ঢাকা ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিটিভিনামা

বিটিভিতে স্বৈরশাসক হাসিনার প্রেতাত্মারা বহাল তবিয়তে

বিশেষ প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৪:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪
  • / ৮৯ Time View

বিটিভি গণমাধ্যম হিসেবে অনেক আগেই জনসাধারণের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলের ১৬ বছর বিটিভি একটি ব্যক্তি পুজারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ৩৬৫ দিনের একটি সংবাদও পাওয়া যাবে না যেখানে শেখ মুজিব এবং তার পরিবারের স্তুতি করা হয়নি। প্যাকেজ অনুষ্ঠানের নামে নির্লজ্জ শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের গুণকীর্তনের মাধ্যমে দর্শকের সাথে উপহাস করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব চাটুকারিতা বা তোষামোদী অনুষ্ঠান শুধু কি সরকারি নির্দেশেই হয়েছে? ব্যক্তি পুজা এবং অনুষ্ঠানের নামে কেটি কোটি টাকা লোপাট করেছে কে বা কারা? ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও বিটিভিতে এসব নিয়ে বুঝাপড়া করা বা প্রশ্ন করার কেউ নেই। কারণ স্বৈরাচারী সরকার পরিবর্তন হলেও বিটিভির নিয়ন্ত্রণ এখনো তার দোসরদের হাতেই রয়েছে।

আলোচিত-সমালোচিত উপ-মহাপরিচালক ড. সৈয়দ তাসমিনা আহমেদের নেতৃত্বে মূলত বিটিভি আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় প্রচার মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। তারই অন্যতম সহযোগী মুখ্য বার্তা সম্পাদক মুন্সী ফরিদুজ্জামানকে দিয়ে নিজের অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফন্দী আঁটছে। তাদের সহযোগী হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিটে কাজ করা শুরু করেছে তোষামোদকারী দুইজন নতুন প্রযোজক। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিটের দুইজন রিপোর্টার এবং দুইজন ক্যামেরাম্যান এখনো নিউজ রুমে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এরাই বিগত ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে একদিকে আর্থিক সুবিধা পেয়েছে অপরদিকে তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। প্যাকেজ অনুষ্ঠানের রং বদলাতে সময় লাগলেও এদের ভোল পাল্টাতে একটুও সময় লাগেনি। রাতারাতি বদলেছে চাটুকারিতার বচন।

নিজেদের কূকর্ম ঢাকতে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের ওইসব কর্মকর্তাগণ চুক্তিভিত্তিক কাজ করা কয়েকজন রিপোর্টারকে চাকরিচ্যুত করেছে। অথচ এসব রিপোর্টার শুধুই এদের হুকুম তামিল করেছে মাত্র।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে এই প্রশ্ন করার সময় হয়েছে বিটিভিকে বাতাবী লেবু কে বানালো?

নওরোজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যিনি বার্তা সম্পাদক থেকে মূখ্য বার্তা সম্পাদক, তারপর পরিচালক (বার্তা) এবং বর্তমানে উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। বিটিভির সংবাদকে আওয়ামী লীগের তোষামদকারি সংবাদ মাধ্যম বানানোর পেছনে তার কি কোনো দায় নেই? তার স্বামী গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগের সিনিয়র সচিব হওয়া কি তিনি নিজ যোগ্যতায় হয়েছেন নাকি তেলবাজি-দলবাজি বা অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করে হয়েছেন? উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) বিটিভির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যদি আওয়ামী লীগের সিনিয়র সচিবের স্ত্রী হয়েও বহাল তবিয়তে থাকতে পারেন। তাহলে নিম্নপদস্থ চুক্তিভিত্তিক রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রিপোর্টাররা কেন চাকরিচ্যুত হবে। রিপোর্টার চাইলেই কখনোই তার ইচ্ছায় সংবাদ প্রচার করতে পারে না, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া। যারা হুকুমদাতা তারা কেন টিকে আছে বা থাকবে?

দীর্ঘদিন থেকে মূখ্য বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন মুন্সি ফরিদুজ্জামান। তিনি প্রায়ই সহকর্মীদের শুনাতেন, তিনি এই চেয়ারে না থাকলে নাকি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সংবাদ ঠিকমতো প্রচার হবে না সেজন্য তাকে পরিচালক (বার্তা) হিসেবে পদোন্নতি না দিয়ে মূখ্য বার্তা সম্পাদক হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে। তিনি হাছান মাহমুদের সংবাদ ঠিকমতো গেলো কি-না, গাড়ির যোগান দেওয়া, এডিট প্যানেল খালি করে রাখা ইত্যাদি নিয়মিত তদারকি করতেন।

তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। চেয়ার টিকিয়ে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর তাঁবেদারি করে বর্তমানে ভোল পাল্টিয়ে সবাই বিএনপি-জামাতের অনুসারি হয়ে গেছেন। তারা এখন আওয়ামী লীগের আমলে চুক্তিভিত্তিক রিপোর্টার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেওয়াদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করছেন। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সুবিধা ভোগ করেছেন সরকারি চাকরির সুবাদে তারা। এখন আওয়ামী লীগ বিরোধী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন। তারা হচ্ছেন ভোল পাল্টানো কালসাপ।

অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরাসরি লিখিত পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পাওয়াদের তারা আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে চাকরিচ্যুত করছে। এখানে যারা কাজ করছে তারা চাকরি করে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে চাকরি করছে। রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা না থাকা সত্বেও, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ আমলে যোগদানের কারনে রিপোর্টারদের চাকরিচ্যুত করে বর্তমান সরকারের কাছে তারা সাধু সাজার চেষ্টা করছে। তারা দেখাতে চাচ্ছে তারা আওয়ামী লীগের দোসরদের বের করে দিয়ে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছে।

ড. তাসমিনা, ফরিদুজ্জামান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিটে কাজ করা দুইজন প্রডিউসার এবং দুইজন ক্যামেরাম্যান তারা সবাই বহাল তবিয়তে আছে। তারা গত ১৬ বছরে বহু বিদেশ ভ্রমন করেছেন, আওয়ামী লীগের প্রেস উইং থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন, আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তাদেরকে কেন ধরা হচ্ছে না।

ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার এবং তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য মূখ্য বার্তা সম্পাদক মুন্সি ফরিদুজ্জামান প্রডিউসার আমজাদ হোসেনকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নিউজ করার জন্য এ্যাটাচ করে দেয়। এখন সেই আমজাদ হোসেনকেই আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে চট্টগ্রাম বদলির আদেশ জারি করেছে। অথচ যারা প্রধানমন্ত্রীর বিটের লোক আসিফুর রহমান এবং আতাউর রহমান তারা ঢাকায় দাপটের সাথে অফিস করছে।

যেদিন বিটিভিতে ভাংচুর এবং আগুন দেওয়া হলো সেদিন মূখ্য বার্তা সম্পাদকসহ অনেক প্রডিউসার পেছনের দরজা দিয়ে বিটিভি ছেড়ে জীবন বাচাতে পালিয়ে গিয়েছিল। প্রডিউসার আতাউর রহমান সমস্ত ভিডিও করে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব শাখাওয়াত মুনকে পাঠিয়েছিল এবং সেই সবশেষে অফিস ছেড়েছিল। (চলবে)

Please Share This Post in Your Social Media

বিটিভিনামা

বিটিভিতে স্বৈরশাসক হাসিনার প্রেতাত্মারা বহাল তবিয়তে

বিশেষ প্রতিনিধি
Update Time : ০৪:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ নভেম্বর ২০২৪

বিটিভি গণমাধ্যম হিসেবে অনেক আগেই জনসাধারণের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার শাসনামলের ১৬ বছর বিটিভি একটি ব্যক্তি পুজারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। ৩৬৫ দিনের একটি সংবাদও পাওয়া যাবে না যেখানে শেখ মুজিব এবং তার পরিবারের স্তুতি করা হয়নি। প্যাকেজ অনুষ্ঠানের নামে নির্লজ্জ শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের গুণকীর্তনের মাধ্যমে দর্শকের সাথে উপহাস করা হয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব চাটুকারিতা বা তোষামোদী অনুষ্ঠান শুধু কি সরকারি নির্দেশেই হয়েছে? ব্যক্তি পুজা এবং অনুষ্ঠানের নামে কেটি কোটি টাকা লোপাট করেছে কে বা কারা? ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও বিটিভিতে এসব নিয়ে বুঝাপড়া করা বা প্রশ্ন করার কেউ নেই। কারণ স্বৈরাচারী সরকার পরিবর্তন হলেও বিটিভির নিয়ন্ত্রণ এখনো তার দোসরদের হাতেই রয়েছে।

আলোচিত-সমালোচিত উপ-মহাপরিচালক ড. সৈয়দ তাসমিনা আহমেদের নেতৃত্বে মূলত বিটিভি আওয়ামী লীগ সরকারের দলীয় প্রচার মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। তারই অন্যতম সহযোগী মুখ্য বার্তা সম্পাদক মুন্সী ফরিদুজ্জামানকে দিয়ে নিজের অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের ফন্দী আঁটছে। তাদের সহযোগী হিসেবে প্রধান উপদেষ্টার বিটে কাজ করা শুরু করেছে তোষামোদকারী দুইজন নতুন প্রযোজক। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিটের দুইজন রিপোর্টার এবং দুইজন ক্যামেরাম্যান এখনো নিউজ রুমে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। এরাই বিগত ১৬ বছর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং থেকে একদিকে আর্থিক সুবিধা পেয়েছে অপরদিকে তদবীর বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। প্যাকেজ অনুষ্ঠানের রং বদলাতে সময় লাগলেও এদের ভোল পাল্টাতে একটুও সময় লাগেনি। রাতারাতি বদলেছে চাটুকারিতার বচন।

