ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র আত্মপ্রকাশ : ছাত্রলীগের হামলা মুক্তি পেল বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিয়ে নির্মিত সিরিজ ‘ক্যাম্পাস রিটার্নস’ সারাদেশে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয় ঢাবিতে শুরু হচ্ছে ১৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব-২০২৩ ঢাবিতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ৯৯ শিক্ষার্থীকে শাস্তি ঢাবিতে যৌন হয়রানি মারধর ও গবেষণাপত্রে চুরির দায়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের: হানিফ চবিতে সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চায় ডুজা লালবাগে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে লালবাগে মদিনা মিষ্টান্ন ভান্ডারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

রংপুরে অবশেষে শান্তির বৃষ্টিতে জনজীবন স্বস্তি

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর ব্যুরো
  • Update Time : ১১:২২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩
  • / ৯২ Time View

বেশ কয়েকদিনের দাবদাহের পর রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। রোববার (৪ জুন) বিকাল পৌনে চারটার পর থেকে রংপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। এর সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া।

দীর্ঘ দিন পর নামা এ বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে নগরীর প্রাণ প্রকৃতিতে। বৃষ্টির কারণে তীব্র গরম কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সকালের চেয়ে বিকেলের তাপমাত্রা বেশি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলার মতো রংপুরেও মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি না থাকায় তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে শহরে গ্রামে সবখানে। তাপপ্রবাহের মাত্রাও মৃদু থেকে তীব্র হয়। প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জনজীবন। অবশেষে রোববার সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে খানিকটা সময়ের জন্য হলেও জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে।

রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বর এলাকার ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান বেলাল বলেন, লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সঙ্গে টানা কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে সবখানে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছিল। রোববার বিকেলে আচমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে খানিকটা সময় বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।

পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের বগুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আশিকুজ্জামান হিমেল জানান, তার গ্রামে বিকেল চারটার আগমুহূর্তে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া ছিল। তবে বৃষ্টির স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ ছিল না। দমকা ঝড়ো হাওয়ার কারণে কিছু জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে রংপুরে মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু থেকে তাপপ্রবাহ। গত ১ জুন জেলায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর দিন ২ জুন তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রির ঘরে ছিল। ৩ জুন ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় আগুন ঝরা গরম এবং রাতে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ ছিল মানুষ। এই দুর্ভোগের সঙ্গে যুক্ত হয় লোডশেডিং। যা কষ্টের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ রোববার (৪ জুন) সকালে দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ২ এবং বেলা চারটায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, রোববার বিকেলে জেলার বিভিন্ন স্থানসহ প্রত্যন্ত এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল ২০ মিনিট। এ সময় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের পাশাপাশি বাতাসের বেগ বেশি ছিল।

Please Share This Post in Your Social Media

রংপুরে অবশেষে শান্তির বৃষ্টিতে জনজীবন স্বস্তি

Update Time : ১১:২২:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ জুন ২০২৩

বেশ কয়েকদিনের দাবদাহের পর রংপুরের বিভিন্ন এলাকায় স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। রোববার (৪ জুন) বিকাল পৌনে চারটার পর থেকে রংপুর মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়। এর সঙ্গে ছিল ঝোড়ো হাওয়া।

দীর্ঘ দিন পর নামা এ বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে নগরীর প্রাণ প্রকৃতিতে। বৃষ্টির কারণে তীব্র গরম কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সকালের চেয়ে বিকেলের তাপমাত্রা বেশি বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

গত এক সপ্তাহ ধরে দেশের বিভিন্ন জেলার মতো রংপুরেও মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টি না থাকায় তাপপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়ে শহরে গ্রামে সবখানে। তাপপ্রবাহের মাত্রাও মৃদু থেকে তীব্র হয়। প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে জনজীবন। অবশেষে রোববার সেই বহুল কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে খানিকটা সময়ের জন্য হলেও জনজীবনে স্বস্তি ফিরেছে।

রংপুর মহানগরীর শাপলা চত্বর এলাকার ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান বেলাল বলেন, লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সঙ্গে টানা কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে সবখানে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছিল। রোববার বিকেলে আচমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে খানিকটা সময় বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।

পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের বগুড়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা আশিকুজ্জামান হিমেল জানান, তার গ্রামে বিকেল চারটার আগমুহূর্তে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া ছিল। তবে বৃষ্টির স্থায়ীত্ব বেশিক্ষণ ছিল না। দমকা ঝড়ো হাওয়ার কারণে কিছু জায়গায় গাছপালা উপড়ে পড়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে রংপুরে মে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু থেকে তাপপ্রবাহ। গত ১ জুন জেলায় এ মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর দিন ২ জুন তাপমাত্রা ৩৮ দশমিক ৭ ডিগ্রির ঘরে ছিল। ৩ জুন ছিল ৩৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রায় আগুন ঝরা গরম এবং রাতে ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ ছিল মানুষ। এই দুর্ভোগের সঙ্গে যুক্ত হয় লোডশেডিং। যা কষ্টের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আজ রোববার (৪ জুন) সকালে দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৭ দশমিক ২ এবং বেলা চারটায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

রংপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান জানান, রোববার বিকেলে জেলার বিভিন্ন স্থানসহ প্রত্যন্ত এলাকায় ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল ২০ মিনিট। এ সময় ১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতের পাশাপাশি বাতাসের বেগ বেশি ছিল।