মানবাধিকার তাত্ত্বিক ও কবি তামিজী’র জন্মদিন পালিত
- Update Time : ০৯:৪৬:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
- / ৫৮ Time View
সগৌরবে পালিত হয়েছে কবি, মানবাধিকার তাত্ত্বিক ও সমাজবিজ্ঞানী মু. নজরুল ইসলাম তামিজী’র জন্মদিন। জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটি, শের-ই বাংলা সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন কেক কেটে পালন করে তার জন্মদিন। রোববার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল অর্ণেট এ জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে কবিকে শুভেচ্ছা জানান বিচারপতি মীর হাসমত আলী, সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ, এবিইউ এডুকেশন ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান লায়ন ড. হারুন উর রশিদ প্রমুখ।
শিক্ষা সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পাদপীঠ কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার মন্দুক গ্রামে তামিজী পরিবারে তাঁর জন্ম। পিতা ডা. নুরুল আমিন তামিজী (১৯৩৪-২০২৩) ছিলেন সমবায় আন্দোলনে উজ্জ্বল নক্ষত্র, মাতা মিসেস নাজমা আমিন তামিজী একজন প্রতিবাদী নারী ও সংগঠক। ‘হিংস্র রাজনীতি জনগণ কাঁদে/রাষ্ট্র আজ বন্দী স্বৈরতন্ত্রের ফাঁদে’ খ্যাত এ কবি বেড়ে উঠেছেন পুরনো ঢাকায়।
দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে খ্যাত এ শিকড়সন্ধানী লেখক ছাত্র জীবন থেকেই সাংবাদিকতা ও সাহিত্য সাধনায় নিজেকে সম্পৃক্ত করেন। দৈনিক বাংলা, দৈনিক গণকণ্ঠ, দৈনিক আজাদ বাণী, দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক আমাদের সময়, দৈনিক মুক্তির লড়াইসহ বিভিন্ন দৈনিকে গুরত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
তাঁর মতে ২০২৪ সালে তাঁর ১৮তম জন্মদিন পালিত হচ্ছে। প্রতি বছরই তিনি ১৮তম জন্মদিন পালন করেন। তিনি বলেন ‘বছর ঘুরে জন্মদিন এলে মনে হয়, এই তো সেদিন জন্মদিন গেলো। প্রকৃত বয়সে আমি প্রভাবিত নই। মনের বয়সের গুরুত্ব অনেক বেশি। মনের বয়স ১৮তে আটকে গেছে। বাড়ছে না।’ তিনি আমৃত্যু ১৮তম জন্মদিন উপভোগ করতে চান।
তাঁর সম্পর্কে ভাষাবিদ গবেষক অধ্যাপক ড. সফিউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘আমরা সবাই ইতিহাসের সাক্ষী। কিন্তু কিছু কিছু মানুষ আছেন, যাঁরা নিজেরাই ইতিহাস সৃষ্টি করেন৷ মু. নজরুল ইসলাম তামিজী বাংলাদেশে মানবাধিকার ও মানবতাবাদী আন্দোলনের ইতিহাসে এমনই এক কিংবদন্তি।’ বাংলাদেশ ল’ ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান বিচারপতি আলী আসগর খান লিখেছেন, ‘তামিজী অসাধারণ নেতৃত্বের গুণসম্পন্ন একজন মানবিক মানুষ।’
তিনি ২০০১ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। কবিতা, গান, নাটক, কথাসাহিত্য, ছোটগল্প, কলামসহ সাহিত্যের প্রায় সব শাখায় রয়েছে তার স্বচ্ছন্দ বিচরণ। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ মুক্তিপণ, মানুষ। ভাষা আন্দোলনের পটভূমি নিয়ে নাটক ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ সারা দেশে অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতাধিক বার মঞ্চস্থ হয়েছে। বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন এই কবি।
তিনি মাতৃভূমি তরুণ লেখক পুরস্কার ১৯৯৭, কবি নজরুল স্মৃতি পুরস্কার ১৯৯৯, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ সম্মাননা ২০০৪, মাদার তেরেসা স্বর্ণস্মারক ২০০৬, বেগম রোকেয়া স্মৃতি পদক ২০১০, শেরে বাংলা পদক ২০১১, বাংলাদেশ নেপাল মৈত্রী সম্মাননা ২০১৮, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণস্মারক ২০২২সহ শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভুষিত হয়েছেন।
রাজনীতি সচেতন এই মানুষটি নীতিভ্রষ্ট, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী আচরণ দেখলেই কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করে সেই পথকে পদদলিত করে নতুন পথে হাঁটতে পছন্দ করেন। তার পূর্বের সকল রাজনৈতিক অবস্থান পরিহার করে তিনি গঠন করেন নতুন দল ‘আমজনতা বাংলাদেশ।’ দলের কর্মী-সমর্থকদের সমর্থন নিয়ে তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
নওরোজ/এসএইচ