ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড থমথমে রংপুর: কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের দখলে রাজপথ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা সিলেট শাবি’র হলে হলে আন্দোলকারীদের তল্লাশী, অস্ত্র উদ্ধার,ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ কোটাবিরোধী আন্দোলন: নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা ও আগুন লাগার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে – আর‌পিএম‌পি ক‌মিশনার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন আমার ভাই মরলো কেন! প্রশাসন জবাব চাই’ শ্লোগানে উত্তাল গাইবান্ধা

রাজউক কর্তৃক মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডকে ৮৫ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা জরিমানা

Reporter Name
  • Update Time : ০১:১৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩
  • / ১৭০ Time View

স্টাফ রিপোর্টার : মেডলার ফ্যাশন লিমিটেড, ওপেক্স-সিনহা গ্রুপের একটি বাণিজ্যিক অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।

রাজউক হতে ৬১, ৬৩, ৬৫ ও ৬৭ নং বাণিজ্যিক প্লটগুলো, মোট ৮০ কাঠা মেডলার ফ্যাশনের নামে ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে ৯ কোটি ৬৪ লক্ষ ৮ হাজার ৮০ টাকায় বরাদ্দ দেয়া হয়। প্লটগুলো নিকুঞ্জ (উত্তর) এয়ারপোর্ট রোড সংলগ্ন বিমানবন্দরের খুব কাছে অবস্থিত।

ন্যাম সম্মেলনের জন্য ঐ সময় বিভিন্ন দেশ হতে ভিআইপিদের বিমানবন্দরের কাছাকাছি থাকার জন্য আন্তর্জাতিকমানের একটি পাঁচ তারকা হোটেল তৈরীর লক্ষ্যে এই প্লটগুলো মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডকে বরাদ্দ দেয়া হয়। অথচ এই গ্রুপটির আন্তর্জাতিকমানের হোটেল পরিচালনার কোন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা নেই।

রাজউকের সাথে শর্তানুযায়ী মেডলার ফ্যাশন লিমিটেড ২০০৩ সালেই হোটেলটি তৈরীর করার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছর যাবত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত ৮০ কাঠার বাণিজ্যিক প্লটগুলোতে হোটেল নির্মাণতো দূরের কথা, একটি স্থাপনাও তৈরী করেনি এই প্রতিষ্ঠান। রাজউক মাঝেমধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ৮০ কাঠার প্লটে ইমারত নির্মাণের জন্য তাগিদ প্রদান করতো। কিন্তু মেডলার ফ্যাশন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করেনি। যার ফলে দীর্ঘ ২১ বছর যাবত প্লটগুলো অবহেলিত অবস্থায় খালি পড়ে আছে।

অথচ চুক্তিপত্র অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হলে, রাজউকের শর্তাবলী না মানলে বা রাজউকের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে বরাদ্দকৃত ঐ প্লট বাতিলের ক্ষমতা রাজউকের এককভাবে রয়েছে। কোন অদৃশ্য কারণে রাজউক এই প্লটগুলোর ব্যাপারে এ যাবত কোন কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেনি-তা মোটেও বোধগম্য নয়। তবে রাজউক চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল শর্ত মোতাবেক ইমারত নির্মাণ না করায় ৮৫ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডের কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি ইস্যু করে। পত্র জারির তারিখ হতে ১ মাসের মধ্যে জরিমানার সমুদয় টাকা পরিশোধ করার জন্য রাজউকের নির্দেশ রয়েছে।

এমতাবস্থায় মেডলার ফ্যাশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে।

জানা গেছে, রাজউকের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় জরিমানার এই বিপুল অংকের টাকা পরিশোধ না করার জন্য মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডের কর্তাব্যক্তিরা উপায় খুঁজছেন ও রাজউককে ম্যানেজ করার জন্য লবিং করছে।

যেহেতু ন্যাম সম্মেলন হয়নি, মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডও কোন হোটেল তৈরী করেনি, তাহলে রাজউকের শর্তানুযায়ী ৮০ কাঠার প্লটটির বরাদ্দ বাতিল করার এখতিয়ার রাজউকের রয়েছে। রাজউক বরাদ্দ বাতিল করে দেশী/বিদেশী উদ্যোক্তাকে পুনরায় বরাদ্দ প্রদান করে বাণিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য উৎসাহিত করতে পারে।

আন্তর্জাতিকমানের হোটেল কিংবা যেকোন আধুনিক প্রকল্প এখানে করা হলে বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এখানে স্থাপিত প্রকল্প অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ও দেশের ভাবমূর্তি আরও বাড়বে।

জানা যায় যে, ওপেক্স-সিনহা গ্রুপ এখন প্রায় মৃত। এই গ্রুপের সবকটি প্রকল্প অর্থের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণে গ্রুপটি দিশেহারা। এমতাবস্থায় এই গ্রুপের পক্ষে নতুন কোন প্রকল্প স্থাপন করা সম্ভব নয় বলে প্রতীয়মান।

