ঢাকা ০২:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
১৭ বছর পর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন

রূপগঞ্জ-পূর্বাচলে জনসমুদ্রে রূপ নিল সংবর্ধনা সমাবেশ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ১১ Time View

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখার আশায় জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের লাখো নেতাকর্মী সমবেত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে।

তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়ার আর মাত্র দেড় ঘণ্টা বাকি থাকতেই দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সভাস্থলে এসে পৌঁছান। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে উপস্থিতি।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। নেতাকর্মীদের পরনে ছিল রঙিন টি-শার্ট, হাতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা। ঢাকঢোল, ব্যানার ও ফেস্টুনে সেজে উঠেছে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে শুরু করে সভামঞ্চ এলাকা। সব মিলিয়ে পুরো অঞ্চলজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে এক উৎসবের আবহ।

এদিকে তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের কুড়িল এলাকায় বিশাল মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। মঞ্চের চারপাশে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুনে ঢেকে গেছে পুরো এলাকা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জের কাঞ্চন থেকে সভামঞ্চ পর্যন্ত মানুষের ঢল নেমেছে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের পুরো ৩০০ ফিট সড়ক এলাকাই জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।

গাজীপুর থেকে আসা তৃণমূল কর্মী মোহাম্মদ নাহারুল ইসলাম বলেন, “১৭ বছর পর প্রিয় নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরছেন—এই খবরেই আমি এখানে এসেছি। ভোরে রওনা দিয়ে সকাল ৯টায় নিলা মার্কেট এলাকায় পৌঁছাই। সেখান থেকে হেঁটেই মঞ্চের দিকে যাচ্ছি।”

নরসিংদী থেকে আগত জাহিদুল ইসলাম বলেন, কাঞ্চন ব্রিজ থেকে হেঁটেই এসেছি। প্রিয় নেতাকে একনজর দেখলেই আমাদের সব কষ্ট সার্থক হবে। তবে মানুষের চাপ এত বেশি যে মঞ্চের কাছে যাওয়া কঠিন মনে হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, “তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সারাদেশের নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমরা আশা করছি, অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ এই সমাবেশে উপস্থিত হবেন। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে সভামঞ্চ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানুষের ঢল নেমেছে।

সবমিলিয়ে দীর্ঘদিন পর দলের শীর্ষ নেতার প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির শক্তি ও সাংগঠনিক সক্ষমতার এক বিশাল প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে এই সংবর্ধনা সমাবেশ।

Please Share This Post in Your Social Media

১৭ বছর পর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন

রূপগঞ্জ-পূর্বাচলে জনসমুদ্রে রূপ নিল সংবর্ধনা সমাবেশ

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৫৪:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে সারাদেশের বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে।

প্রিয় নেতাকে এক নজর দেখার আশায় জেলা-উপজেলা থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়ের লাখো নেতাকর্মী সমবেত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে।

তারেক রহমানকে সংবর্ধনা দেওয়ার আর মাত্র দেড় ঘণ্টা বাকি থাকতেই দেশের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সভাস্থলে এসে পৌঁছান। সময় যত গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে উপস্থিতি।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারেক রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হবে।

এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। নেতাকর্মীদের পরনে ছিল রঙিন টি-শার্ট, হাতে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা। ঢাকঢোল, ব্যানার ও ফেস্টুনে সেজে উঠেছে কাঞ্চন সেতুর পশ্চিমপাড় থেকে শুরু করে সভামঞ্চ এলাকা। সব মিলিয়ে পুরো অঞ্চলজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে এক উৎসবের আবহ।

এদিকে তারেক রহমানের আগমন উপলক্ষে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের কুড়িল এলাকায় বিশাল মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। মঞ্চের চারপাশে জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুনে ঢেকে গেছে পুরো এলাকা।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জের কাঞ্চন থেকে সভামঞ্চ পর্যন্ত মানুষের ঢল নেমেছে। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলের পুরো ৩০০ ফিট সড়ক এলাকাই জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।

গাজীপুর থেকে আসা তৃণমূল কর্মী মোহাম্মদ নাহারুল ইসলাম বলেন, “১৭ বছর পর প্রিয় নেতা তারেক রহমান দেশে ফিরছেন—এই খবরেই আমি এখানে এসেছি। ভোরে রওনা দিয়ে সকাল ৯টায় নিলা মার্কেট এলাকায় পৌঁছাই। সেখান থেকে হেঁটেই মঞ্চের দিকে যাচ্ছি।”

নরসিংদী থেকে আগত জাহিদুল ইসলাম বলেন, কাঞ্চন ব্রিজ থেকে হেঁটেই এসেছি। প্রিয় নেতাকে একনজর দেখলেই আমাদের সব কষ্ট সার্থক হবে। তবে মানুষের চাপ এত বেশি যে মঞ্চের কাছে যাওয়া কঠিন মনে হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, “তারেক রহমানের আগমনকে ঘিরে পুরো এলাকায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। সারাদেশের নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করে নিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমরা আশা করছি, অর্ধকোটিরও বেশি মানুষ এই সমাবেশে উপস্থিত হবেন। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে সভামঞ্চ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার সড়কজুড়ে মানুষের ঢল নেমেছে।

সবমিলিয়ে দীর্ঘদিন পর দলের শীর্ষ নেতার প্রত্যাবর্তনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপির শক্তি ও সাংগঠনিক সক্ষমতার এক বিশাল প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে এই সংবর্ধনা সমাবেশ।