নেই দালাল সেবায় প্রার্থীরা খুশি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সেবার মান বৃদ্ধি

- Update Time : ০৭:৪৪:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪
- / ২৫২ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস কিংবা পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা- কর্মচারী নিয়ে একটা সময় জেলার দূর- দুরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা পাসপোর্ট সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে দালালদের দৌরাত্ম ও সিন্ডিকেটসহ নানামুখী অভিযোগ নিয়ে কথা থাকলেও এখন তা আর নেই।
সেবারমান এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের বর্তমান উপ-পরিচালক শামীম আহমদ পাসপোর্ট অফিসের এ পদে যোগদানের পরেই আপাদমস্তক বদলে গেছে অফিসের সেবা গ্রহীতাদের দেওয়া নিত্য দিনের কাজ ও চিত্র। কমে এসেছে অভিযোগ। বন্ধ হয়েছে সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,পাসপোর্ট অফিসে জেলার বিভিন্ন দূরদূরান্ত থেকে আসা সেবাগ্রহীতাদের বিশাল লাইন। যেখানে দাঁড়িয়ে তারা অপেক্ষা করছে পাসপোর্ট করতে এসে পাসপোর্ট সংক্রান্ত সাক্ষাৎকার, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, ছবি তুলাসহ সকল কাজ সম্পাদনের জন্য।
উপ-পরিচালক শামীম আহমদের সাথে কথা বলতে উপরে যেতেই চোখে পড়ে পুরো অফিস জুড়ে কর্মকর্তাদের কর্মব্যস্ততা। এছাড়া তার অফিস রুমে ঢুকতে গিয়ে ঢুকার আগ মুহূর্তে দরজার পাশে বড় করে স্টিকারে ভিন্ন এক লিখা চোখে পড়ল যেখানে লিখা রয়েছে,অফিস প্রধানের কক্ষে প্রবেশের জন্য কোন অনুমতির প্রয়োজন নেই, এই অফিস আপনাদেরই, শুধুমাত্র সিরিয়াল ঠিক রেখে প্রবেশ করবেন।
শামীম আহমদের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি এবং একজন উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুর রাজ্জাকসহ পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম ঘোচাতে মোট কর্মকর্তা রয়েছে ১৫ জন। সেবা নিতে আসা সেবা গ্রহীতাদের পাসপোর্ট ও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে তারা প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত নিরবিচ্ছিন্ন কাজ করে যাচ্ছেন। এখানে প্রতিদিন এখন প্রায় ১০০০ থেকে ১২০০ জন সেবাগ্রহীতা ফিঙ্গারপ্রিন্ট সহ পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে সব ধরনের সেবা নিতে আসে। এসব বিষয়ে কোন ব্যাক্তি যখনই পাসপোর্ট প্রণালীর কোন ধরনের সমস্যা কিংবা জটিলতার সম্মুখীন হন তখন তিনি যেন সরাসরি অফিসের প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে আমার সাথে কথা বলে আমার তথা আমাদের সর্বোচ্চ সেবাটা নিতে পারেন সেটা নিশ্চিতে তিনি বদ্ধপরিকর। আর সেইজন্য বার্তা হিসেবে এই সেবা নিশ্চিতে দরজার পাশে লাগিয়েছেন সবার চোখে পড়ার মতো বার্তাবহন করে এমন ষ্টিকার।
তিনি আরো জানান, যোগদানের পর থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে সেবা গ্রহীতাদের সেবার মান উন্নয়নে এবং বিভিন্ন জটিলতা নিরসনে নিয়েছেন নানান উদ্যোগ। তিনি আরো জানান, কোন ধরনের দালালদের খপ্পরে না পরে সেবাগ্রহীতারা যেন সেবা নিতে সরাসরি নিয়ম অনুযায়ী সিষ্টেম ফলো করে তার অফিসে চলে আসে সেই আহ্বান জানাই।
পাসপোর্ট অফিসে সেবা নিতে আসা সদর উপজেলার মাছিহাতা গ্রামের পাঠান মাজহারুল ইসলাম জানান, পাসপোর্ট অফিসের বর্তমান সেবার মান নিয়ে আমি খুশি এবং সন্তোষ্ট। আমি নিয়ম অনুযায়ী নিজেই নিজের পাসপোর্ট সংক্রান্ত সকল কাজ সম্পূর্ণ করেছি। অত্র অফিসের কর্মকর্তারা এই ব্যাপারে তারা তাদের জায়গা থেকে আমাকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করেছেন। আমি আজ আমার পাসপোর্ট হাতে পেয়েছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের মধ্যপাড়ার সৌদী প্রবাসী শিউলি আক্তার শিমু বলেন, আমার পাসপোর্ট সংপ্রন্ত জটিলতা ছিলো আমি এটা নিয়ে সরাসরি অফিসের প্রধান কর্মকর্তা শামীম সাহেবের সাথে দেখা করেছিলাম তিনি আমাকে নিজের তত্বাবধানে আমাকে বসিয়ে রেখে সমস্যা সমাধান করে দিয়েছেন। উনার আন্তরিকতায় সত্যিই আমি মুগ্ধ। আমি সৌদি আরবে থাকি পাসপোর্ট অফিসের বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি ও সেবার মান দেখে আমি অত্যন্ত খুশি।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়