রাজবাড়ীতে ব্যবসায়ী হত্যায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

- Update Time : ০৭:৫৬:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৯০ Time View
রাজবাড়ীর পাংশায় বালু ব্যবসায়ী সাফিন খান (৪০) হত্যার দায়ে দুজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে রাজবাড়ী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।
দুজনকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ছয়জনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরিফুজ্জামান আরিফ ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত রশিদ কাজী অনুপস্থিত ছিলেন।
মামলার অপর তিন আসামি সেলিম রানা, রতন মোল্লা ও কবিরুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে হত্যায় সংশ্লিষ্টতার কোনো প্রমাণ না পাওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন কুষ্টিয়ার খোকসার আমবাড়িয়া গ্রামের সালাম মণ্ডলের ছেলে আরিফুজ্জামান আরিফ ও একই গ্রামের ইব্রাহিম প্রামাণিকের ছেলে রুহুল আমিন প্রামাণিক।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সেনগ্রামের মুরাদ মণ্ডলের ছেলে সামাদ মণ্ডল, শাজাহান প্রামাণিকের ছেলে ওয়াহেদ আলী প্রামাণিক, পাবনা সদর উপজেলার আকাই কাজীর ছেলে রশিদ কাজী, খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের সাত্তার মোল্লার ছেলে রাজীব মোল্লা, একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সবুজ মোল্লা ও মোতালেব মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লা।
নিহত সাফিন খান কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের বক্কার খানের ছেলে।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, সাফিন খান দীর্ঘ ১৮ বছর সৌদি আরব ছিলেন। সেখান থেকে দেশে ফিরে বালুর ব্যবসা শুরু করেন। ২০১৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামে একটি ফসলি ক্ষেত থেকে সাফিনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগের দিন ১৬ ডিসেম্বর বাড়ি থেকে বের হয়ে তিনি নিখোঁজ হন।
সাফিনের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বড় ভাই ফরিদ হাসান বাদী হয়ে পাংশা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। সেখানে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে পুলিশ মামলাটির তদন্ত করতে গিয়ে ওই পাঁচজনসহ আরও ছয়জনের সম্পৃক্ততা পায়। তদন্ত শেষে ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। মূলত বালুর ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই তাকে হত্যা করা হয়।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজবাড়ী আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুর রাজ্জাক (২) বলেন, এটি একটি চাঞ্চল্যকর মামলা ছিল। আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে আমি খুশি। এ রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।