ঢাকা ০৬:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
শুভাঢ্যা খালটাকে ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গার সাথে প্রবাহমান করে সমৃদ্ধ করে দিতে চাই – সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান তারেক রহমানের নাম ভাঙ্গিয়ে মওকাবাজরা তৎপর : এখনই রাশ টানা দরকার সেই চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ জজ এবার আইন সচিব হচ্ছেন! বিচারপতি আখতারুজ্জামানের শুনানি সম্পন্ন; খুরশীদ আলমের শুনানি ২ সেপ্টেম্বর আফ্রিদির মুখোশ খুললেন তানভীর রাহী ‘মাহফুজ আলমের ওপর হামলাচেষ্টা, শুধু ধৃষ্টতা নয় দেউলিয়াত্বের ও বহিঃপ্রকাশ’ শপথ নিলেন নবনিযুক্ত ২৫ বিচারপতি বিচার বিভাগ স্বাধীন, দক্ষ ও মানবিক হলে তবেই আস্থা অর্জন করতে পারবে: প্রধান বিচারপতি পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার

ভারতের মতো বন্ধু রাষ্ট্র পাশে থাকলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : ০৫:৪৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২৪৩ Time View

ভারতের মতো শক্তিশালী বন্ধু রাষ্ট্র পাশে থাকলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র যদি শক্তিশালী হয় এবং সেই রাষ্ট্র যদি পাশে থাকে, তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ ও ভারত যখন একসঙ্গে শত্রু মোকাবিলা করে, তখন লড়াইটা অনেক সহজ হয়।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশ ও ভারত সাইবার-মৈত্রী ২০২৩’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। মহামারি করোনাভাইরাসও একসঙ্গে মোকাবিলা করেছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করেছে।

আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নেও আমরা এক সঙ্গেই কাজ করবো।

সাইবার জগৎ নিরাপদ রাখতে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে যেভাবে দুই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল করেছি। তেমনি সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলা করে সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখবো।

শুধু প্রতিবেশী দুই দেশ নয়, গোটা বিশ্বের সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে।

সাইবার মৈত্রীর মতো আরও উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আন্তঃসংযুক্তির বিশ্বে প্রযুক্তি রৈখিক গতির পরিবর্তে সূচকীয় গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং তা আমাদের জন্য বিশাল সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করছে। পাশাপাশি সাইবার জগতের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

এমন বাস্তবতায় সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলায় সাইবার মৈত্রীর মতো আরও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায়।

দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি, স্টার্টআপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সম্প্রসারিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত আগেই তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিজিডি ই-গভ সার্ট এবং ভারতের সার্টের যৌথ উদ্যোগে তিনদিনের সাইবার মৈত্রী অনুষ্ঠিত হলো। ভবিষ্যতে সাইবার জগতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের সহযোগিতামূলক উদ্যোগে অব্যাহত থাকবে।

বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ভারতের সিইআরটির সিনিয়র ডিরেক্টর এস এস শর্মা প্রমুখ।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প আয়োজিত তিনদিনের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোতে কর্মরত আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেন ভারতের সিইআরটির বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের ৩২টি সিআইআই থেকে ৬৪ জন এতে অংশ নেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ভারতের মতো বন্ধু রাষ্ট্র পাশে থাকলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে: পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক
Update Time : ০৫:৪৪:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ অক্টোবর ২০২৩

ভারতের মতো শক্তিশালী বন্ধু রাষ্ট্র পাশে থাকলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র যদি শক্তিশালী হয় এবং সেই রাষ্ট্র যদি পাশে থাকে, তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।

বাংলাদেশ ও ভারত যখন একসঙ্গে শত্রু মোকাবিলা করে, তখন লড়াইটা অনেক সহজ হয়।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশ ও ভারত সাইবার-মৈত্রী ২০২৩’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় তিন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে যুদ্ধ করেছে। মহামারি করোনাভাইরাসও একসঙ্গে মোকাবিলা করেছি আমরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণেও দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করেছে।

আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নেও আমরা এক সঙ্গেই কাজ করবো।

সাইবার জগৎ নিরাপদ রাখতে দুই দেশ যৌথভাবে কাজ করবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পারস্পারিক সহযোগিতার মাধ্যমে যেভাবে দুই দেশ থেকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূল করেছি। তেমনি সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলা করে সাইবার জগতকে নিরাপদ রাখবো।

শুধু প্রতিবেশী দুই দেশ নয়, গোটা বিশ্বের সাইবার জগৎকে নিরাপদ রাখতে বাংলাদেশ ও ভারত একসঙ্গে কাজ করবে।

সাইবার মৈত্রীর মতো আরও উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আন্তঃসংযুক্তির বিশ্বে প্রযুক্তি রৈখিক গতির পরিবর্তে সূচকীয় গতিতে অগ্রসর হচ্ছে এবং তা আমাদের জন্য বিশাল সম্ভাবনা ও সুযোগ তৈরি করছে। পাশাপাশি সাইবার জগতের কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।

এমন বাস্তবতায় সাইবার হামলা ও হুমকি মোকাবিলায় সাইবার মৈত্রীর মতো আরও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক এখন নতুন উচ্চতায়।

দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি, স্টার্টআপসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক সম্প্রসারিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত আগেই তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি সাইবার সিকিউরিটির ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে সমঝোতা স্মারক সই করেছে।

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিজিডি ই-গভ সার্ট এবং ভারতের সার্টের যৌথ উদ্যোগে তিনদিনের সাইবার মৈত্রী অনুষ্ঠিত হলো। ভবিষ্যতে সাইবার জগতের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এ ধরনের সহযোগিতামূলক উদ্যোগে অব্যাহত থাকবে।

বিসিসির নির্বাহী পরিচালক রনজিত কুমারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন, ভারতের সিইআরটির সিনিয়র ডিরেক্টর এস এস শর্মা প্রমুখ।

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের এনহান্সিং ডিজিটাল গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ইকোনমি (ইডিজিই) প্রকল্প আয়োজিত তিনদিনের প্রশিক্ষণে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অবকাঠামোতে কর্মরত আইটি-সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেন ভারতের সিইআরটির বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের ৩২টি সিআইআই থেকে ৬৪ জন এতে অংশ নেন।