ঢাকা ০৫:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
কোন দল নিষিদ্ধ হবে সেই সিদ্ধান্ত জনগণের : মির্জা ফখরুল আগের নামে ফিরল পঞ্চগড় রেলওয়ে স্টেশন বিগত ১৭ বছরের সব গণহত্যার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী: মির্জা ফখরুল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ঐতিহাসিক দলিল হয়ে থাকবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন: তাজুল ইসলাম ‘রমজানে ডিম ও মুরগির দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে’ ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রাব্বানী গ্রেপ্তার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের বিরুদ্ধে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের আপিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাইদুর হত্যা মামলায় ৩ যুবকের মৃত্যুদণ্ড সন্ত্রাসীরা গ্রেফতার এড়াতে তাবলীগ জামাতকে ব্যবহার করতে পারে: জিএমপি কমিশনার

রাজশাহীতে সিজিএস’র আয়োজনে ফ্যাক্ট-চেকিং র্কমশালা

সুলতান মাহমুদ রেজা
  • Update Time : ০৬:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৪২ Time View

রাজশাহীতে সাংবাদিকদের তথ্য যাচাই ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে দক্ষতা বাড়াতে ফ্যাক্ট-চেকিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ র্কমশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ জানুয়ারী) নগরীর একটি আভিজাত্য হোটেলে সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) দিনব্যাপী এ র্কমশালার আয়োজন করে।

র্কমশালায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিজিএস’র নির্বাহী পরচিালক জলিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, র্বতমান ডিজিটাল যুগে ভুয়া তথ্য ও প্রোপাগান্ডা প্রতিরোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই র্কমশালা শুধু সাংবাদকিদের তথ্য যাচাইয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে না, বরং গণমাধ্যমের দায়ত্বিশীল ভূমিকা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করাই আমাদের এই উদ্যোগের মূল উদ্দশ্যে। অনুষ্ঠানে প্রধান প্রশক্ষিক ছিলেন আর্ন্তজাতিক র্বাতাসংস্থা এএফপি’র বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকিং সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। তিনি অংশগ্রহণকারীদের ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের আধুনিক পদ্ধতি, বিভিন্ন র্কাযকর টুলস ও তথ্য যাচাইয়ের কৌশল নিয়ে বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেন। র্কমশালায় জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা র্কমশালাটিকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন।

অংশগ্রহণকারী একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, এই র্কমশালা থেকে আমরা ফ্যাক্ট-চেকিং এর আধুনিক কৌশলগুলো শিখছে, যা পেশাগত জীবনে গুরুত্বর্পূণ ভূমকিা পালন করবে। বিশেষ করে ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এটি আমাদের অনকে বেশি আত্মবিশ্বাসী করেছে। অংশগ্রহণকারী এক নারী সাংবাদিক জানান, এটি শুধু একটি প্রশক্ষিণ নয়, আমাদের পেশদারিত্ব উন্নত করার একটি গুরুত্বর্পূণ পদক্ষেপ। আমরা শিখেছি কীভাবে তথ্য যাচাই করে আরও দায়ত্বিশীল সংবাদ পরিবেশন করা যায়।

র্কমশালাটি সিজিএস’র “ডিফেন্ডিং ডিজিটাল স্পেস অ্যান্ড ইউনাইটিং এগেইনস্ট মিসইনফরমশেন ইন বাংলাদেশ” র্শীষক প্রকল্পের অধীনে একটি উদ্যোগ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের র্অথায়নে ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড এবং আরটিকেল ১৯ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া র্কতৃক পরিচালিত “জয়নিং র্ফোস: সিএসও এন্ড মিডিয়া ফর একাউন্টিবিলিটি ইন বাংলাদেশ” এর কোলাবোরেশন ল্যাব উদ্যোগের অধীনে একটি প্রকল্প।

সিজিএস’র এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে ও গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী অংশগ্রহণকারীদের।

উল্লেখ্য, সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক; যা সুশাসন, র্দুনীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের বিষয়ে গবষেণা ও মিডিয়া স্টাডি পরচিালনা করে। দ্রুত পরির্বতনশীল জাতীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়ছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো- শিক্ষাগত সম্প্রদায়, সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে শাসনের মান উন্নত করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করা, দারিদ্র্য নিরসনের জন্য উপলব্ধ সম্পদের দক্ষ ও বিচক্ষণ ব্যবহার করার র্শত তৈরি করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, এবং বর্ধিত গণতন্ত্রীকরণ, অংশগ্রহণ এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা।

