ভারতে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে অপসারণ

- Update Time : ০৯:২৫:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
- / ১০৯ Time View
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে এক নারী পঞ্চায়েত প্রধানকে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তিনি ভুয়া নথি পেশ করে ভারতীয় নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। তবে পঞ্চায়েত সদস্যের পদ খারিজ করলেও তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগে পুলিশ কী পদক্ষেপ করেছে তা এখনো জানা যায়নি।
সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইম জানিয়েছে, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনকে অবশেষে পঞ্চায়েত সদস্যের পদ থেকে অপসারণ করল প্রশাসন। লাভলির ওবিসি সার্টিফিকেট আগেই বাতিল করেছিলেন মহকুমাশাক।
স্থানীয় জেলা প্রশাসন সূত্র বলছে, লাভলি খাতুনকে পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। ওবিসি সার্টিফিকেট খারিজ হওয়ার পর লাভলির পঞ্চায়েত সদস্য ও পঞ্চায়েত প্রধানের পদ যাওয়াটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা ছিল। তিনি বাংলাদেশি নাগরিক বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় এক কর্মকর্তা বলেছেন, লাভলি খাতুনকে সরিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপপ্রধানকে। তবে এ ব্যাপারে লাভলির কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
এর আগে মালদহর রসিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনকে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন সেখানকার এক পরাজিত প্রার্থী। সেই মামলায় মহকুমা শাসককে শুনানির পর সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্ট। পরে গত ২৯ জানুয়ারি লাভলির ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে প্রশাসন।
পরে জানা যায় লাভলি খাতুনের আসল নাম নাসিয়া শেখ। তার বাবার নাম জামিল বিশ্বাস। রাজ্যে মমতা বন্দোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর লাভলি খাতুন ভারতে অনুপ্রবেশ করেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। পরে ২০১৫ সালে ভারতের ভোটার হন তিনি।
স্থানীয়রা বলেছেন, ২০১৮ সালে ভুয়া জন্ম সনদ তৈরি করেন তিনি। এরপর স্থানীয় বাঘমারা এলাকার শেখ মুস্তাফা নামে এক ব্যক্তিকে বাবা পরিচয় দিয়ে নিজেকে ভারতীয় বলে দাবি করেন তিনি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়