প্রচণ্ড গরমে বাড়ছে তালের আঁটির কদর
- Update Time : ০৪:৫১:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
- / ২১৮ Time View
চলছে মধুমাস। আর এই মধুমাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হরেক রকমের ভিন্ন স্বাদের সুস্বাদু ফল। চলতি সময়ে ফলের তালিকায় রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু সহ এসময়ের জনপ্রিয় রসালো ফল তালের শাঁস (তালের আঁটি)।
কচি তালের এই নরম অংশটি সকল বয়সের লোকের কাছে খুবই সুস্বাদু। গ্রামাঞ্চলে এটি ‘তালকুশ’ বা ‘তালের আঁটি’ নামে পরিচিত।
প্রচন্ড গরমে তালের এই শাঁসটি সকলের মানুষের কাছে খুবই জনপ্রিয়। তালের শাঁস অনেক সুস্বাদু ও উপকারী। এর রয়েছে অনেক গুণাগুণ। তালের আঁটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। প্রচন্ড গরমে তালের আঁটিতে থাকা জলীয় অংশ মানব দেহের পানি শূন্যতা দুর করে। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন সি, এ, বি কমপ্লেক্সসহ নানা ধরনের ভিটামিন। তালে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িরে দেয়। কচি তালের শাঁস রক্তশূন্যতা দুর করে। চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌর শহর ও উপজেলার বিভিন্ন অলিতে-গলিতে, হাট-বাজারে, রাস্তার মোড়ে মোড়ে এবং এলাকায় গুরে গুরে তালের আঁটি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। তালের আঁটি বা তালকুশ কিনতে সবচেয়ে বেশি ভীড় দেখা যায় স্কুল কলেজের আশেপাশের তাল বিক্রেতাদের দোকানগুলোতে।
বর্তমানে এর চাহিদা অনেক বেড়েছে গেছে। বিক্রেতা শাঁস কেটে সারতে পারছে না, ক্রেতারা দাঁড়িয়ে রয়েছে আঁটি নিতে। প্রতিটি আঁশ বিক্রি ছয় থেকে আট টাকায়। প্রতি বছর এসময় তালের শাঁস বিক্রি করে অনেক হতদরিদ্র মানুষ জীবিকা করে থাকেন।
তালের আঁটি কিনতে আসা জিয়াউর রহমান বলেন, আমি প্রতিদিন তালের আঁটি খাই। এটি খেতে খুব সুস্বাদু। দামেও অনেক কম। আমি নিজেও খাই ও পরিবারের সদস্যদের জন্য বাড়িতে নিয়ে যাই।
স্কুল ছাত্র মেহেদী, রাব্বি, মেরাজ বলেন, আমরা প্রতিদিন স্কুলে এসে টিফিনের টাকা দিয়ে তালের আঁটি কিনে খাই। স্কুল শুরুর আগে, টিফিনের সময় ও ছুটির সময় তালের আটির জন্য লাইন ধরে দাড়িয়ে থকতে হয়। মর্জিনা বেগম বলেন, আমি আমার সন্তানদের জন্য তালের আঁটি কিনতে এসেছি।
এটি খেতে সুস্বাদু ও মজাদার হওয়ায় ছেলে মেয়েরা প্রতিদিনি তালের আঁটি খায়।
তালের শাঁস বিক্রেতা মো. মানিক মিয়া , রিপন মিয়া সহ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, আমরা প্রতিবছর এই সময়টাতে তালের আঁটি বিক্রি করে সংসার চালাই। বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে গাছ থেকে তাল কিনে পেরে সেগুলো হাট-বাজারে ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের পাশে বিক্রি করি। দুই থেকে তিন হাজার টাকায় প্রতিটি তাল গাছ কিনি। ছোট আঁটি ৫ টাকা, বড় আঁটি ৭ থেকে ৮ টাকায় বিক্রি করি। সারাদিন বিক্রি করলে প্রায় হাজার টাকার মতো লাভ হয়।
এবিষয়ে উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন, কচি তালের আঁটি প্রতিটি মানব দেহের জন্য অতন্ত্য উপকারী। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, নানা ধরনের ভিটামিন, এন্টি অক্সিডেন্ট। কচি তালের আঁটি রক্তশূন্যতা দুর সহ চোখের দৃষ্টি শক্তি ও মুখের রুচি বাড়াতে সাহায্য করে।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়