ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের স্টেনোগ্রাফার ও গানম্যানের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ
- Update Time : ০৫:৩৫:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ অক্টোবর ২০২৪
- / ৫৪৬ Time View
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) আদালতের স্টেনোগ্রাফার নিশাদ খান ও গানম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেছেন উন্মেহানী নামে এক ভুক্তভোগী।
তিনি তার অভিযোগে বলেন, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী উন্মে হানি, স্বামী- লিটন ভুঁইয়া, গ্রাম ও ডাকঘর-মাইজখার, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া। হাল সাং-দক্ষিণকালি বাড়ি মোড়, পৌরসভা, ডাকঘর থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া। আমার স্বামী সৌদি আরব থাকে। আমার একমাত্র নাবালিকা কন্যা সুমাইয়া সুলতানাকে আসামীরা অপহরণ করে। অপহরনের ঘটনা বর্ণনা করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করি, যাহার নম্বর নারী শিশু ১৫৮/২৩। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি সদর মডেল থানার ওসিকে এফআইআর -এর নির্দেশক্রমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের আদেশ প্রদান করেন।
মামলা সূত্রে পুলিশ আমার নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধারপূর্বক আদালতে সোর্পদ করেন। আমার নাবালিকা কন্যা আমার সাথে আসতে না চাইলে আদালত পরে সেইফ কাস্টডিতে প্রেরন করে। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুানাল-১ এর স্টেনোগ্রাফার মোঃ নিশাদ খান এবং বিচারকের গানম্যান সাইফুল ইসলাম বিচারকের সাথে ভাল সম্পর্ক আছে মর্মে আমার মেয়েকে পাইয়ে দেয়ার কথ্য বলে আমার কাছে ১ লক্ষ টাকা দাবী করেন। কিন্তু আমি এত টাকা দিতে পারবোনা বলে অনীহা প্রকাশ করি।
পরবর্তীতে আমি মামলার তারিখে কোর্টে যাওয়ার পর আবারো তিনি আমাকে তার রুমে ডেকে নিয়ে ১ লক্ষ টাকা থেকে কিছু কমিয়ে ৬০ হাজার টাকা দেয়ার কথা বলে। তখন আমি আমার নাবালিকা কন্যার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে টাকা দিতে রাজি হই এবং ৬০ হাজার টাকা স্টেনোগ্রাফার নিশাদ খান ও বিচারকের গানম্যান সাইফুল ইসলামের নিকট প্রদান করি এবং তারা বলেন মামলার ধার্য তারিখে আপনার মেয়েকে আপনি পেয়ে যাবেন এবং টাকার বিষয়টি কাউকে জানাবেন না।
এমতাবস্থায় মামলার ২ থেকে ৩টি ধার্য তারিখ চলে যায় কিন্তু আমার মেয়েকে আর পাচ্ছি না। তখন স্টেনোগ্রাফার নিশাদ খান এবং গানম্যান সাইফুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা পরবর্তী ধার্য তারিখের আশ্বাস দেন। তখন আমি বাসায় চলে আসি। পরবর্তী তারিখে আমার মেয়েকে না পেয়ে আমি নিশান খান এবং গানম্যান সাইফুলকে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বলি। আমি টাকা ফেরত চাওয়ায় তারা আমাকে বিভিন্ন হুমকী ধামকি দিয়ে বলেন, টাকা বিচারকের হাতে দিয়েছি কিন্তু এ টাকা আর ফেরত পাবেন না।
তারা আমাকে বলেন, আপনি এ ঘটনা নিয়ে কারো সাথে আলোচনা করলে আমরা আপনার অনেক ক্ষতি করে দিতে পারবো বলে আমাকে হুমকী দেন এবং গানম্যান সাইফুল ইসলাম আমার সাথে মানহানিসহ আপত্তিকর কথা বলে।
স্টেনোগ্রাফার নিশাদ খান আমাকে আরও হুমকি দেয় যে, নিশান খানের নিকট আত্মীয় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সাবেক এপিএস ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কাউসার আহমেদ জীবনকে দিয়ে আমাকে বিভিন্ন মামলায় ফাসিয়ে দিবে এবং আমার মামলার ক্ষতি করে দিবে। আমার স্বামী সৌদি আরবে অসুস্থ থাকায় আমাকে কোনো টাকা পয়সা দিচ্ছে না। আমি অনেক কষ্টে দিনযাপন করছি। আমার ৬০ হাজার টাকা ফেরতসহ স্টেনোগ্রাফার নিশাদ খান ও গানম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে মহোদয়ের মর্জি কামনা করি।
আমার টাকা উদ্ধারসহ স্টেনোগ্রাফার নিশাদ খান ও বিচারকের গানম্যান সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সবিনয় অনুরোধ করছি।








































































































































































































