রংপুরে আধিপত্য বিস্তারে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত-১

- Update Time : ০৫:৩৬:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫
- / ১৩ Time View
রংপুরের বদরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে লাভলু মিয়া নামে একজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ২০ জন।
শনিবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সর্দার রুমের ইনচার্জ সেলিম মিয়া। সংঘর্ষে নিহত লাভলু মিয়া মোহাম্মদ আলী সরকারের পক্ষের বিএনপি নেতা। তিনি একই উপজেলার রাজরামপুর গ্রামের মৃত মহসিন আলীর ছেলে। পেশায় তিনি ইটভাটা ব্যবসায়ী ছিলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বদরগঞ্জ শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার সংলগ্ন একটি দোকানঘর নিয়ে টিন ব্যবসায়ী জাহিদুল হক জোয়ারদার এবং দোকান মালিক ইশতিয়াক বাবুর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। ইশতিয়াক বাবু ভাড়াটিয়াকে দোকানঘর ছাড়ার জন্য চাপ দিলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। বিষয়টি রাজনৈতিক রূপ নিলে দোকানের ভাড়াটিয়া জাহিদুল হক আশ্রয় নেন কালুপাড়া ইউনিয়ন
এদিকে আজ শনিবার বেলা ১১ টার দিকে দোকান খুলে দেওয়ার দাবিতে শহীদ মিনার এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিএনপি নেতা শহিদুল হক মানিকের নেতৃত্বে জাহিদুল হকের অনুসারীরা। অতর্কিতভাবে উপস্থিত হয়ে মোহাম্মদ আলী সরকারের সমর্থকরা মানববন্ধন পণ্ড করে দেন। মানববন্ধনে অতর্কিত হামলা নিয়ে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়, শুরু হয় দুই পক্ষেরই নেতাকর্মীদের দেশীয় অস্ত্রসহ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। এসময় পৌরশহর বাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করে। একপর্যায়ে দু্ইপক্ষের সংঘর্ষে গুরুতর সাংবাদিকসহ ২০ জন আহত হন। এর মধ্যে বিএনপি কর্মী লাভলু মিয়া (৫০), মোক্তারুল ইসলাম (৪৫), মুন্নাফ আলী (৫০), শফিকুল ইসলাম (৪৫) ও ময়নাল হোসেনকে (২৫) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাভলু মিয়া মারা যান। আহত নিহত সবাই উপজেলা বিএনপির নেতা ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকারের কর্মী-সমর্থক। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দুপুরের দিকে সেনাবাহিনী ও পুলিশ শহরে টহল শুরু করে।
এ বিষয়ে বদরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আতিকুর রহমান জানান, বিএনপি কর্মী লাভলু মিয়ার মারা যাওয়ার এখনও কাগজ হাতে পাইনি। এলাকার পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেই সাথে দোষীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
দুইগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বদরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম মানিক এবং সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির মানিককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে রংপুর জেলা বিএনপি। তাদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ আনা হয়েছে নোটিশে। তাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম ও সদস্য সচিব আনিছুর রহমান লাকুর নিকট নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়