ঢাকা ১০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবাকে হত্যার দায়ে ছেলের যাবজ্জীবন জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের সভায় ডিইউজে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্যানেলের সিদ্ধান্ত গৃহীত বাংলাদেশি তরুণীদের কাজের কথা বলে চীনে নিয়ে যৌনপল্লীতে বিক্রি টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে নৌকা ডুবে কিশোরের মৃত্যু ফ্যাসিস্টদেরকে আমরা আর ফেরত চাই না : মির্জা ফখরুল আ.লীগের ঝটিকা মিছিলে অংশ নেওয়া প্রত্যেককে দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার টাকা মিরপুরে আগুনে ১৬ জনের লাশ উদ্ধার, তল্লাশি চলছে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে এনসিপি প্রতীক না নিলে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি এক ক্লিকে আদালতের রায় সরাসরি জেলখানায় পৌঁছে যাবে: আইন উপদেষ্টা সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকে একমাত্র শেয়ারধারী পরিচালকের পদত্যাগ

ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
  • Update Time : ১০:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৯৩ Time View

১০ ও ১৩ এপ্রিল ১১টি দৈনিক পত্রিকার ২য় ও ৩য় পাতায় হুবহু একই সংবাদ প্রকাশিত হয়

ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাতিল হওয়া পত্রিকাগুলো হলো, মো. শামসুল আলম খান সম্পাদিত দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ; এফ. এম. এ. ছালাম সম্পাদিত দৈনিক দেশের খবর; এন. বি. এম. ইব্রাহীম খলিল রহিম সম্পাদিত দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র; মরহুম আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সম্পাদিত দৈনিক ঈষিকা; নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক অদম্য বাংলা;
আ. ন. ম. ফারুক সম্পাদিত দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ; আ. ন. ম. ফারুক সম্পাদিত দৈনিক দিগন্ত বাংলা; শেখ মেহেদী হাসান নাদিম প্রকাশিত দৈনিক জাহান; ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কিষানের দেশ; ফরিদা ইয়াসমীন রত্না সম্পাদিত হৃদয়ে বাংলাদেশ; বিকাশ রায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পরিধি।

এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন থেকে এসব পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের কাছে ডিক্লারেশন বাতিলের চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, গত ১০ এপ্রিল ও ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১টি দৈনিক পত্রিকার ২য় ও ৩য় পাতায় হুবহু একই সংবাদ ও তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সংখ্যাগুলো অনুমোদিত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয়নি। এ বিষয়ে ১৬ এপ্রিল ১৩টি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

পরে ২১ এপ্রিল ভুল স্বীকার করে ঘটনাটিকে বাহ্যিক ছাপাখানার দায়িত্বহীনতা এবং নিজস্ব মুদ্রণব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি হিসেবে ব্যাখ্যা দেন তারা। তবে জেলা প্রশাসন সেটি গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিযুক্ত মনে করেনি। এরপর ১৮ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সরেজমিন তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, সংশ্লিষ্ট ১১টি পত্রিকা অনুমোদিত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হচ্ছে না। এটি ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে ওই আইনটির ১০ ধারার বিধান অনুযায়ী পত্রিকাগুলোর ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা বলেন, ‘গত ৩০ মার্চ এবং ৭, ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ এপ্রিল পত্রিকাগুলোর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাতায় সব প্রতিবেদন হুবহু একইভাবে ছাপা হওয়ায় শোকজ করা হয়, যা ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সেই কারণে ওই আইনটির ১০ ধারায় তাদের ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে।’

Please Share This Post in Your Social Media

ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
Update Time : ১০:৪৮:৪০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫

ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১টি পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিল করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার বিকেলে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা ১১ পত্রিকার ডিক্লারেশন বাতিলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাতিল হওয়া পত্রিকাগুলো হলো, মো. শামসুল আলম খান সম্পাদিত দৈনিক আজকের ময়মনসিংহ; এফ. এম. এ. ছালাম সম্পাদিত দৈনিক দেশের খবর; এন. বি. এম. ইব্রাহীম খলিল রহিম সম্পাদিত দৈনিক বিশ্বের মুখপত্র; মরহুম আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সম্পাদিত দৈনিক ঈষিকা; নাসির উদ্দিন আহমেদ সম্পাদিত দৈনিক অদম্য বাংলা;
আ. ন. ম. ফারুক সম্পাদিত দৈনিক আলোকিত ময়মনসিংহ; আ. ন. ম. ফারুক সম্পাদিত দৈনিক দিগন্ত বাংলা; শেখ মেহেদী হাসান নাদিম প্রকাশিত দৈনিক জাহান; ওমর ফারুক সম্পাদিত দৈনিক কিষানের দেশ; ফরিদা ইয়াসমীন রত্না সম্পাদিত হৃদয়ে বাংলাদেশ; বিকাশ রায় সম্পাদিত সাপ্তাহিক পরিধি।

এর আগে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসন থেকে এসব পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশকদের কাছে ডিক্লারেশন বাতিলের চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, গত ১০ এপ্রিল ও ১৩ এপ্রিল ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত ১১টি দৈনিক পত্রিকার ২য় ও ৩য় পাতায় হুবহু একই সংবাদ ও তথ্যচিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট সংখ্যাগুলো অনুমোদিত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হয়নি। এ বিষয়ে ১৬ এপ্রিল ১৩টি পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।

পরে ২১ এপ্রিল ভুল স্বীকার করে ঘটনাটিকে বাহ্যিক ছাপাখানার দায়িত্বহীনতা এবং নিজস্ব মুদ্রণব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি হিসেবে ব্যাখ্যা দেন তারা। তবে জেলা প্রশাসন সেটি গ্রহণযোগ্য ও যুক্তিযুক্ত মনে করেনি। এরপর ১৮ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সরেজমিন তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, সংশ্লিষ্ট ১১টি পত্রিকা অনুমোদিত ছাপাখানা থেকে মুদ্রিত হচ্ছে না। এটি ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন। ফলে ওই আইনটির ১০ ধারার বিধান অনুযায়ী পত্রিকাগুলোর ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবিবা মীরা বলেন, ‘গত ৩০ মার্চ এবং ৭, ৮, ৯, ১০, ১২ ও ১৩ এপ্রিল পত্রিকাগুলোর দ্বিতীয় ও তৃতীয় পাতায় সব প্রতিবেদন হুবহু একইভাবে ছাপা হওয়ায় শোকজ করা হয়, যা ছাপাখানা ও প্রকাশনা (ঘোষণা ও নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৩-এর ৪ ও ৭ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সেই কারণে ওই আইনটির ১০ ধারায় তাদের ঘোষণাপত্র বাতিল করা হয়েছে।’