ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
বর্তমান সময়ে সুষ্ঠ নির্বাচনের কথা কল্পনাও করা যায় না – জামায়াত আমির ৭ বছরে ও সুবর্ণা হত্যার বিচার হয়নি, হুমকির মুখে পরিবার ও আত্মীয়-স্বজন অপচিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু; রংপুরে দুই ক্লিনিককে জরিমানা,ওটি সিলগালা পিআর পদ্ধতি দেশকে আরও বেশি স্বৈরতন্ত্রের দিকে ঠেলে দেবে – রিজভী তিন দফা দাবিতে উপাচার্যের কাছে স্মারকলিপি দিল শেকৃবি শিক্ষার্থীরা কুবিতে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ অভিযুক্ত ব্যাচের ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ; তদন্ত কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা ধ্বংস নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ১-১১’র প্রেক্ষাপট তৈরি করে আ.লীগ কর্তৃত্বশীল শাসকরূপে চিহ্নিত হয় : মাওলানা আবদুল হালিম মাদক বিষাক্ত সাপের মতো ব্যক্তি ও সমাজকে নিঃশেষ করে দেয়

ভারত ছাড়াও আরও ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার

নওরোজ ডেস্ক
  • Update Time : ০৮:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৩১৩ Time View

পেঁয়াজ, আমদানি, দাম, বাজার, rtvonline

ভারত ছাড়াও আরও ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। দেশগুলো হলো- চীন, মিশর, পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ইউএই।

বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ভারতের শুল্ক আরোপের পর দেশে এই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বৃহস্পতিবার জানাল মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীন থেকে ২৪০০ টন, মিশর থেকে ৩ হাজার ৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১ হাজার ৮২০ টন, কাতার থেকে ১ হাজার ১০০ টন, তুরস্ক থেকে ২ হাজার ১১০ টন, মিয়ানমার থেকে ২০০ টন, থাইল্যান্ড থেকে ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস থেকে ৪ টন ও ইউএই থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির বিপরীতে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন।

সরকারি হিসাবে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টনের মতো, যা উৎপাদনের চেয়ে কম। তবে উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে আমদানি করতেই হয়। আর এর বেশির ভাগই আসে ভারত থেকে। ২০১৯-২০ সালে ভারতে পেঁয়াজ সংকটের পর সে সময় বাংলাদেশে প্রতি কেজির দাম ২০০ টাকায় উঠেছিল।

তখন বাজার সামাল দিতে মিয়ানমার, তুরস্ক, চীন ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। এবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় চীন, জাপান, ইরান, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

এবছর গত ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, শুল্ক আরোপের এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। ভারতের পেঁয়াজের ওপর আরোপিত নতুন এই শুল্ক চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ ঘোষণার পরই বাংলাদেশের বাজারে বেড়েছে দেশটি থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। সুযোগ পেয়ে দেশি পেঁয়াজেরও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের মূল মৌসুম হলো মার্চের শেষে ও এপ্রিলের প্রথম দিকে। সে সময় দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল, তাই বেশিদিন থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারতাম, তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বড় সমস্যা হচ্ছে পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না। সে জন্য আমাদের প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।

এদিকে গত সোমবার ২১ আগস্ট সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভারত ছাড়াও পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। মন্ত্রীর এমন ঘোষণার তৃতীয় দিনের মাথায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলো সরকার।

Please Share This Post in Your Social Media

ভারত ছাড়াও আরও ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার

নওরোজ ডেস্ক
Update Time : ০৮:০৬:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৩

ভারত ছাড়াও আরও ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। দেশগুলো হলো- চীন, মিশর, পাকিস্তান, কাতার, তুরস্ক, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও ইউএই।

বৃহস্পতিবার ২৪ আগস্ট কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ভারতের শুল্ক আরোপের পর দেশে এই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বৃহস্পতিবার জানাল মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চীন থেকে ২৪০০ টন, মিশর থেকে ৩ হাজার ৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১ হাজার ৮২০ টন, কাতার থেকে ১ হাজার ১০০ টন, তুরস্ক থেকে ২ হাজার ১১০ টন, মিয়ানমার থেকে ২০০ টন, থাইল্যান্ড থেকে ৩৩ টন, নেদারল্যান্ডস থেকে ৪ টন ও ইউএই থেকে ৩ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, এখন পর্যন্ত মোট ১৩ লাখ ৭৩ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতির বিপরীতে দেশে এসেছে ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন।

সরকারি হিসাবে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টনের মতো, যা উৎপাদনের চেয়ে কম। তবে উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে আমদানি করতেই হয়। আর এর বেশির ভাগই আসে ভারত থেকে। ২০১৯-২০ সালে ভারতে পেঁয়াজ সংকটের পর সে সময় বাংলাদেশে প্রতি কেজির দাম ২০০ টাকায় উঠেছিল।

তখন বাজার সামাল দিতে মিয়ানমার, তুরস্ক, চীন ও মিসর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল। এবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় চীন, জাপান, ইরান, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

এবছর গত ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে ভারত। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছে, শুল্ক আরোপের এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর করা হবে। ভারতের পেঁয়াজের ওপর আরোপিত নতুন এই শুল্ক চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে। এ ঘোষণার পরই বাংলাদেশের বাজারে বেড়েছে দেশটি থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম। সুযোগ পেয়ে দেশি পেঁয়াজেরও দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পেঁয়াজের মূল মৌসুম হলো মার্চের শেষে ও এপ্রিলের প্রথম দিকে। সে সময় দাম অস্বাভাবিকভাবে কমে যায়। পেঁয়াজ যেহেতু পচনশীল, তাই বেশিদিন থাকলে নষ্ট হয়ে যায়। আমরা যদি ঠিকমতো সংরক্ষণ করতে পারতাম, তাহলে পেঁয়াজ নিয়ে কোনো সমস্যা হতো না। বড় সমস্যা হচ্ছে পেঁয়াজ গুদামে রাখা যায় না। সে জন্য আমাদের প্রায় প্রতিবছর পেঁয়াজ নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়।

এদিকে গত সোমবার ২১ আগস্ট সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভারত ছাড়াও পৃথিবীর যেকোনো দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। মন্ত্রীর এমন ঘোষণার তৃতীয় দিনের মাথায় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলো সরকার।