ঢাকা ০১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
জাকসু নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার পরামর্শ চাইলেন জাবি উপাচার্য পরিবেশ ও মানবাধিকার সুরক্ষায় তরুণদের আরেকটি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে ডিএমপির ডিসেম্বর-২০২৪ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন এএসআই পলাশ কুবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার জাকির হোসেনকে পুলিশে সোপর্দ কুবিতে তিন দপ্তরে ‘বিশৃঙ্খলার’ অভিযোগ গনিত বিভাগের শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ের সামনে অনশনে জবি শিক্ষার্থীরা মালয়েশিয়ায় শ্রমিকদের জন্য একাধিক প্রবেশাধিকার ভিসা চায় বাংলাদেশ টিউলিপের সম্পত্তি নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত : ড. ইউনূস লস অ্যাঞ্জেলেসের দাবানলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪, আরও ভয়াবহ হওয়ার শঙ্কা প্লট জালিয়াতির ৩ মামলায় প্রধান আসামি রেহানা-ববি-আজমিনা, সহযোগী হাসিনা-টিউলিপ

ভাঙারির দোকানে মিললো চট্টগ্রাম আদালতের গায়েব হওয়া মামলার নথি

অনলাইন ডেস্ক
  • Update Time : ০৯:৩৯:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৯ Time View

চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দা থেকে গায়েব হওয়া ১৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ মিলেছে ভাঙারির দোকানে।

এ ঘটনায় পুলিশ রাসেল নামে এক চা-দোকানিকে আটক করেছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙারির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম।

তিনি বলেন, ‘আদালত থেকে গায়েব হওয়া নথিগুলো উদ্ধারে গত তিন দিন ধরে আমরা কাজ করছিলাম। আদালতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে রাসেল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ওই নথিগুলো রাসেল চুরি করেছিল বলে স্বীকার করে। আদালত চত্বরেই চা বিক্রি রাসেল। চুরির পরে ভাঙারির দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে নথিগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।’

ওসি আরও বলেন, ‘আটক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এখানে কতটি নথি আছে তা এখনও হিসেব করে দেখিনি। তবে জানতে পেরেছি আরও নথি বাইরে আছে। সেগুলো উদ্ধারে আমরা চেষ্টা করছি।’

১৯১১টি মামলার নথির খোঁজ না পাওয়ায় রবিবার (৫ জানুয়ারি) নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

নগরের কোতোয়ালি মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয়। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। আশপাশে অন্য বিচারকের এজলাস। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন।

Please Share This Post in Your Social Media

ভাঙারির দোকানে মিললো চট্টগ্রাম আদালতের গায়েব হওয়া মামলার নথি

অনলাইন ডেস্ক
Update Time : ০৯:৩৯:১০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫

চট্টগ্রাম আদালতের বারান্দা থেকে গায়েব হওয়া ১৯১১টি মামলার নথির (কেস ডকেট বা সিডি) খোঁজ মিলেছে ভাঙারির দোকানে।

এ ঘটনায় পুলিশ রাসেল নামে এক চা-দোকানিকে আটক করেছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন পাথরঘাটা এলাকার একটি ভাঙারির দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম।

তিনি বলেন, ‘আদালত থেকে গায়েব হওয়া নথিগুলো উদ্ধারে গত তিন দিন ধরে আমরা কাজ করছিলাম। আদালতে থাকা সিসিটিভির ফুটেজ দেখে রাসেল নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ওই নথিগুলো রাসেল চুরি করেছিল বলে স্বীকার করে। আদালত চত্বরেই চা বিক্রি রাসেল। চুরির পরে ভাঙারির দোকানে ১৬ টাকা কেজি দরে নথিগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়।’

ওসি আরও বলেন, ‘আটক ব্যক্তির দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত ৯ বস্তা নথি উদ্ধার করা হয়েছে। এখানে কতটি নথি আছে তা এখনও হিসেব করে দেখিনি। তবে জানতে পেরেছি আরও নথি বাইরে আছে। সেগুলো উদ্ধারে আমরা চেষ্টা করছি।’

১৯১১টি মামলার নথির খোঁজ না পাওয়ায় রবিবার (৫ জানুয়ারি) নগরীর কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া।

জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম মহানগর পিপি কার্যালয়ে ২৮ থেকে ৩০টি আদালতের কেস ডকেট রক্ষিত ছিল। পিপি কার্যালয়ে জায়গা স্বল্পতার কারণে ২০২৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে পিপি কার্যালয়ের সামনের বারান্দায় প্লাস্টিকের বস্তায় ১৯১১টি মামলার কেস ডকেট পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। আদালতের অবকাশকালীন ছুটির সময় অফিস বন্ধ থাকায় গত ১৩ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নথিগুলো হারিয়ে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। বিষয়টি থানায় ডায়েরিভুক্ত করে রাখার জন্য আবেদন করা হলো।

নগরের কোতোয়ালি মোড়ে অবস্থিত চট্টগ্রাম আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় মহানগর পিপির কার্যালয়। এটির পাশে মহানগর দায়রা জজ আদালতের এজলাস ও খাসকামরা। আশপাশে অন্য বিচারকের এজলাস। দিনভর আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের পদচারণায় মুখর থাকে চট্টগ্রাম আদালত ভবন।