ঢাকা ১১:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : ১১:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • / ৯১২ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কালেক্টরেট নন গেজেট কর্মকর্তা কর্মচারী পরিবারের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন- কালেক্টরেট নন গেজেট সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা কল্যাণ সমবায় সমিতির আহ্বায়ক এমএম জাকারিয়া আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শাহজাদা খান প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সরকারের সব বৈধ আদেশ বাস্তবায়ন করা আমাদের কাজ। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা গত ২২ অক্টোবর শহরের আনন্দ বাজারের বাঁশ পট্টি লিজ বরাদ্দকৃত জায়গা রক্ষণাবেক্ষণ করতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা করে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। আনন্দবাজারে সরকারি জায়গা বন্দোবস্ত দেওয়াকে কেন্দ্র করে সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কালেক্টরেট, ননগেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবার জেলা কালেক্টরেট এবং জেলার সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, আনন্দবাজারের পুরাতন বাঁশ পট্টির দশমিক ২০৯৪ একর জায়গা সম্প্রতি ৩৩টি একসনা বন্দোবস্ত মোকদ্দমা মূলে বন্দোবস্ত প্রদান করে প্রশাসন। এরপরই বন্দোবস্ত বাতিল করে সেখানে ট্রাক স্ট্যান্ড করার দাবি উঠে ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে। ওই জায়গার বন্দোবস্ত বুঝিয়ে দিতে গিয়ে হামলায় আহত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও ভূমি অফিসের ১৫ কর্মচারী। এর আগে বন্দোবস্ত প্রাপ্তদের জায়গাটি বুঝিয়ে দেওয়ার সময় এবং বন্দোবস্তপ্রাপ্তরা সেখানে কাজ শুরু করলে হুমকি দেওয়া হয়। ২০,২১ ও ২৩শে অক্টোবর সংগঠিত এসব ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দুটি মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলায় ৬ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরো একশ জনের বেশি লোককে।

এদিকে গত সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের এক সভায় লিজ বাতিল করার কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।

Please Share This Post in Your Social Media

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
Update Time : ১১:৫৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কালেক্টরেট নন গেজেট কর্মকর্তা কর্মচারী পরিবারের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন- কালেক্টরেট নন গেজেট সরকারি কর্মচারী কর্মকর্তা কল্যাণ সমবায় সমিতির আহ্বায়ক এমএম জাকারিয়া আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়া, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের উপ প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শাহজাদা খান প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, সরকারের সব বৈধ আদেশ বাস্তবায়ন করা আমাদের কাজ। এরই প্রেক্ষিতে আমাদের সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরা গত ২২ অক্টোবর শহরের আনন্দ বাজারের বাঁশ পট্টি লিজ বরাদ্দকৃত জায়গা রক্ষণাবেক্ষণ করতে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের ওপর হামলা করে। আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদের পাশাপাশি ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই।

পরে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম জানান, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। আনন্দবাজারে সরকারি জায়গা বন্দোবস্ত দেওয়াকে কেন্দ্র করে সরকারি কর্মচারীদের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) কালেক্টরেট, ননগেজেটেড কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবার জেলা কালেক্টরেট এবং জেলার সব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে।

উল্লেখ্য, আনন্দবাজারের পুরাতন বাঁশ পট্টির দশমিক ২০৯৪ একর জায়গা সম্প্রতি ৩৩টি একসনা বন্দোবস্ত মোকদ্দমা মূলে বন্দোবস্ত প্রদান করে প্রশাসন। এরপরই বন্দোবস্ত বাতিল করে সেখানে ট্রাক স্ট্যান্ড করার দাবি উঠে ব্যবসায়ীদের তরফ থেকে। ওই জায়গার বন্দোবস্ত বুঝিয়ে দিতে গিয়ে হামলায় আহত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও ভূমি অফিসের ১৫ কর্মচারী। এর আগে বন্দোবস্ত প্রাপ্তদের জায়গাটি বুঝিয়ে দেওয়ার সময় এবং বন্দোবস্তপ্রাপ্তরা সেখানে কাজ শুরু করলে হুমকি দেওয়া হয়। ২০,২১ ও ২৩শে অক্টোবর সংগঠিত এসব ঘটনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দুটি মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলায় ৬ জনকে এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় আরো একশ জনের বেশি লোককে।

এদিকে গত সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের এক সভায় লিজ বাতিল করার কথা জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম।