ঢাকা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ২০ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
‘গণতান্ত্রিক ছাত্রশক্তি’র আত্মপ্রকাশ : ছাত্রলীগের হামলা মুক্তি পেল বিশ্ববিদ্যালয় জীবন নিয়ে নির্মিত সিরিজ ‘ক্যাম্পাস রিটার্নস’ সারাদেশে ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল ভারতের মেঘালয় ঢাবিতে শুরু হচ্ছে ১৭তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব-২০২৩ ঢাবিতে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় ৯৯ শিক্ষার্থীকে শাস্তি ঢাবিতে যৌন হয়রানি মারধর ও গবেষণাপত্রে চুরির দায়ে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের: হানিফ চবিতে সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির চায় ডুজা লালবাগে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে লালবাগে মদিনা মিষ্টান্ন ভান্ডারে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

মহাদেবপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস

কাজী সাঈদ টিটো, নওগাঁ
  • Update Time : ০৬:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩
  • / ১৬৯ Time View

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এজলাশ কক্ষে ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষ এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা ১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মহাদেবপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এজলাশের সামনে চেয়ারে বসা একজন কর্মচারি সেখানে থাকা এক ব্যক্তিকে বলছেন, দুই হাজার টাকা দেন। স্যার খাবে, দুই হাজার টাকা দেন’’। এরপর ওই ব্যক্তি চারটি পাঁচশ’ টাকার নোট গুনে ওই কর্মচারির হাতে দেন। তিনি টাকা হাতে নিয়ে নিজের টেবিলের ড্রয়ারে রাখেন এবং প্রশ্ন করেন কত নম্বর। ওই ব্যক্তি নম্বরটি বলেন। এরপর ওই কর্মচারি তার টেবিলে থাকা তালিকায় টিক চিহ্ন দেন।

বিষয়টি জানতে সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে একদল সাংবাদিক সাবরেজিস্ট্রি অফিসে গেলে ওই কর্মচারি অফিস সহকারি নাসির উদ্দিন প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। ভিডিওটি দেখানোর পরে তিনি সেটি তার নিজের বলে স্বীকার করেন।

তবে তিনি জানান, নকল নবিশদের ফিস বাবদ দলিল প্রতি নগদ ২৪০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এটা ছাড়া অন্য কোন টাকা নেয় হয়না। কিন্তু ভিডিওতে কেন দুই হাজার টাকা নেয়া হলো তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার মনিরুজ্জামান মোবাইলফোনে জানান, তার অজ্ঞাতে কোন কর্মচারি অপকর্ম করলে তার দায় সাবরেজিষ্ট্রারের নয়। তবে নকল নবিশদের ফিস ছাড়া অন্য কোন নগদ টাকা লেনদেন হয়ে থাকলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন তিন যুগের বেশি সময় ধরে এই অফিসের সাথে যুক্ত। ১৯৮৪ সালে এখানে তিনি নকল নবিশ হিসেবে যোগ দেন। ২০১৬ সালে তিনি মোহরার পদে এবং এর পরপরই অফিস সহকারি হিসেবে পদোন্নতি পান। এই দীর্ঘ সময় একই অফিসে কর্মরত থাকায় এখানকার নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। অনেক সময় তিনি নিজেই দলিল শুনানী করতেন। এছাড়া অফিসের খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ তার হাত দিয়েই করা হয়। এভাবে তিনি এই অফিসের হোতায় পরিণত হন। স্থানীয়রা অবিলম্বে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

মহাদেবপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে ঘুষ লেনদেনের ভিডিও ফাঁস

Update Time : ০৬:০৯:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ জুন ২০২৩

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এজলাশ কক্ষে ঘুষ লেনদেনের একটি ভিডিও ফাঁস হয়েছে। এনিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলছে। কর্তৃপক্ষ এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসা ১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, মহাদেবপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের এজলাশের সামনে চেয়ারে বসা একজন কর্মচারি সেখানে থাকা এক ব্যক্তিকে বলছেন, দুই হাজার টাকা দেন। স্যার খাবে, দুই হাজার টাকা দেন’’। এরপর ওই ব্যক্তি চারটি পাঁচশ’ টাকার নোট গুনে ওই কর্মচারির হাতে দেন। তিনি টাকা হাতে নিয়ে নিজের টেবিলের ড্রয়ারে রাখেন এবং প্রশ্ন করেন কত নম্বর। ওই ব্যক্তি নম্বরটি বলেন। এরপর ওই কর্মচারি তার টেবিলে থাকা তালিকায় টিক চিহ্ন দেন।

বিষয়টি জানতে সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে একদল সাংবাদিক সাবরেজিস্ট্রি অফিসে গেলে ওই কর্মচারি অফিস সহকারি নাসির উদ্দিন প্রথমে বিষয়টি অস্বীকার করেন। ভিডিওটি দেখানোর পরে তিনি সেটি তার নিজের বলে স্বীকার করেন।

তবে তিনি জানান, নকল নবিশদের ফিস বাবদ দলিল প্রতি নগদ ২৪০ টাকা গ্রহণ করা হয়। এটা ছাড়া অন্য কোন টাকা নেয় হয়না। কিন্তু ভিডিওতে কেন দুই হাজার টাকা নেয়া হলো তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

উপজেলা সাবরেজিষ্ট্রার মনিরুজ্জামান মোবাইলফোনে জানান, তার অজ্ঞাতে কোন কর্মচারি অপকর্ম করলে তার দায় সাবরেজিষ্ট্রারের নয়। তবে নকল নবিশদের ফিস ছাড়া অন্য কোন নগদ টাকা লেনদেন হয়ে থাকলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত নাসির উদ্দিন তিন যুগের বেশি সময় ধরে এই অফিসের সাথে যুক্ত। ১৯৮৪ সালে এখানে তিনি নকল নবিশ হিসেবে যোগ দেন। ২০১৬ সালে তিনি মোহরার পদে এবং এর পরপরই অফিস সহকারি হিসেবে পদোন্নতি পান। এই দীর্ঘ সময় একই অফিসে কর্মরত থাকায় এখানকার নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়েন। অনেক সময় তিনি নিজেই দলিল শুনানী করতেন। এছাড়া অফিসের খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ তার হাত দিয়েই করা হয়। এভাবে তিনি এই অফিসের হোতায় পরিণত হন। স্থানীয়রা অবিলম্বে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।