ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বর্তমান সময়ে সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা কল্পনাও করা যায় না – জামায়াত আমির ৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয়
বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ চায় কৃষকরা

রংপুরে সবজি সংরক্ষণে হিমাগার ও কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণের দাবি

আলমগীর হো‌সেন অপু, রংপুর জেলা প্রতি‌নি‌ধি
  • Update Time : ০৪:৫২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪
  • / ১৯৭ Time View

আসন্ন জাতীয় বাজেটে রংপুর অঞ্চলে আলুসহ সবজি সংরক্ষণে হিমাগার ও কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। হিমাগার না থাকায় প্রতিবছর সবজি পচে ১০ হাাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

শনিবার (০১ জুন) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন- সংগঠনের সদস্য সবুজ রায়, আতোয়ার রহমান বাবু, স্বপন রায়, রেদোয়ান ফেরদৌস, মজিবার রহমান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উত্তরাঞ্চল দেশের শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত। এই অঞ্চলে শুধুমাত্র সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় প্রতিবছর উৎপাদিত সবজির ৩০ শতাংশ পচে নষ্ট হয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশে প্রতিবছর সবজির চাহিদা ১ কোটি ৫২ লক্ষ টন। সরকারি হিমাগার না থাকায় পচে যাওয়ার আশংকায় উৎপাদক কৃষক পানির দরে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়।

কৃষক নেতারা বলেন, একদিকে সার, ডিজেল, কীটনাশকসহ উৎপাদনের উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষক ধারাবাহিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিবছর বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ ও ভর্তূকির পরিমাণ বৃদ্ধির পরিবর্তে কমানো হচ্ছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং সহজ শর্তে বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা খুব জরুরি। এটা এখন সময়ের দাবি।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দারিদ্র্যপীড়িত রংপুর অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপনের বিকল্প নেই। অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ কৃষি খাতে বরাদ্দ করা প্রয়োজন। এসময় রংপুর অঞ্চলে আলুসহ সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান নেতারা।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ চায় কৃষকরা

রংপুরে সবজি সংরক্ষণে হিমাগার ও কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণের দাবি

আলমগীর হো‌সেন অপু, রংপুর জেলা প্রতি‌নি‌ধি
Update Time : ০৪:৫২:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০২৪

আসন্ন জাতীয় বাজেটে রংপুর অঞ্চলে আলুসহ সবজি সংরক্ষণে হিমাগার ও কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে কৃষক সংগ্রাম পরিষদ। হিমাগার না থাকায় প্রতিবছর সবজি পচে ১০ হাাজার কোটি টাকা ক্ষতি হচ্ছে।

শনিবার (০১ জুন) দুপুরে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন সমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়।

কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট পলাশ কান্তি নাগের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন- সংগঠনের সদস্য সবুজ রায়, আতোয়ার রহমান বাবু, স্বপন রায়, রেদোয়ান ফেরদৌস, মজিবার রহমান প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ বলেন, উত্তরাঞ্চল দেশের শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত। এই অঞ্চলে শুধুমাত্র সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় প্রতিবছর উৎপাদিত সবজির ৩০ শতাংশ পচে নষ্ট হয়ে যায়। যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। দেশে প্রতিবছর সবজির চাহিদা ১ কোটি ৫২ লক্ষ টন। সরকারি হিমাগার না থাকায় পচে যাওয়ার আশংকায় উৎপাদক কৃষক পানির দরে সবজি বিক্রি করতে বাধ্য হয়।

কৃষক নেতারা বলেন, একদিকে সার, ডিজেল, কীটনাশকসহ উৎপাদনের উপকরণের মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে কৃষক ধারাবাহিকভাবে লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছে। প্রতিবছর বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ ও ভর্তূকির পরিমাণ বৃদ্ধির পরিবর্তে কমানো হচ্ছে। কৃষকের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা এবং সহজ শর্তে বিনাসুদে ঋণের ব্যবস্থা করা খুব জরুরি। এটা এখন সময়ের দাবি।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দারিদ্র্যপীড়িত রংপুর অঞ্চলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি তথা অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কৃষিভিত্তিক শিল্প কলকারখানা স্থাপনের বিকল্প নেই। অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে উন্নয়ন বাজেটের ৪০ শতাংশ কৃষি খাতে বরাদ্দ করা প্রয়োজন। এসময় রংপুর অঞ্চলে আলুসহ সবজি সংরক্ষণের জন্য হিমাগার এবং কৃষিভিত্তিক শিল্প-কলকারখানা নির্মাণে বিশেষ বরাদ্দের জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান নেতারা।

সমাবেশ শেষে একটি মিছিল নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এতে রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকরা অংশ নেন।