বিপুল পরিমাণ জালনোটসহ জালনোট প্রস্তুতকারী চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার
- Update Time : ০৮:৫৩:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুন ২০২৪
- / ৮৩ Time View
সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে জালনোটের কারবার নিয়ে দেশব্যাপী বিভিন্ন গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।
আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা’কে কেন্দ্র করে এরূপ বেশকিছু জাল নোট প্রস্তুতকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানতে পারে র্যাব।
সহকারী পুলিশ সুপার স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) মো: শামীম হোসেন সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৩ এর একটি আভিযানিক দল শুক্রবার ৭ জুন রাজধানীর পশ্চিম ধোলাইপাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালনোট তৈরীর মূলহোতা হৃদয় মাতব্বর (২২)কে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামির কাছ থেকে জালনোট তৈরীতে ব্যবহৃত ১ টি সিপিইউ, ১ টি মনিটর, ১ টি প্রিন্টার, ১ টি কী-বোর্ড, ১ টি মাউস, ১ টি রাউটার, ২ টি মাল্টিপ্লাগ, ১ টি পেপার কাটার, ৯ টি ভুয়া এনআইডি কার্ড, ৩ টি ভুয়া ভারতীয় এনআইডি কার্ডের ফটোকপি এবং ৬০,৭০০ টাকা মূল্যমানের জালটাকা (৬০২ টি ১০০ টাকার নোট এবং ১ টি ৫০০ টাকার নোট) উদ্ধার করা হয়।
শামীম হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামি আগে থেকেই কম্পিউটারে পারদর্শী ছিল। সে ধোলাইপাড় এলাকার একটি কম্পিউটারের দোকানে কাজ করতো। সে ইউটিউব থেকে জালটাকা বানানোর প্রক্রিয়া দেখে এবং নিজের অর্জিত কম্পিউটার দক্ষতা কাজে লাগিয়ে জাল নোট তৈরিতে পারদর্শিতা অর্জন করে। পরবর্তীতে হৃদয় কম্পিউটার, প্রিন্টার, পেপার কাটার এবং জালটাকা তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিজ বাসায় জালটাকা ছাপানোর কাজ শুরু করে।
সে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়া ও অনলাইন মাধ্যম ব্যবহার করে জাল টাকা বিক্রয়ের জন্য নেটওয়ার্ক তৈরী করে এবং এসকল পেইজ প্রমোট ও বুস্টিং করে অনেক পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা সংগ্রহ করে। সে দীর্ঘদিন যাবৎ জাল নোট প্রস্তুত ও বিক্রি করে আসলেও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে টার্গেট করে বিপুল পরিমাণ জাল নোট বাজারে সরবরাহ করার প্রস্তুতি নিয়েছিল।
র্যাব-৩ এর কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতারকৃত হৃদয় প্রতি ১ লক্ষ টাকা মূল্যমানের জাল নোট ১০ থেকে ১২ হাজার টাকায় বিক্রি করত। ঈদ উপলক্ষে জাল নোটের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে সে প্রতি ১ লাখ টাকার জাল নোট ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করছিল বলে স্বীকার করে। এছাড়াও সে অবৈধভাবে দেশী ও বিদেশী ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে সেগুলো বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে বিক্রি করে আসছিল। এসকল জালনোট প্রস্তুতকারী চক্রের বিরুদ্ধে র্যাবের গোয়েন্দা নজরদারী অব্যাহত থাকবে বলে জানান শামীম হোসেন
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়