ঢাকা ১০:৫২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা নিবেদন সন্দ্বীপের বেড়ীবাঁধ এলাকায় চলমান তীর রক্ষা বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে নোয়াখালীতে ৩৬ কলেজ-মাদরাসায় ছাত্রদলের নতুন কমিটি, আনন্দ মিছিল ফরিদপুরে চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম, বাড়ি-ঘর ভাংচুর ও লুটপাট নতুন বাংলাদেশ গড়তে সঠিক তথ্য জানতে হবে – পরিবেশ উপদেষ্টা সেনাবাহিনীসহ অনেককেই নানাভাবে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে লেডি বাইকার এশা গ্রেপ্তার ৯ এপ্রিল থেকে দেশে শুরু হচ্ছে স্টারলিংক ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন ফেসবুক স্টোরি থেকেও আয় করা যাবে লোহাগাড়ায় শিশু যৌন হয়রানির চেষ্টা, যুবক গ্রেফতার
শিবির সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম

মূলধারার সাংবাদিকরা নয়, জুলাই বিপ্লবের কারিগর হলেন ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫
  • / ২১ Time View

মূলধারার গণমাধ্যম বা সাংবাদিকরা নন, জুলাই বিপ্লব সফল করার মূল কারিগর হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সত্য সংবাদ সাহসের সাথে তুলে ধরার ফলেই জুলাই বিপ্লব সফল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)গণিত বিভাগের ১১৯ নং কক্ষে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বাংলাদেশ ইসলামী শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম এই কথা গুলো বলেন।

শিবির সেক্রেটারি বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা জুলাই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারা কারও পারপাস সার্ভ করার জন্য কাজ করেনি। স্বাধীনভাবে দেশের পক্ষে কাজ করে গেছেন তারা। এই ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা না থাকলে জুলাই বিপ্লব সফল হতো না। জুলাই-এ এক পর্যায়ে সবাই লেখালেখি বন্ধ করে দিলেও ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা সাহস করে তাদের লেখা চালিয়ে গিয়েছিল।

দেশের মিডিয়া অঙ্গনের সমালোচনা করে নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে মিডিয়াগুলো এমন একটা এস্টাবলিশমেন্টকে সার্ব করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। কোন প্রতিষ্ঠান তার নিজের অপকর্ম ঢেকে রাখার জন্য এসব মিডিয়া তৈরি করে। কারণ সে চিন্তা করে, তার নামে একটা রিপোর্ট করলে এটিকে কাউন্টার দেয়ার জন্য তারও একটা মিডিয়া দরকার। এখান থেকে ইয়েলো জার্নালিজমের উৎপত্তি হয়। কোন নিউজ দেয়া যাবে – যাবে না, তা যখন কোন গোষ্ঠী স্বার্থের ওপর নির্ভর করে, তখন এটি আর সাংবাদিকতা থাকে না, ইয়েলো জার্নালিজম হয়ে যায়।

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা অনেক সাংবাদিক দেখি, বাড়ি-গাড়ি করে ফেলেছে। একটা ক্রাইমের রিপোর্ট করে সিন্ডিকেট করে অনেক টাকা আয় করা যায়। আবার অনেক সাংবাদিক খুব কষ্টে দিনাতিপাত করে। দিনশেষে চলার মত অর্থও তার থাকে না। তাই আমরা চাই, সাংবাদিকদের কল্যাণে রাষ্ট্রের আলাদা একটা বরাদ্দ, পলিসি থাকবে। যাতে তারা নিরেপক্ষভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।

সাংবাদিকদের কমিউনিটির স্বার্থে কাজ করার আহবান জানিয়ে শিবির সেক্রেটারি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থ নয়, গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে কমিউনিটির স্বার্থে আমরা যাতে সবাই কাজ করি। এমন নিউজ যাতে আমরা না করি, যার ফলে সমাজে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে ভায়োলেন্সে (সহিংসতা) কারও জীবনও চলে যেতে পারে। এই ধরণের ঘটনার দায় দায়িত্ব আমরা কোন দিন এড়াতে পারি না। দুনিয়াতে এড়ানো গেলেও আল্লাহর কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। প্রত্যেকটা কাজে যদি আমরা আমানতদারীর চেতনা ডেভেলপ করতে পারি, তাহলে প্রতিটি কাজই আমাদের জন্য ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়। মুসলামানদের জন্য এটাই একটা বড় সুযোগ, সে যে কাজই করুক না কেন, তা ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়। মুমিন ব্যক্তি তার ব্যবসা, সাংবাদিকতা সবক্ষেত্রেই মোরাল এথিকস মেনে চলার চেষ্টা করে। সেটাই তার জন্য ইবাদত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইফতার প্রোগ্রামটি পরিচালনা করা হয়। প্রোগ্রামটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব,সহ অন্য অন্য সংগঠনের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

