ঢাকা ১০:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ বিচারকের বিদায় সংবর্ধনা কিসের পাওয়ারে ট্রিপল মার্ডারের আসামি জহিরুল বাহিরে টঙ্গীর জাভান হোটেলে পুলিশের অভিযানে বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেফতার ৭ ছাত্র-জনতার উপর হামলা মামলার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার ইরানি দম্পতির ওপর হামলা, কারাগারে ৪ আসামি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাসিক নিষ্পত্তি সভা অনুষ্ঠিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা! ঢাকায় যুক্ত হচ্ছে ৪০০ ইলেকট্রিক বাস! ছিনতাইকারীর কবল থেকে ইরানী দম্পতিকে উদ্ধার করলো সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প থাকলে স্থানীয়দের চাকরি থাকবে এটাই শেষ কথা!

মিয়ানমারের মাইটেলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • Update Time : ০৭:০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ১৩৭ Time View

মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর মাইটেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কোম্পানিটির আর্থিক সম্পর্ক থাকাকে নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তর মাইটেলকে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের তালিকায় যুক্ত করে জানিয়েছে, কোম্পানিটি ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে নজরদারি সেবা এবং আর্থিক সহায়তা’ দিয়ে আসছে।

মাইটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এর কার্যক্রমের মাধ্যমে সামরিক সরকার ‘নিশানাভুক্ত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীগুলোকে ট্র্যাকিং ও শনাক্তকরণ মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করতে সক্ষম হচ্ছে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে মাইটেল কার্যত একটি বাণিজ্য অবরোধের মুখে চলে গেছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে বাণিজ্য দপ্তরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

২০২১ সালে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই জান্তা সরকার দেশটির টেলিযোগাযোগ সেবায় হস্তক্ষেপ বাড়িয়েছে এবং প্রতিরোধকারী গোষ্ঠীগুলোর ওপর নজরদারি ও দমন অভিযান চালাচ্ছে। দেশটিতে গত ১ জানুয়ারি একটি সাইবার সিকিউরিটি আইন কার্যকর হয়েছে, যার মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি টেলিকম শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসা ও ব্যক্তিদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমার নামে পরিচিত মাইটেল মূলত একটি যৌথ উদ্যোগ। এর অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে জান্তা-সমর্থিত একটি গ্রুপ এবং ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন ভিয়েটেল। মাইটেল ২০১৮ সালে পূর্ণমাত্রায় কার্যক্রম শুরু করে এবং বর্তমানে দেশটির অন্যতম বৃহৎ মোবাইল সেবা প্রদানকারী হয়ে উঠেছে। তবে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে মিয়ানমারের কিছু নাগরিক এই অপারেটর থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া

Please Share This Post in Your Social Media

মিয়ানমারের মাইটেলের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
Update Time : ০৭:০৫:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

মিয়ানমারের মোবাইল অপারেটর মাইটেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কোম্পানিটির আর্থিক সম্পর্ক থাকাকে নিষেধাজ্ঞার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য দপ্তর মাইটেলকে নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের তালিকায় যুক্ত করে জানিয়েছে, কোম্পানিটি ‘মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে নজরদারি সেবা এবং আর্থিক সহায়তা’ দিয়ে আসছে।

মাইটেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, এর কার্যক্রমের মাধ্যমে সামরিক সরকার ‘নিশানাভুক্ত ব্যক্তি এবং গোষ্ঠীগুলোকে ট্র্যাকিং ও শনাক্তকরণ মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন’ করতে সক্ষম হচ্ছে। তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে মাইটেল কার্যত একটি বাণিজ্য অবরোধের মুখে চলে গেছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ব্যবসা করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোকে বাণিজ্য দপ্তরের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।

২০২১ সালে মিয়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। এরপর থেকেই জান্তা সরকার দেশটির টেলিযোগাযোগ সেবায় হস্তক্ষেপ বাড়িয়েছে এবং প্রতিরোধকারী গোষ্ঠীগুলোর ওপর নজরদারি ও দমন অভিযান চালাচ্ছে। দেশটিতে গত ১ জানুয়ারি একটি সাইবার সিকিউরিটি আইন কার্যকর হয়েছে, যার মাধ্যমে ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহারের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই পদক্ষেপটি টেলিকম শিল্পের পাশাপাশি অন্যান্য ব্যবসা ও ব্যক্তিদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

টেলিকম ইন্টারন্যাশনাল মিয়ানমার নামে পরিচিত মাইটেল মূলত একটি যৌথ উদ্যোগ। এর অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে জান্তা-সমর্থিত একটি গ্রুপ এবং ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মালিকানাধীন ভিয়েটেল। মাইটেল ২০১৮ সালে পূর্ণমাত্রায় কার্যক্রম শুরু করে এবং বর্তমানে দেশটির অন্যতম বৃহৎ মোবাইল সেবা প্রদানকারী হয়ে উঠেছে। তবে সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে মিয়ানমারের কিছু নাগরিক এই অপারেটর থেকে দূরে সরে যাচ্ছেন। সূত্র: নিক্কেই এশিয়া