ঢাকা ১১:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মায়ের কাছে তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৬:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫
  • / ২৫ Time View

অসুস্থ মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা ৫০ মিনিটে তিনি হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করেন। এর আগে ৫টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমান।

হাসপাতালে প্রবেশের সময় তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ ও ডা. জাহিদ হোসেনসহ দলের শীর্ষ নেতারা। তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

১৭ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারেক রহমান। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতালের পথে যাত্রা করেন। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ২৭ নভেম্বর তা&র অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়।

এভারকেয়ার থেকে পরে তারেক রহমান যাবেন গুলশান অ্যাভেনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকবেন তিনি। এর পাশেই ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটি তার মা খালেদা জিয়ার আবাসস্থল।

এর আগে গণসংবর্ধনায় দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা শান্তি চাই। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কারো উস্কানিতে পা দেওয়া যাবে না। তারেক বলেন, ‘৭১ সালে এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে যেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল; সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান বলেন, আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যে দেশে নারী, পুরুষ, শিশু সবাই যেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ফিরতে পারে। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার আগে তারেক রহমান জুতা খুলে মাটিতে পা রাখেন এবং হাতে একমুঠো মাটি নেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে বিমানবন্দরে বরণ করে নেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিমানবন্দর থেকে লাল সবুজ রঙের বিশেষ বাসে তারেক রহমান পূর্বাচলের গণসংবর্ধনাস্থলে যান।

Please Share This Post in Your Social Media

মায়ের কাছে তারেক রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৬:৩৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

অসুস্থ মা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা ৫০ মিনিটে তিনি হাসপাতাল চত্বরে প্রবেশ করেন। এর আগে ৫টা ১০ মিনিটে এভারকেয়ার হাসপাতালে পৌঁছান তারেক রহমানের সহধর্মিণী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমান।

হাসপাতালে প্রবেশের সময় তারেক রহমানের সঙ্গে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ ও ডা. জাহিদ হোসেনসহ দলের শীর্ষ নেতারা। তারেক রহমানের আগমনকে কেন্দ্র করে এভারকেয়ার হাসপাতাল এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

১৭ বছর পর লন্ডন থেকে দেশে ফিরে পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারেক রহমান। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি হাসপাতালের পথে যাত্রা করেন। গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। ২৭ নভেম্বর তা&র অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নেওয়া হয়।

এভারকেয়ার থেকে পরে তারেক রহমান যাবেন গুলশান অ্যাভেনিউয়ের ১৯৬ নম্বর বাড়িতে। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকবেন তিনি। এর পাশেই ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটি তার মা খালেদা জিয়ার আবাসস্থল।

এর আগে গণসংবর্ধনায় দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, যে কোনো মূল্যে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা শান্তি চাই। সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কারো উস্কানিতে পা দেওয়া যাবে না। তারেক বলেন, ‘৭১ সালে এ দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে যেমন সর্বস্তরের মানুষ, সবাই মিলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করেছিল; সেভাবেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। আজ বাংলাদেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেতে চায়। তারা গণতন্ত্রের অধিকার ফিরে পেতে চায়।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান বলেন, আমাদের সময় এসেছে সকলে মিলে দেশ গড়ার। এ দেশে মুসলমান, হিন্দু বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই আছে। আমরা নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই, যে দেশে নারী, পুরুষ, শিশু সবাই যেন নিরাপদে ঘর থেকে বের হয়ে নিরাপদে ফিরতে পারে। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে বাসে ওঠার আগে তারেক রহমান জুতা খুলে মাটিতে পা রাখেন এবং হাতে একমুঠো মাটি নেন। এ সময় সেখানে উপস্থিত নেতা-কর্মীদের মধ্যে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়।

তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও মেয়ে জাইমা রহমানকে বিমানবন্দরে বরণ করে নেন বিএনপির সিনিয়র নেতারা। তাদের মধ্যে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, সালাহউদ্দিন আহমেদ, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। বিমানবন্দর থেকে লাল সবুজ রঙের বিশেষ বাসে তারেক রহমান পূর্বাচলের গণসংবর্ধনাস্থলে যান।