ঢাকা ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয় জুলাই আন্দোলনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ শুরু হয়েছিল রংপুর থেকেই: নাহিদ ইসলাম

মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক-হেলপার হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
  • Update Time : ০৬:৪১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩
  • / ১৪৫ Time View

মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক-হেলপার হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ঢাকার ধামরাই উপজেলার বড়াকৈর গ্রামের বদর উদ্দিন, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মো. ইসলাম ওরফে কালু, একই গ্রামের ইয়াকুব আলী শেখ ও গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার হারবাইদ গ্রামের বিল্লাল শিকদার।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি গ্রামের বাবু মিয়া, শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের বাবুল শেখ, ভোলার লালমোহন উপজেলার কলমা গ্রামের শাহ আলম, সিরাজগঞ্জের উল্লাহপাড়া উপজেলার মধুপুর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন ও মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আখের আলী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ৬ আগস্ট সাতক্ষিরার ভোমরাস্থল বন্দর থেকে পাথার নিয়ে ট্রাকচালাক জয়নাল (৪০) ও হেলপার রুবেল (২৮) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর যাচ্ছিলেন। রাত ২টার দিকে আসামিরা মানিকগঞ্জ থেকে ট্রাকটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন।

এরপর ট্রাকচালক জয়নাল ও হেলপার রুবেলকে হত্যা করে তাদের মরদেহ রাতে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বালিয়াখৈড়া ব্রিজের কাছে ফেলে রাখে।

পরদিন ৭ আগস্ট ঘিওর থানা পুলিশ নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন ও ট্রাকচালক জয়নালের ভাই হারুনার রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন।

মামলাটি প্রথমে ঘিওর থানার এসআই এনামুল হক ও পরে মামলাটি তদন্ত করেন ডিবির এসআই আব্দুস সালাম। মামলাটি তদন্ত শেষে ৯ জনকে আসামি করে গত ২০১১ সালে ৩০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ের আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আখের আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা বিভিন্ন সময় আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পলাতক।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মথুর নাথ সরকার। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।

Please Share This Post in Your Social Media

মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক-হেলপার হত্যায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
Update Time : ০৬:৪১:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ অক্টোবর ২০২৩

মানিকগঞ্জে ট্রাকচালক-হেলপার হত্যা মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, ঢাকার ধামরাই উপজেলার বড়াকৈর গ্রামের বদর উদ্দিন, মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের মো. ইসলাম ওরফে কালু, একই গ্রামের ইয়াকুব আলী শেখ ও গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর উপজেলার হারবাইদ গ্রামের বিল্লাল শিকদার।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার চরকাটারি গ্রামের বাবু মিয়া, শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের বাবুল শেখ, ভোলার লালমোহন উপজেলার কলমা গ্রামের শাহ আলম, সিরাজগঞ্জের উল্লাহপাড়া উপজেলার মধুপুর গ্রামের শাহাদাৎ হোসেন ও মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার আলোকদিয়া গ্রামের আখের আলী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে ৬ আগস্ট সাতক্ষিরার ভোমরাস্থল বন্দর থেকে পাথার নিয়ে ট্রাকচালাক জয়নাল (৪০) ও হেলপার রুবেল (২৮) গাজীপুর জেলার শ্রীপুর যাচ্ছিলেন। রাত ২টার দিকে আসামিরা মানিকগঞ্জ থেকে ট্রাকটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন।

এরপর ট্রাকচালক জয়নাল ও হেলপার রুবেলকে হত্যা করে তাদের মরদেহ রাতে মানিকগঞ্জ জেলার ঘিওর উপজেলার বালিয়াখৈড়া ব্রিজের কাছে ফেলে রাখে।

পরদিন ৭ আগস্ট ঘিওর থানা পুলিশ নিহত দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের স্বজনরা মরদেহ শনাক্ত করেন ও ট্রাকচালক জয়নালের ভাই হারুনার রশিদ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের নামে মামলা করেন।

মামলাটি প্রথমে ঘিওর থানার এসআই এনামুল হক ও পরে মামলাটি তদন্ত করেন ডিবির এসআই আব্দুস সালাম। মামলাটি তদন্ত শেষে ৯ জনকে আসামি করে গত ২০১১ সালে ৩০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ের আরও দুই মাসের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আখের আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা বিভিন্ন সময় আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে পলাতক।রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মথুর নাথ সরকার। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক।