ঢাকা ০৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পরিবেশ অফিস নিরব

ম্যানেজ করেই চলছে গাজীপুরে অবৈধ পলিথিন কারখানা

মোঃ বায়েজীদ হোসেন
  • Update Time : ১২:৫৬:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩
  • / ২৩৪ Time View

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার সাতাইশ রোডের নয়াবাড়ি সহ আশপাশের আরো কয়েকটি স্থানে গড়ে উঠেছে পলিথিনের অবৈধ কারখানা।

সরেজমিনে দেখা যায়- সাইনবোর্ড বিহীন টিনসেড ভাড়া নিয়ে একশ্রেণির অসাধূ ব্যবসায়ীরা গাজীপুর পরিবেশ অফিসের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ পলিথিন উৎপাদন করে চলেছে। আব্দুল মান্নান, দুলাল, ফারুক মিয়া ও আব্দুল খালেক ওই সকল অবৈধ পলিথিন কারখানার মালিক।

কারখানায় গেলে ওই মালিকদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। তবে পলিথিন উৎপাদনকারী শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান- মালিকরা সকল সময় থাকেননা। আমরাই সকল কাজ পরিচালনা করি।

তারা আরো জানায়- মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন আসেন। মালিকপক্ষ তখনতাদেরকে ম্যানেজ করেন। কিভাবে করেন, তা আমরা জানি না। অবৈধ পলিথিন কারখানাগুলোতে তৈরীকৃত পলিথিন দেশের বিভিন্ন স্থানে তারাপ্রেরণ করেন। ফলে দেশের যত্রতত্র অবৈধ পলিথিনে পরিবেশ মারাত্বকভাবে দুষিত হচ্ছে। এই পলিথিন যে জমিতে ফেলা হয় সেখানে কোন রকম ফসলাদি উৎপন্নহয়না।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়- এই অবৈধ কারখানাগুলো অশুভ শক্তির আশ্রয়ে চালানো হচ্ছে। পরিবেশ দুষিত হলেও আমারা তাদেরকে কিছু বলতে পারিনা। কারখানা মালিকরা অত্যন্ত ধুরন্দর ও চতুর। তারা বলে বেড়ান, আমরা উপরমহলকে ম্যানেজ করেই পলিথিন উৎপাদন করে আসছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে কয়েক বার গাজীপুর পরিবেশ অফিসে গেলেও কর্মকর্তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে জেলা প্রশাসক মোঃ আনিসুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এধরনের কোন অবৈধ পলিথিন কারখানা থাকলে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয়ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

পরিবেশ অফিস নিরব

ম্যানেজ করেই চলছে গাজীপুরে অবৈধ পলিথিন কারখানা

মোঃ বায়েজীদ হোসেন
Update Time : ১২:৫৬:১৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০২৩

গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানা এলাকার সাতাইশ রোডের নয়াবাড়ি সহ আশপাশের আরো কয়েকটি স্থানে গড়ে উঠেছে পলিথিনের অবৈধ কারখানা।

সরেজমিনে দেখা যায়- সাইনবোর্ড বিহীন টিনসেড ভাড়া নিয়ে একশ্রেণির অসাধূ ব্যবসায়ীরা গাজীপুর পরিবেশ অফিসের যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ পলিথিন উৎপাদন করে চলেছে। আব্দুল মান্নান, দুলাল, ফারুক মিয়া ও আব্দুল খালেক ওই সকল অবৈধ পলিথিন কারখানার মালিক।

কারখানায় গেলে ওই মালিকদের কাউকেই পাওয়া যায়নি। তবে পলিথিন উৎপাদনকারী শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান- মালিকরা সকল সময় থাকেননা। আমরাই সকল কাজ পরিচালনা করি।

তারা আরো জানায়- মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজন আসেন। মালিকপক্ষ তখনতাদেরকে ম্যানেজ করেন। কিভাবে করেন, তা আমরা জানি না। অবৈধ পলিথিন কারখানাগুলোতে তৈরীকৃত পলিথিন দেশের বিভিন্ন স্থানে তারাপ্রেরণ করেন। ফলে দেশের যত্রতত্র অবৈধ পলিথিনে পরিবেশ মারাত্বকভাবে দুষিত হচ্ছে। এই পলিথিন যে জমিতে ফেলা হয় সেখানে কোন রকম ফসলাদি উৎপন্নহয়না।

এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়- এই অবৈধ কারখানাগুলো অশুভ শক্তির আশ্রয়ে চালানো হচ্ছে। পরিবেশ দুষিত হলেও আমারা তাদেরকে কিছু বলতে পারিনা। কারখানা মালিকরা অত্যন্ত ধুরন্দর ও চতুর। তারা বলে বেড়ান, আমরা উপরমহলকে ম্যানেজ করেই পলিথিন উৎপাদন করে আসছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে কয়েক বার গাজীপুর পরিবেশ অফিসে গেলেও কর্মকর্তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে জেলা প্রশাসক মোঃ আনিসুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, এধরনের কোন অবৈধ পলিথিন কারখানা থাকলে দ্রুত তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয়ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।