ঢাকা ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ৮ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাতের আকাশে আজ দেখা মিলবে উল্কাবৃষ্টি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:৩৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২৮ Time View

২০২৫ সালের বিদায়ী মহাজাগতিক ঘটনা হিসেবে আজ দেখা যাবে আর্সিড উল্কাবৃষ্টি। এ বিষয়ে আমেরিকান মেট্রিওর সোসাইটির ফায়ারবল রিপোর্ট কো–অর্ডিনেটর রবার্ট লুনসফোর্ড বলেন, আকাশপ্রেমীরা প্রতি ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০টি উল্কা দেখার আশা করতে পারেন। এই উল্কাবৃষ্টি উত্তর গোলার্ধে শীতকালীন অয়নকাল বা শীতের আনুষ্ঠানিক শুরুর কাছাকাছি সময়ে ঘটে। এ অঞ্চল এখন সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে রয়েছে। শীতকালীন অয়নকাল বছরের দীর্ঘতম রাত নিয়ে আসে। এবার এ সময়ে একটি সরু ও ক্ষীণ অর্ধচন্দ্রাকৃতি চাঁদ থাকবে। ফলে আকাশ অনেক অন্ধকার থাকবে।

আর্সিড উল্কাবৃষ্টি কেবল উত্তর গোলার্ধের বাসিন্দাদের জন্যই দৃশ্যমান হবে। কারণ, এর রেডিয়েন্ট বা যে বিন্দু থেকে উল্কা আসছে বলে মনে হয় তা দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশ থেকে দেখার মতো যথেষ্ট ওপরে ওঠে না। আর্সিড উল্কার উৎস লিটল ডিপার বা আর্সা মাইনর নক্ষত্রমণ্ডল। এটি উজ্জ্বল কমলা রঙের তারা কোচাবের কাছাকাছি অবস্থিত।

পৃথিবী যখন ধূমকেতু ৮পি/টাটলের ফেলে যাওয়া ধূলিকণার স্তরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে, তখনই এই উল্কাবৃষ্টি ঘটে। এ বিষয়ে লুনসফোর্ড জানান, এবার উল্কার সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ, পৃথিবী ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া একটি বিশেষ ধ্বংসাবশেষের স্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্কাবৃষ্টি দেখতে শহরের তীব্র আলো বা ধোঁয়াশা থেকে দূরে খোলা মাঠে বা ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করুন। অন্তত ২০-৩০ মিনিট অন্ধকারে থাকুন। ঘণ্টায় ৫-১০টি উল্কা পড়ার কথা থাকলেও ধৈর্য ধরলে হঠাৎ বেশিসংখ্যক উল্কা বা উজ্জ্বল ফায়ারবল দেখার সুযোগ মিলতে পারে।

Please Share This Post in Your Social Media

রাতের আকাশে আজ দেখা মিলবে উল্কাবৃষ্টি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
Update Time : ০৮:৩৪:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫

২০২৫ সালের বিদায়ী মহাজাগতিক ঘটনা হিসেবে আজ দেখা যাবে আর্সিড উল্কাবৃষ্টি। এ বিষয়ে আমেরিকান মেট্রিওর সোসাইটির ফায়ারবল রিপোর্ট কো–অর্ডিনেটর রবার্ট লুনসফোর্ড বলেন, আকাশপ্রেমীরা প্রতি ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০টি উল্কা দেখার আশা করতে পারেন। এই উল্কাবৃষ্টি উত্তর গোলার্ধে শীতকালীন অয়নকাল বা শীতের আনুষ্ঠানিক শুরুর কাছাকাছি সময়ে ঘটে। এ অঞ্চল এখন সূর্য থেকে সবচেয়ে দূরে রয়েছে। শীতকালীন অয়নকাল বছরের দীর্ঘতম রাত নিয়ে আসে। এবার এ সময়ে একটি সরু ও ক্ষীণ অর্ধচন্দ্রাকৃতি চাঁদ থাকবে। ফলে আকাশ অনেক অন্ধকার থাকবে।

আর্সিড উল্কাবৃষ্টি কেবল উত্তর গোলার্ধের বাসিন্দাদের জন্যই দৃশ্যমান হবে। কারণ, এর রেডিয়েন্ট বা যে বিন্দু থেকে উল্কা আসছে বলে মনে হয় তা দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশ থেকে দেখার মতো যথেষ্ট ওপরে ওঠে না। আর্সিড উল্কার উৎস লিটল ডিপার বা আর্সা মাইনর নক্ষত্রমণ্ডল। এটি উজ্জ্বল কমলা রঙের তারা কোচাবের কাছাকাছি অবস্থিত।

পৃথিবী যখন ধূমকেতু ৮পি/টাটলের ফেলে যাওয়া ধূলিকণার স্তরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে, তখনই এই উল্কাবৃষ্টি ঘটে। এ বিষয়ে লুনসফোর্ড জানান, এবার উল্কার সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে। কারণ, পৃথিবী ধূমকেতুর ফেলে যাওয়া একটি বিশেষ ধ্বংসাবশেষের স্তরের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

উল্কাবৃষ্টি দেখতে শহরের তীব্র আলো বা ধোঁয়াশা থেকে দূরে খোলা মাঠে বা ছাদে যাওয়ার চেষ্টা করুন। অন্তত ২০-৩০ মিনিট অন্ধকারে থাকুন। ঘণ্টায় ৫-১০টি উল্কা পড়ার কথা থাকলেও ধৈর্য ধরলে হঠাৎ বেশিসংখ্যক উল্কা বা উজ্জ্বল ফায়ারবল দেখার সুযোগ মিলতে পারে।