ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ

মিঠাপুকুরে ঘাঘট নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

মিল্লাত হাসান, মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৮:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১৭ Time View

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ঘাঘট নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। অবৈধ বালু উত্তোলনে ফলে প্রতি বছরই নতুন করে বাড়ছে ভাঙনের পরিধি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙন দিন দিন বেড়েই চলছে। একটি প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। কিন্তু বার বার অভিযোগ দেওয়ার পরেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের জোতষষ্টিপুর এলাকায় ঘাঘট নদীর মাঝখানে দুটি অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ‍্যমে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পযর্ন্ত চলছে এই বালু উত্তোলনের কাজ।এতে পানির প্রবাহের গতি পরিবর্তন হলে নদী পাড় ভাঙনে এলাকার ফসলি জমিসহ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।তবে বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা।

জানা যায়,ঘাঘট নদী এবং এর পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ভাংনী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের কর্মী আখিরুল ইসলাম। পেশি শক্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এমন অরাজকতা সৃষ্টি করেছেন তিনি। এজন‍্যই বালু উত্তোলনের জন্য লাগে না কোন অনুমতি। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান,বালু উত্তোলনে জড়িত আখিরুলকে প্রতিহত করা খুবই কঠিন। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নেই। সে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় প্রতি মাস পর পর ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় এসব অবৈধ ড্রেজার চালায়। আর মধ্যরাতে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণও হারাতে পারে।তাছাড়াও আখিরুল ইসলাম ভাংনী ইউনিয়নের হুলাশুগঞ্জ এলাকার করিমপুরেও দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে আবাদী জমির পাশে পুকুরে বালু উত্তোলন করছেন।

স্থানীয় মাজেদা বেগম ও আয়নাল মিয়া জানান,নদী থেকে বালু তোলার কারণে গ্রামীন রাস্তাসহ আবাদী জমি গুলোর বেশিরভাগ অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে।আর যে টুকু বাকি রয়েছে ওই টুকুই আমাদের শেষ সম্বল। শেষ সম্বল টুকু হারাতে চাই না।আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে বালু ব্যবসায়ী আখিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমান ইউএনও এর মৌখিক অনুমতি নিয়েই বালু উত্তোলন করছেন তিনি।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বিকাশ চন্দ্র জানান,আমি কাউকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেয়নি। নাম ভাঙ্গিয়ে এমনটা করতে পারে। তবে অতি শিগ্রই অভিযান পরিচালনা করে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

মিঠাপুকুরে ঘাঘট নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

মিল্লাত হাসান, মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি
Update Time : ০৮:৪৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ঘাঘট নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে।এতে হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী বাড়িঘর ও ফসলি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। অবৈধ বালু উত্তোলনে ফলে প্রতি বছরই নতুন করে বাড়ছে ভাঙনের পরিধি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় নদী ভাঙন দিন দিন বেড়েই চলছে। একটি প্রভাবশালী মহল ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। কিন্তু বার বার অভিযোগ দেওয়ার পরেও নীরব ভূমিকায় রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পায়রাবন্দ ইউনিয়নের জোতষষ্টিপুর এলাকায় ঘাঘট নদীর মাঝখানে দুটি অবৈধ ড্রেজার মেশিনের মাধ‍্যমে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে ভোর পযর্ন্ত চলছে এই বালু উত্তোলনের কাজ।এতে পানির প্রবাহের গতি পরিবর্তন হলে নদী পাড় ভাঙনে এলাকার ফসলি জমিসহ বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পথে।তবে বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কিছুই বলতে সাহস পাচ্ছে না স্থানীয়রা।

জানা যায়,ঘাঘট নদী এবং এর পাশ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছেন ভাংনী ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের কর্মী আখিরুল ইসলাম। পেশি শক্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এমন অরাজকতা সৃষ্টি করেছেন তিনি। এজন‍্যই বালু উত্তোলনের জন্য লাগে না কোন অনুমতি। ফলে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান,বালু উত্তোলনে জড়িত আখিরুলকে প্রতিহত করা খুবই কঠিন। তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে কোনো লাভ নেই। সে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হওয়ায় প্রতি মাস পর পর ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় এসব অবৈধ ড্রেজার চালায়। আর মধ্যরাতে প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণও হারাতে পারে।তাছাড়াও আখিরুল ইসলাম ভাংনী ইউনিয়নের হুলাশুগঞ্জ এলাকার করিমপুরেও দীর্ঘ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে আবাদী জমির পাশে পুকুরে বালু উত্তোলন করছেন।

স্থানীয় মাজেদা বেগম ও আয়নাল মিয়া জানান,নদী থেকে বালু তোলার কারণে গ্রামীন রাস্তাসহ আবাদী জমি গুলোর বেশিরভাগ অংশ নদীগর্ভে চলে গেছে।আর যে টুকু বাকি রয়েছে ওই টুকুই আমাদের শেষ সম্বল। শেষ সম্বল টুকু হারাতে চাই না।আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ বিষয়ে জানতে মুঠোফোনে বালু ব্যবসায়ী আখিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বর্তমান ইউএনও এর মৌখিক অনুমতি নিয়েই বালু উত্তোলন করছেন তিনি।

মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা বিকাশ চন্দ্র জানান,আমি কাউকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দেয়নি। নাম ভাঙ্গিয়ে এমনটা করতে পারে। তবে অতি শিগ্রই অভিযান পরিচালনা করে ব‍্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।