মেয়র মঈন কাদরির আমন্ত্রনে বার্কিং টাউন হল পরিদর্শনে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিনিধি দল
- Update Time : ০৬:২৪:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ১৪ Time View
বার্কিং এন্ড ডাগেহ্যাম কাউন্সিলের ব্রিটিশ বাংলাদেশী মেয়র মঈন কাদরির আমন্ত্রনে বার্কিং টাউনহল পরিদর্শনে ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ।
গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর রবিবার লন্ডন সময় দুপুরে ইউনিটির প্রেসিডেন্ট আনসার আহমেদ উল্লাহ ও সেক্রেটারী জোবায়ের আহমদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল বার্কিং টাউন হলে পৌঁছালে মেয়র সাংবাদিকদের স্বাগত জানান।
সাংবাদিকদের সম্মানে মেয়রের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় মধ্যাহ্ন ভোজের। এর পর সাংবাদিকদের সাথে ঘণ্টা ব্যাপী বৈঠকে মেয়র বারার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং মালটিক্যালচারাল এই বারার নাগরিকদের সুযোগ সুবিধার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।
মেয়র জানান, রাজার প্রতিনিধি হিসেবে মেয়ররা নাগরিকদের দেখভাল করেন। মেয়র বলেন একসময় এই এলাকা ছিল বর্ণবাদী ব্রিটিশ ন্যাশনাল ফন্ট (বিএনপি‘র) ঘাটি হিসেবে পরিচিত। বর্ণবাদীদের কারণে মাইগ্রেন্ট কমিউনিটির লোকজন ছিল কোণঠাসা। চাকুরী, হাউজিং,, শিক্ষা এমনকি পাবলিক ট্রান্সপোট সকল দিক থেকে মাইগ্রেন্টদের হয়রানির শিকার হতে হত। এখন আর বর্ণবাদীরা নেই এই বারার কাউন্সিলারদের অধিকাংশই মাইগ্রেন্ট কমিউনিটির বর্তমানে এই বারায় ৫জন বাঙ্গালী কাউন্সিলার রয়েছেন। বারার নাগরিকরা এই এলাকাকে সম্পৃতির বারা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তিন লক্ষ্যাদিক জনসংখ্যার বার্কিং ডাগেনহ্যাম এলাকায় এখন খৃষ্টান, বৌদ্ধ, শিখ, হিন্দু এবং মুসলিমরা এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। গড়ে উঠেছে ধর্মীয় সম্পৃতি। মালটি ফেইথ কমিউনিটির বন্ধন খুবই শক্ত।
এসময় মেয়র সাংবাদিকদের কাউন্সিলের কনফারেন্স হল সহ বিভিন্ন রুম ঘুরে দেখান। মেয়র বলেন বর্তমানে এই এলাকায়, ইংরেজ, নাইজেরীয়, ভারতীয়, পাকিস্তানী শ্রীলংকান, আরবিয়ান ক্যারাবিয়ানদের পাশাপাশি বাংলাদেশী এবং ভারতীয় মিলিয়ে দশ হাজার বাঙ্গালী রয়েছেন এই বারায়। ব্যবসা বানিজ্যের দিক থেকে বাঙালী এবং ভারতীয়রা এগিয়ে। মেয়র বলেন বাঙ্গালী হিসেবে এই বারায় তিনি দ্বিতীয় মেয়র এর আগে ফারুক চৌধুরী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মেয়র আরো জানান বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় দিবস পালন করা হয় কাউন্সিলের পক্ষ থেকে বিশেষ বিশেষ দিনে টাউন হলে আমাদের লাল সবুজের জাতীয় পতাকার পাশাপাশি অন্যান্য দেশের পতাকাও উত্তোলন করা হয় টাউন হলে।
মেয়র বলেন ১৯৬৪ সালে লন্ডন বরো অফ বার্কিং হিসেবে এই বারার যাত্রা শুরু হলেও ১৯৮০ সালে নাম পরিবর্তন করা হয়। ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে এর জনসংখ্যা ছিল ১৮৭০০০ জন। বরোটির তিনটি প্রধান শহর হল বার্কিং, চ্যাডওয়েল হিথ এবং ডাগেনহাম। ২০১২সালে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজনের জন্য লন্ডনের ছয়টি বরোর মধ্যে বার্কিং এবং ডাগেনহ্যাম অন্যতম। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মেয়র জানান ড্রাগ, ধর্মীয় উগ্রবাদ এবং ক্রাইম এখন বিশ্বের অন্যতম সমস্যা, নবপ্রজন্ম যাতে উগ্রবাদের দিকে ধাবিত নায় হয়, এখানকার মালটি ফেইথ কমিউনিটি খুবই সচেতেন। ক্রাইম বন্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপশি স্থানীয় সরকার সচেতন রয়েছে। মেয়র মনে করেন গ্রেটার লন্ডন সহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কয়েকটি পুলিশ ষ্টেশন বন্ধ হওয়াতে ক্রইম বেড়েছে। তবে পুলিশি টহল ও জোরদার করলে ক্রাইম বন্ধ করা সহজ হবে। দশ সদস্যের প্রতিনিধি দলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন. মতিয়ার চৌধুরী, মুহাম্মদ শাহেদ রহমান, মোহাম্মদ সালেহ আহমদ, ড. আজিজুল আম্বিয়া, এসকেএম আশরাফুল হুদা, সাজিদুর রহমান, এ রহমান অলি, মির্জা আবুল কাশেম।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়