ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ব্রেকিং নিউজঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাগ্নে-ভাগ্নিকে গলা কেটে হত্যার দায়ে মামার মৃত্যুদন্ড থমথমে রংপুর: কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের দখলে রাজপথ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ মুক্ত ঘোষণা সিলেট শাবি’র হলে হলে আন্দোলকারীদের তল্লাশী, অস্ত্র উদ্ধার,ক্যাম্পাস না ছাড়ার ঘোষণা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে ঘরে ঢুকে যুবককে গুলি করে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ কোটাবিরোধী আন্দোলন: নোয়াখালীতে যুবদল-ছাত্রদলের ৫ নেতা গ্রেপ্তার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা, হল ছাড়তে নারাজ শিক্ষার্থীরা পুলিশের ওপর হামলা ও আগুন লাগার ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে – আর‌পিএম‌পি ক‌মিশনার কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেরোবি শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দাফন সম্পন্ন আমার ভাই মরলো কেন! প্রশাসন জবাব চাই’ শ্লোগানে উত্তাল গাইবান্ধা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাঈম হত্যার ১৬ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন ৩ জনের ৭ বছরের কারাদন্ড

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৭:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪
  • / ৬১ Time View

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. নাঈম (১৭) হত্যার মামলার ১৬ বছর পর আদালতের রায়ে ৩ জন আসামীকে যাবজ্জীবন ও ৩জন আসামীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছে।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এই রায় প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্তরা হলেন, জেলা সদরের উত্তর পৈরতলার দাড়িয়াপুর গ্রামের কানু দাসের ছেলে কাজল দাস (৩৯), রঞ্জন দাসের ছেলে জুনু দাস (৩৮) ও অশ্বিনী দাসের ছেলে অভিরাম দাস (৩৬)।

এ ছাড়া ৭ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে একই গ্রামের রঞ্জন দাসের ছেলে জুয়েল দাস (৩৯), হীরা লাল দাসের ছেলে স্বপন কুমার দাস (৪৪) ও হরী দাসের ছেলে অশ্বিনী দাস (৭৬)।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রায় প্রদানকালে শুধু স্বপন কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন, বাকি সব পলাতক রয়েছেন।

মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৬জুন রাতে নিখোঁজ হন জেলা শহরের উত্তর পৈরতলার শের আলী মিয়ার ছেলে মো. নাঈম। এই ঘটনার দুইদিন পর ১৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরে ২৩ জুন উত্তর পৈরতলা-কালিসীমা সড়কের সেতুর নিচে গলিত স্থানীয়রা নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের পর নাঈমের চাচা আলী মিয়া বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা স্বপন দাস, উত্তম দাস ও নন্দন দাসকে গ্রেফতার করে।

তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে জানায়, ১৬ জুন রাতে নাঈমকে জুয়া খেলার আসর থেকে মেয়ে (পতিতা) আছে বলে জুয়েল ফুসলিয়ে স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে কাজল দাস, জুনু দাস ও অভিরাম দাসসহ এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে নাঈমকে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে ফেলতে সহায়তা করেন জুয়েল দাস, স্বপন দাস ও অশ্বিনী দাস।

পরে তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী পুলিশ আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। কিন্তু আসামি পক্ষ নারাজি দিলে মামলাটি সিআইডিতে অধিকতর তদন্তের জন্যে স্থানাস্তর করা হয়। পরে তদন্ত শেষে সিআইডি ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ৬জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে পুনঃ চার্জসীট দাখিল করে। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর আদালত চার্জ গঠন করে। পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ, যুক্তিতর্ক সহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে রোববার (৯ জুন) আদালত এই মামলার রায় প্রদান করেন। আদালত এই মামলাত ৩ জনকে যাবজ্জীবন ও ৩ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাঈম হত্যার ১৬ বছর পর ৩ জনের যাবজ্জীবন ৩ জনের ৭ বছরের কারাদন্ড

আঃ হান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
Update Time : ০৭:১৯:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ জুন ২০২৪

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মো. নাঈম (১৭) হত্যার মামলার ১৬ বছর পর আদালতের রায়ে ৩ জন আসামীকে যাবজ্জীবন ও ৩জন আসামীকে ৭ বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেছে।

রোববার (৯ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক আব্দুল হান্নান এই রায় প্রদান করেন।

যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্তরা হলেন, জেলা সদরের উত্তর পৈরতলার দাড়িয়াপুর গ্রামের কানু দাসের ছেলে কাজল দাস (৩৯), রঞ্জন দাসের ছেলে জুনু দাস (৩৮) ও অশ্বিনী দাসের ছেলে অভিরাম দাস (৩৬)।

এ ছাড়া ৭ বছর করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে একই গ্রামের রঞ্জন দাসের ছেলে জুয়েল দাস (৩৯), হীরা লাল দাসের ছেলে স্বপন কুমার দাস (৪৪) ও হরী দাসের ছেলে অশ্বিনী দাস (৭৬)।

সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রায় প্রদানকালে শুধু স্বপন কুমার দাস উপস্থিত ছিলেন, বাকি সব পলাতক রয়েছেন।

মামলার নথি ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৬জুন রাতে নিখোঁজ হন জেলা শহরের উত্তর পৈরতলার শের আলী মিয়ার ছেলে মো. নাঈম। এই ঘটনার দুইদিন পর ১৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করে পরিবার। পরে ২৩ জুন উত্তর পৈরতলা-কালিসীমা সড়কের সেতুর নিচে গলিত স্থানীয়রা নাঈমের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ উদ্ধারের পর নাঈমের চাচা আলী মিয়া বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা স্বপন দাস, উত্তম দাস ও নন্দন দাসকে গ্রেফতার করে।

তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে জানায়, ১৬ জুন রাতে নাঈমকে জুয়া খেলার আসর থেকে মেয়ে (পতিতা) আছে বলে জুয়েল ফুসলিয়ে স্থানীয় একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে কাজল দাস, জুনু দাস ও অভিরাম দাসসহ এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে নাঈমকে হত্যা করে। হত্যার পর মরদেহ লুকিয়ে ফেলতে সহায়তা করেন জুয়েল দাস, স্বপন দাস ও অশ্বিনী দাস।

পরে তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী পুলিশ আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। কিন্তু আসামি পক্ষ নারাজি দিলে মামলাটি সিআইডিতে অধিকতর তদন্তের জন্যে স্থানাস্তর করা হয়। পরে তদন্ত শেষে সিআইডি ২০১০ সালের ২৯ জুলাই ৬জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে পুনঃ চার্জসীট দাখিল করে। ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবর আদালত চার্জ গঠন করে। পরে সাক্ষ্যপ্রমাণ, যুক্তিতর্ক সহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম শেষে রোববার (৯ জুন) আদালত এই মামলার রায় প্রদান করেন। আদালত এই মামলাত ৩ জনকে যাবজ্জীবন ও ৩ জনকে ৭ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।