ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড থমথমে রংপুর: কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের দখলে রাজপথ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা সিলেট শাবি’র হলে হলে আন্দোলকারীদের তল্লাশী, অস্ত্র উদ্ধার,ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ কোটাবিরোধী আন্দোলন: নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা ও আগুন লাগার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে – আর‌পিএম‌পি ক‌মিশনার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন আমার ভাই মরলো কেন! প্রশাসন জবাব চাই’ শ্লোগানে উত্তাল গাইবান্ধা

রংপুরে পাউবো কর্মকর্তার চার বছরের জেল, ৪৩ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত

কামরুল হাসান টিটু,রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ০২:২২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩
  • / ১৩২ Time View

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হাসনা বানু লিপিকে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাকে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছিল।

ওই মামলায় সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে রংপুরের স্পেশাল জজ হায়দার আলী এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি হাসনা বানু লিপি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।

সেখানে সাংবাদিকরা ছবি নেওয়ার সময় ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন আসামি। পুলিশ তাকে নিবৃত করে।

এদিকে মামলা সূত্রে জানা গেছে, হাসনা বানু লিপি পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চাকরিকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।

বিষয়টি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে দুদক আইনে মামলা করে।

মামলার বাদী ছিলেন দুদকের রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাকারিয়া।

তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় দুদক। মামলায় সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪৩ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আত্মসাৎ করা ৪৩ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন।

আগামী ২ মাসের মধ্যে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।

দুদক আইনজীবী হারুনুর রশীদ জানান, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক প্রামাণিক বলেন, তারা ন্যায়বিচার পাননি।

রায়ের আদেশ কপি হাতে পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করা হবে। ন্যায়বিচার পেতে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে পাউবো কর্মকর্তার চার বছরের জেল, ৪৩ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত

কামরুল হাসান টিটু,রংপুর ব্যুরো
Update Time : ০২:২২:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ জুন ২০২৩

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হাসনা বানু লিপিকে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

একই সঙ্গে তাকে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছিল।

ওই মামলায় সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে রংপুরের স্পেশাল জজ হায়দার আলী এ রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি হাসনা বানু লিপি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়।

সেখানে সাংবাদিকরা ছবি নেওয়ার সময় ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন আসামি। পুলিশ তাকে নিবৃত করে।

এদিকে মামলা সূত্রে জানা গেছে, হাসনা বানু লিপি পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চাকরিকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।

বিষয়টি নিয়ে দুদক অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালে দুদক আইনে মামলা করে।

মামলার বাদী ছিলেন দুদকের রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাকারিয়া।

তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় দুদক। মামলায় সাত সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে চার বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪৩ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। সেই সঙ্গে আত্মসাৎ করা ৪৩ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন।

আগামী ২ মাসের মধ্যে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।

দুদক আইনজীবী হারুনুর রশীদ জানান, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক প্রামাণিক বলেন, তারা ন্যায়বিচার পাননি।

রায়ের আদেশ কপি হাতে পাওয়ার পর তা পর্যালোচনা করা হবে। ন্যায়বিচার পেতে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।