ঢাকা ০২:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তিযোদ্ধার ছেলের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, ১৩ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর
  • Update Time : ০৩:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩
  • / ২০২ Time View

রংপুর নগরীর খলিফাপাড়া হাজীটারী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল ওয়াহেদের ছেলের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ১৩ লাখ নগদ টাকা ও চেক, মুক্তিযোদ্ধার সনদসহ গুরুত্বপূর্ণ ভাউচার লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার হোসেন আলী, বাবু, আলামিন, আসিক, জেনারুল ও মিলনের বিরুদ্ধে।

হামলা ও লুটপাটের ঘটনার পর পরিবারটি প্রাণের ভয়ে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না।

এ ঘটনায় (৭জুন) বুধবার বিকেলে জীবন বাঁচানো ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারটি।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবারটি দাবি করেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খলিফাপাড়া হাজীটারীর বাসিন্দা আব্দুল হাইয়ের কাছে ২০১১ সালে ৩ শতক জমি ৩ লাখ টাকায় কেনেন রেজাউল করিম। আরও পয়েন্ট ৯১ শতাংশ জমি কিনেন হামলাকারী হোসেন আলীর চার বোনের কাছে। সেই জমির দলিল দিয়ে রুপালি ব্যাংকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেন রেজাউল করিম। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে প্রতিবেশি হোসেন আলীর পরিবার দাবি করেন তাঁর বসত বাড়ির ৩ দশমিক ৯১ শতক জায়গা তাদের ভাগ রয়েছে। এ জন্য মোটা অঙ্কে টাকা দাবি করেন। সেই টাকা ও জমি দিতে অস্বীকৃতি জানান রেজাউলের পরিবার।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২ জুন ওই জমিতে থাকা রেজাউলের পাকা বাড়ি গুড়িয়ে দেন দুর্বৃত্ত হোসেন আলী, বাবু, আলামিন, আসিক, জেনারুল ও মিলনসহ ৫০-৬০জন। এ সময় বাড়িতে রেজাউলের স্ত্রী চন্দ্র রেজা একা থাকায় ১৩ লাখ নগদ টাকা, বিভিন্ন চেক, ভাউচারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কাপড় লুট করে নিয়ে যায়। এসময় চন্দ্র রেজা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে চন্দ্র রেজা বলেন, আমি বাড়িতে ফিরতে পারছি না। স্বামী, সন্তানেরা সবাই বাইরে। একাই বাড়িতে থাকি কিন্তু হোসেন আলীর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ধরণে হুমকি দিচ্ছে। প্রাণ ভয়ে ঘর ছেড়ে আছি। আমি টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মিলন মিয়া বলেন, জমি আমাদের। বিভিন্ন সময় রেজাউলের সঙ্গে রফাদফার চেষ্টা হয়েছে। কাউন্সিলর আমাদের দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিল। তারা আপোষ না করায় কাউন্সিলর জমি দখলে নিতে বলেছেন। তাই দখলে নিতে গিয়েছিলাম।

তবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘আমি দুই পক্ষকে নিয়ে দু’ বছর আগে বসছিলাম। এক পক্ষ কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আমি মিলনকে আইনের আশ্রয় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁকে বাড়ি ঘর ভাংচুরের নির্দেশ দেইনি।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

মুক্তিযোদ্ধার ছেলের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর, ১৩ লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগ

কামরুল হাসান টিটু, রংপুর
Update Time : ০৩:১৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুন ২০২৩

রংপুর নগরীর খলিফাপাড়া হাজীটারী এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুল ওয়াহেদের ছেলের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ১৩ লাখ নগদ টাকা ও চেক, মুক্তিযোদ্ধার সনদসহ গুরুত্বপূর্ণ ভাউচার লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার হোসেন আলী, বাবু, আলামিন, আসিক, জেনারুল ও মিলনের বিরুদ্ধে।

হামলা ও লুটপাটের ঘটনার পর পরিবারটি প্রাণের ভয়ে বাড়িতে ফিরতে পারছেন না।

এ ঘটনায় (৭জুন) বুধবার বিকেলে জীবন বাঁচানো ও সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবারটি।

সংবাদ সম্মেলনে পরিবারটি দাবি করেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের খলিফাপাড়া হাজীটারীর বাসিন্দা আব্দুল হাইয়ের কাছে ২০১১ সালে ৩ শতক জমি ৩ লাখ টাকায় কেনেন রেজাউল করিম। আরও পয়েন্ট ৯১ শতাংশ জমি কিনেন হামলাকারী হোসেন আলীর চার বোনের কাছে। সেই জমির দলিল দিয়ে রুপালি ব্যাংকে ঋণ নিয়ে বাড়ি করেন রেজাউল করিম। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে প্রতিবেশি হোসেন আলীর পরিবার দাবি করেন তাঁর বসত বাড়ির ৩ দশমিক ৯১ শতক জায়গা তাদের ভাগ রয়েছে। এ জন্য মোটা অঙ্কে টাকা দাবি করেন। সেই টাকা ও জমি দিতে অস্বীকৃতি জানান রেজাউলের পরিবার।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২ জুন ওই জমিতে থাকা রেজাউলের পাকা বাড়ি গুড়িয়ে দেন দুর্বৃত্ত হোসেন আলী, বাবু, আলামিন, আসিক, জেনারুল ও মিলনসহ ৫০-৬০জন। এ সময় বাড়িতে রেজাউলের স্ত্রী চন্দ্র রেজা একা থাকায় ১৩ লাখ নগদ টাকা, বিভিন্ন চেক, ভাউচারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, কাপড় লুট করে নিয়ে যায়। এসময় চন্দ্র রেজা ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে চন্দ্র রেজা বলেন, আমি বাড়িতে ফিরতে পারছি না। স্বামী, সন্তানেরা সবাই বাইরে। একাই বাড়িতে থাকি কিন্তু হোসেন আলীর পরিবারের লোকজন বিভিন্ন ধরণে হুমকি দিচ্ছে। প্রাণ ভয়ে ঘর ছেড়ে আছি। আমি টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মিলন মিয়া বলেন, জমি আমাদের। বিভিন্ন সময় রেজাউলের সঙ্গে রফাদফার চেষ্টা হয়েছে। কাউন্সিলর আমাদের দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিল। তারা আপোষ না করায় কাউন্সিলর জমি দখলে নিতে বলেছেন। তাই দখলে নিতে গিয়েছিলাম।

তবে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আব্দুল গাফ্ফার বলেন, ‘আমি দুই পক্ষকে নিয়ে দু’ বছর আগে বসছিলাম। এক পক্ষ কাগজ দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় আমি মিলনকে আইনের আশ্রয় যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তাঁকে বাড়ি ঘর ভাংচুরের নির্দেশ দেইনি।’