শিবির সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম

মূলধারার সাংবাদিকরা নয়, জুলাই বিপ্লবের কারিগর হলেন ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা

মো রাকিব হাসান, জবি প্রতিনিধি
Update Time : ১১:৪৯:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মার্চ ২০২৫

মূলধারার গণমাধ্যম বা সাংবাদিকরা নন, জুলাই বিপ্লব সফল করার মূল কারিগর হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা। ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের সত্য সংবাদ সাহসের সাথে তুলে ধরার ফলেই জুলাই বিপ্লব সফল হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি)গণিত বিভাগের ১১৯ নং কক্ষে শাখা ছাত্রশিবির আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে বাংলাদেশ ইসলামী শিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম এই কথা গুলো বলেন।

শিবির সেক্রেটারি বলেন, ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা জুলাই বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তারা কারও পারপাস সার্ভ করার জন্য কাজ করেনি। স্বাধীনভাবে দেশের পক্ষে কাজ করে গেছেন তারা। এই ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা না থাকলে জুলাই বিপ্লব সফল হতো না। জুলাই-এ এক পর্যায়ে সবাই লেখালেখি বন্ধ করে দিলেও ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা সাহস করে তাদের লেখা চালিয়ে গিয়েছিল।

দেশের মিডিয়া অঙ্গনের সমালোচনা করে নুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশে মিডিয়াগুলো এমন একটা এস্টাবলিশমেন্টকে সার্ব করার জন্য প্রতিষ্ঠা করা হয়। কোন প্রতিষ্ঠান তার নিজের অপকর্ম ঢেকে রাখার জন্য এসব মিডিয়া তৈরি করে। কারণ সে চিন্তা করে, তার নামে একটা রিপোর্ট করলে এটিকে কাউন্টার দেয়ার জন্য তারও একটা মিডিয়া দরকার। এখান থেকে ইয়েলো জার্নালিজমের উৎপত্তি হয়। কোন নিউজ দেয়া যাবে – যাবে না, তা যখন কোন গোষ্ঠী স্বার্থের ওপর নির্ভর করে, তখন এটি আর সাংবাদিকতা থাকে না, ইয়েলো জার্নালিজম হয়ে যায়।

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, আমরা অনেক সাংবাদিক দেখি, বাড়ি-গাড়ি করে ফেলেছে। একটা ক্রাইমের রিপোর্ট করে সিন্ডিকেট করে অনেক টাকা আয় করা যায়। আবার অনেক সাংবাদিক খুব কষ্টে দিনাতিপাত করে। দিনশেষে চলার মত অর্থও তার থাকে না। তাই আমরা চাই, সাংবাদিকদের কল্যাণে রাষ্ট্রের আলাদা একটা বরাদ্দ, পলিসি থাকবে। যাতে তারা নিরেপক্ষভাবে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারবে।

সাংবাদিকদের কমিউনিটির স্বার্থে কাজ করার আহবান জানিয়ে শিবির সেক্রেটারি বলেন, ব্যক্তি স্বার্থ নয়, গোষ্ঠীর প্রতিনিধি হিসেবে কমিউনিটির স্বার্থে আমরা যাতে সবাই কাজ করি। এমন নিউজ যাতে আমরা না করি, যার ফলে সমাজে কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এর ফলে ভায়োলেন্সে (সহিংসতা) কারও জীবনও চলে যেতে পারে। এই ধরণের ঘটনার দায় দায়িত্ব আমরা কোন দিন এড়াতে পারি না। দুনিয়াতে এড়ানো গেলেও আল্লাহর কাছে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। প্রত্যেকটা কাজে যদি আমরা আমানতদারীর চেতনা ডেভেলপ করতে পারি, তাহলে প্রতিটি কাজই আমাদের জন্য ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়। মুসলামানদের জন্য এটাই একটা বড় সুযোগ, সে যে কাজই করুক না কেন, তা ইবাদত হিসেবে পরিগণিত হয়। মুমিন ব্যক্তি তার ব্যবসা, সাংবাদিকতা সবক্ষেত্রেই মোরাল এথিকস মেনে চলার চেষ্টা করে। সেটাই তার জন্য ইবাদত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলামের সঞ্চালনায় ইফতার প্রোগ্রামটি পরিচালনা করা হয়। প্রোগ্রামটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব,সহ অন্য অন্য সংগঠনের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।