ন,বস্ত্র বাসস্থানের চাহিদা মিটানোর জন্য তারা দোকান বসিয়েছে। এখানে দোষের কিছু আমি মনে করি না। আর যার নাম বলেছেন আমি তাকে চিনি সে আমার দলীয় লোক। দোকানদারদের সুশৃংখল এবং শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে তারা সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। তার বিনিময়ে সামান্য কিছু নিয়ে থাকেন। এই ব্যাপারে কোন দোকানদার যদি অভিযোগ করেন তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর যারা দল করেন তাদেরকে তো আমরা কোনরকম টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারিনা। তাহলে তারা কি ভাবে চলবে। তাদেরও তো দলের মিছিল মিটিংয়ে লোক জোগাড় করতে অর্থের প্রয়োজন হয়।

এছাড়াও হেলাল নিজেকে দলীয় পরিচয়ে রেললাইনের পার্শে বেশ কয়েকটি চা দোকান,পুরাতন ফার্ণিচারের দোকান বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর রেলওয়ে ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জের সাথে কথা হলে তিনি বলেন শীঘ্রই ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। উচ্ছেদ করা হবে এ সকল অবৈধ দোকানপাট।

Please Share This Post in Your Social Media

উত্তরায় রেল লাইনের পাশে অবৈধ দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি

Update Time : ০৩:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

উত্তরা আজমপুর রেল লাইনের পূর্ব পাশে গড়ে উঠেছে অবৈধ কাপড়চোপড় এর মার্কেট।

মার্কেটগুলো নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সরকারদলীয় হেলালের। তার নিয়ন্ত্রণে চলছে প্রায় ১০০ দোকান। দৈনিক প্রতিটি দোকানের আকার ও প্রকারভেদে ১০০- ৩০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করা হয়।

দোকানদারদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় দৈনিক ৩০ হাজার টাকার মত লেনদেন হয় মার্কেটগুলো থেকে। এই টাকার সিকিভাগ ও সরকারি কোষাগারে যায় না।

এলাকাবাসীদের ভাষ্যমতে রেললাইনের পাশে দোকান গড়ে ওঠা ঝুঁকিপূর্ণ। কেননা যেখানে দোকানপাট গড়ে উঠবে সেখানে জনসমাগম ঘটবেই। এমনিতেই ঘনবসতিপূর্ণ আজমপুর রেল লাইনে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা লেগেই আছে।

বিষয়টি নিয়ে এই প্রতিবেদকের ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শামীমের সাথে টেলিফোনে কথা হলে তিনি বলেন আসলে যারা ফুটপাতে দোকানদারি করে থাকেন তারা গরীব ঘরের সন্তান। তাদের প্রত্যেকের পরিবারে চার থেকে পাঁচজন করে সদস্য রয়েছে। তাদের অন্ন,বস্ত্র বাসস্থানের চাহিদা মিটানোর জন্য তারা দোকান বসিয়েছে। এখানে দোষের কিছু আমি মনে করি না। আর যার নাম বলেছেন আমি তাকে চিনি সে আমার দলীয় লোক। দোকানদারদের সুশৃংখল এবং শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা পরিচালনা করার ক্ষেত্রে তারা সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। তার বিনিময়ে সামান্য কিছু নিয়ে থাকেন। এই ব্যাপারে কোন দোকানদার যদি অভিযোগ করেন তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আর যারা দল করেন তাদেরকে তো আমরা কোনরকম টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারিনা। তাহলে তারা কি ভাবে চলবে। তাদেরও তো দলের মিছিল মিটিংয়ে লোক জোগাড় করতে অর্থের প্রয়োজন হয়।

এছাড়াও হেলাল নিজেকে দলীয় পরিচয়ে রেললাইনের পার্শে বেশ কয়েকটি চা দোকান,পুরাতন ফার্ণিচারের দোকান বসিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার টাকা।

এ ব্যাপারে বিমানবন্দর রেলওয়ে ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনচার্জের সাথে কথা হলে তিনি বলেন শীঘ্রই ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। উচ্ছেদ করা হবে এ সকল অবৈধ দোকানপাট।