Please Share This Post in Your Social Media

রাজশাহীতে সিজিএস’র আয়োজনে ফ্যাক্ট-চেকিং র্কমশালা

সুলতান মাহমুদ রেজা
Update Time : ০৬:৫৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

রাজশাহীতে সাংবাদিকদের তথ্য যাচাই ও ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে দক্ষতা বাড়াতে ফ্যাক্ট-চেকিং বিষয়ক প্রশিক্ষণ র্কমশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১২ জানুয়ারী) নগরীর একটি আভিজাত্য হোটেলে সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) দিনব্যাপী এ র্কমশালার আয়োজন করে।

র্কমশালায় উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিজিএস’র নির্বাহী পরচিালক জলিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, র্বতমান ডিজিটাল যুগে ভুয়া তথ্য ও প্রোপাগান্ডা প্রতিরোধ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই র্কমশালা শুধু সাংবাদকিদের তথ্য যাচাইয়ের দক্ষতা বৃদ্ধি করবে না, বরং গণমাধ্যমের দায়ত্বিশীল ভূমিকা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করাই আমাদের এই উদ্যোগের মূল উদ্দশ্যে। অনুষ্ঠানে প্রধান প্রশক্ষিক ছিলেন আর্ন্তজাতিক র্বাতাসংস্থা এএফপি’র বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকিং সম্পাদক কদরুদ্দিন শিশির। তিনি অংশগ্রহণকারীদের ফ্যাক্ট-চেকিংয়ের আধুনিক পদ্ধতি, বিভিন্ন র্কাযকর টুলস ও তথ্য যাচাইয়ের কৌশল নিয়ে বাস্তবভিত্তিক প্রশিক্ষণ দেন। র্কমশালায় জাতীয় ও আঞ্চলিক গণমাধ্যমের সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সর অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীরা র্কমশালাটিকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ এবং সময়োপযোগী বলে উল্লেখ করেন।

অংশগ্রহণকারী একজন সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, এই র্কমশালা থেকে আমরা ফ্যাক্ট-চেকিং এর আধুনিক কৌশলগুলো শিখছে, যা পেশাগত জীবনে গুরুত্বর্পূণ ভূমকিা পালন করবে। বিশেষ করে ভুয়া তথ্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এটি আমাদের অনকে বেশি আত্মবিশ্বাসী করেছে। অংশগ্রহণকারী এক নারী সাংবাদিক জানান, এটি শুধু একটি প্রশক্ষিণ নয়, আমাদের পেশদারিত্ব উন্নত করার একটি গুরুত্বর্পূণ পদক্ষেপ। আমরা শিখেছি কীভাবে তথ্য যাচাই করে আরও দায়ত্বিশীল সংবাদ পরিবেশন করা যায়।

র্কমশালাটি সিজিএস’র “ডিফেন্ডিং ডিজিটাল স্পেস অ্যান্ড ইউনাইটিং এগেইনস্ট মিসইনফরমশেন ইন বাংলাদেশ” র্শীষক প্রকল্পের অধীনে একটি উদ্যোগ। ইউরোপীয় ইউনিয়নের র্অথায়নে ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড এবং আরটিকেল ১৯ বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়া র্কতৃক পরিচালিত “জয়নিং র্ফোস: সিএসও এন্ড মিডিয়া ফর একাউন্টিবিলিটি ইন বাংলাদেশ” এর কোলাবোরেশন ল্যাব উদ্যোগের অধীনে একটি প্রকল্প।

সিজিএস’র এই উদ্যোগ বাংলাদেশের সাংবাদিকতার মান উন্নয়নে ও গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদী অংশগ্রহণকারীদের।

উল্লেখ্য, সেন্টার ফর গর্ভন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) বাংলাদেশ ভিত্তিক একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক; যা সুশাসন, র্দুনীতি, মানবাধিকার, গণতন্ত্র এবং উন্নয়নের বিষয়ে গবষেণা ও মিডিয়া স্টাডি পরচিালনা করে। দ্রুত পরির্বতনশীল জাতীয় ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়ছে। প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য হলো- শিক্ষাগত সম্প্রদায়, সরকার, বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ এবং উন্নয়ন অংশীদারদের মধ্যে শাসনের মান উন্নত করা, বাংলাদেশের নিরাপত্তার চাহিদা পূরণ করা, দারিদ্র্য নিরসনের জন্য উপলব্ধ সম্পদের দক্ষ ও বিচক্ষণ ব্যবহার করার র্শত তৈরি করা, মানব সম্পদ উন্নয়ন, এবং বর্ধিত গণতন্ত্রীকরণ, অংশগ্রহণ এবং টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক শৃঙ্খলার স্থিতিশীলতা।