রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দি বিনিময়: ছাড়া পেল ৬৮০ জন

- Update Time : ১২:২২:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
- / ৬২ Time View
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হওয়া সমঝোতা অনুযায়ী রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় পক্ষই ৩৯০ জন করে যুদ্ধ বন্দি বিনিময় করেছে বলে দুই দেশের কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন।
ইস্তাম্বুলে ১৬ মে-র ওই বৈঠকে মস্কো ও কিইভ নিজেদের মধ্যে এক হাজার করে যুদ্ধ বন্দি বিনিময়ে রাজি হয়েছিল। তার ধারাবাহিকতায় শুক্রবার প্রথম দফায় এই ৬৮০ জন ছাড়া পেলেন। শনিবার ও রোববার বাকিরা ছাড়া পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেইনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরু করার পর দুই পক্ষের মধ্যে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা সংঘর্ষে এটাই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় যুদ্ধ বন্দি বিনিময়, বলছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
তিন বছর পর ইস্তাম্বুলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি আলোচনায় যুদ্ধ বন্দি বিনিময় নিয়েই চুক্তি হয়। কিইভ ও ইউক্রেইনের নেতারা ওই বৈঠকে ‘যুদ্ধবিরতির’ সিদ্ধান্ত হবে বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু রাশিয়া যেসব শর্ত দিয়েছিল ইউক্রেইন তাতে রাজি না হওয়ায় ওই লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়নি।
শুক্রবার মস্কো ও কিউভ জানিয়েছে, তারা যে ৩৯০ জন করে যুদ্ধ বন্দি বিনিময়ে করেছে, তার মধ্যে ২৭০ সৈন্য ও ১২০ জন বেসামরিক নাগরিক রয়েছে।
“আজ, প্রায় ৪০০ মানুষ বাড়ি ফিরেছে। আমরা সবাইকে ফিরিয়ে আনবো। সবাই আমাদের নাগরিক,” টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে এমনটাই বলেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ছাড়া পাওয়া ইউক্রেনীয়রা বাসে চড়ে উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভের একটি হাসপাতালে নামেন, তাদের বেশিরভাগেরই চেহারা ছিল ফ্যাকাশে, বলছে রয়টার্স।
অন্যদিকে ছাড়া পাওয়া রুশদের রাখা হয়েছে বেলারুশে, সেখানে মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার পর তাদের দেশে ফেরানো হবে, বলেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের।
ইউক্রেন যে রুশ বেসামরিকদের ছেড়েছে তার মধ্যে কুর্স্কের অনেক বাসিন্দাও আছেন। গত বছরের মাঝামাঝি আচমকা এক আক্রমণে কিইভের সেনারা ওই অঞ্চলটির অনেকখানি দখলে নিয়ে নিয়েছিল। পরে রুশ বাহিনী ধারাবাহিক পাল্টা আক্রমণের মুখে চলতি বছর ইউক্রেইনের সেনারা ওই এলাকাটি ছাড়তে বাধ্য হয়।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্দি বিনিময়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তার চাপেই গত সপ্তাহে মস্কো ও কিইভের কর্মকর্তারা মুখোমুখি বসেছিলেন।
“এই সমঝোতার জন্য উভয় পক্ষকেই অভিনন্দন। এটা কি বড় কিছুর দিকে নিয়ে যাবে?,” ট্রুথ সোশ্যালে এমনটাই লিখেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়