Please Share This Post in Your Social Media

রাজউক কর্তৃক মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডকে ৮৫ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা জরিমানা

Reporter Name
Update Time : ০১:১৩:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ মে ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার : মেডলার ফ্যাশন লিমিটেড, ওপেক্স-সিনহা গ্রুপের একটি বাণিজ্যিক অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।

রাজউক হতে ৬১, ৬৩, ৬৫ ও ৬৭ নং বাণিজ্যিক প্লটগুলো, মোট ৮০ কাঠা মেডলার ফ্যাশনের নামে ২০০৩ সালে বিএনপি সরকারের আমলে ৯ কোটি ৬৪ লক্ষ ৮ হাজার ৮০ টাকায় বরাদ্দ দেয়া হয়। প্লটগুলো নিকুঞ্জ (উত্তর) এয়ারপোর্ট রোড সংলগ্ন বিমানবন্দরের খুব কাছে অবস্থিত।

ন্যাম সম্মেলনের জন্য ঐ সময় বিভিন্ন দেশ হতে ভিআইপিদের বিমানবন্দরের কাছাকাছি থাকার জন্য আন্তর্জাতিকমানের একটি পাঁচ তারকা হোটেল তৈরীর লক্ষ্যে এই প্লটগুলো মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডকে বরাদ্দ দেয়া হয়। অথচ এই গ্রুপটির আন্তর্জাতিকমানের হোটেল পরিচালনার কোন অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা নেই।

রাজউকের সাথে শর্তানুযায়ী মেডলার ফ্যাশন লিমিটেড ২০০৩ সালেই হোটেলটি তৈরীর করার কথা ছিল। কিন্তু দীর্ঘ ২১ বছর যাবত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থিত ৮০ কাঠার বাণিজ্যিক প্লটগুলোতে হোটেল নির্মাণতো দূরের কথা, একটি স্থাপনাও তৈরী করেনি এই প্রতিষ্ঠান। রাজউক মাঝেমধ্যে উক্ত প্রতিষ্ঠানকে ৮০ কাঠার প্লটে ইমারত নির্মাণের জন্য তাগিদ প্রদান করতো। কিন্তু মেডলার ফ্যাশন কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন কর্ণপাত করেনি। যার ফলে দীর্ঘ ২১ বছর যাবত প্লটগুলো অবহেলিত অবস্থায় খালি পড়ে আছে।

অথচ চুক্তিপত্র অনুযায়ী কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে প্লট বরাদ্দ দেয়া হলে, রাজউকের শর্তাবলী না মানলে বা রাজউকের পাওনা পরিশোধে ব্যর্থ হলে বরাদ্দকৃত ঐ প্লট বাতিলের ক্ষমতা রাজউকের এককভাবে রয়েছে। কোন অদৃশ্য কারণে রাজউক এই প্লটগুলোর ব্যাপারে এ যাবত কোন কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করেনি-তা মোটেও বোধগম্য নয়। তবে রাজউক চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল শর্ত মোতাবেক ইমারত নির্মাণ না করায় ৮৫ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য্য করে মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডের কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি ইস্যু করে। পত্র জারির তারিখ হতে ১ মাসের মধ্যে জরিমানার সমুদয় টাকা পরিশোধ করার জন্য রাজউকের নির্দেশ রয়েছে।

এমতাবস্থায় মেডলার ফ্যাশন লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে দৌড়ঝাপ শুরু করেছে।

জানা গেছে, রাজউকের একশ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহযোগিতায় জরিমানার এই বিপুল অংকের টাকা পরিশোধ না করার জন্য মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডের কর্তাব্যক্তিরা উপায় খুঁজছেন ও রাজউককে ম্যানেজ করার জন্য লবিং করছে।

যেহেতু ন্যাম সম্মেলন হয়নি, মেডলার ফ্যাশন লিমিটেডও কোন হোটেল তৈরী করেনি, তাহলে রাজউকের শর্তানুযায়ী ৮০ কাঠার প্লটটির বরাদ্দ বাতিল করার এখতিয়ার রাজউকের রয়েছে। রাজউক বরাদ্দ বাতিল করে দেশী/বিদেশী উদ্যোক্তাকে পুনরায় বরাদ্দ প্রদান করে বাণিজ্যিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার জন্য উৎসাহিত করতে পারে।

আন্তর্জাতিকমানের হোটেল কিংবা যেকোন আধুনিক প্রকল্প এখানে করা হলে বহু লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং আর্থ সামাজিক উন্নয়নে এখানে স্থাপিত প্রকল্প অগ্রণী ভূমিকা রাখবে ও দেশের ভাবমূর্তি আরও বাড়বে।

জানা যায় যে, ওপেক্স-সিনহা গ্রুপ এখন প্রায় মৃত। এই গ্রুপের সবকটি প্রকল্প অর্থের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে এবং হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যাংক ঋণে গ্রুপটি দিশেহারা। এমতাবস্থায় এই গ্রুপের পক্ষে নতুন কোন প্রকল্প স্থাপন করা সম্ভব নয় বলে প্রতীয়মান।