নিজেদের কূকর্ম ঢাকতে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের ওইসব কর্মকর্তাগণ চুক্তিভিত্তিক কাজ করা কয়েকজন রিপোর্টারকে চাকরিচ্যুত করেছে। অথচ এসব রিপোর্টার শুধুই এদের হুকুম তামিল করেছে মাত্র।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার সুফল পেতে হলে এই প্রশ্ন করার সময় হয়েছে বিটিভিকে বাতাবী লেবু কে বানালো?

নওরোজের অনুসন্ধানে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যিনি বার্তা সম্পাদক থেকে মূখ্য বার্তা সম্পাদক, তারপর পরিচালক (বার্তা) এবং বর্তমানে উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। বিটিভির সংবাদকে আওয়ামী লীগের তোষামদকারি সংবাদ মাধ্যম বানানোর পেছনে তার কি কোনো দায় নেই? তার স্বামী গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগের সিনিয়র সচিব হওয়া কি তিনি নিজ যোগ্যতায় হয়েছেন নাকি তেলবাজি-দলবাজি বা অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করে হয়েছেন? উপ-মহাপরিচালক (বার্তা) বিটিভির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা যদি আওয়ামী লীগের সিনিয়র সচিবের স্ত্রী হয়েও বহাল তবিয়তে থাকতে পারেন। তাহলে নিম্নপদস্থ চুক্তিভিত্তিক রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রিপোর্টাররা কেন চাকরিচ্যুত হবে। রিপোর্টার চাইলেই কখনোই তার ইচ্ছায় সংবাদ প্রচার করতে পারে না, কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া। যারা হুকুমদাতা তারা কেন টিকে আছে বা থাকবে?

দীর্ঘদিন থেকে মূখ্য বার্তা সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন মুন্সি ফরিদুজ্জামান। তিনি প্রায়ই সহকর্মীদের শুনাতেন, তিনি এই চেয়ারে না থাকলে নাকি সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সংবাদ ঠিকমতো প্রচার হবে না সেজন্য তাকে পরিচালক (বার্তা) হিসেবে পদোন্নতি না দিয়ে মূখ্য বার্তা সম্পাদক হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে। তিনি হাছান মাহমুদের সংবাদ ঠিকমতো গেলো কি-না, গাড়ির যোগান দেওয়া, এডিট প্যানেল খালি করে রাখা ইত্যাদি নিয়মিত তদারকি করতেন।

তিনি এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। চেয়ার টিকিয়ে রাখার জন্য আওয়ামী লীগের মন্ত্রীর তাঁবেদারি করে বর্তমানে ভোল পাল্টিয়ে সবাই বিএনপি-জামাতের অনুসারি হয়ে গেছেন। তারা এখন আওয়ামী লীগের আমলে চুক্তিভিত্তিক রিপোর্টার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেওয়াদের আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে চাকরি থেকে বরখাস্ত করছেন। অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের সকল সুবিধা ভোগ করেছেন সরকারি চাকরির সুবাদে তারা। এখন আওয়ামী লীগ বিরোধী হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিচ্ছেন। তারা হচ্ছেন ভোল পাল্টানো কালসাপ।

অথচ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সরাসরি লিখিত পরীক্ষা দিয়ে নিয়োগ পাওয়াদের তারা আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে চাকরিচ্যুত করছে। এখানে যারা কাজ করছে তারা চাকরি করে পরিবার নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে চাকরি করছে। রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততা না থাকা সত্বেও, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ আমলে যোগদানের কারনে রিপোর্টারদের চাকরিচ্যুত করে বর্তমান সরকারের কাছে তারা সাধু সাজার চেষ্টা করছে। তারা দেখাতে চাচ্ছে তারা আওয়ামী লীগের দোসরদের বের করে দিয়ে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছে।

ড. তাসমিনা, ফরিদুজ্জামান, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিটে কাজ করা দুইজন প্রডিউসার এবং দুইজন ক্যামেরাম্যান তারা সবাই বহাল তবিয়তে আছে। তারা গত ১৬ বছরে বহু বিদেশ ভ্রমন করেছেন, আওয়ামী লীগের প্রেস উইং থেকে বিভিন্ন সুবিধা নিয়েছেন, আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন। তাদেরকে কেন ধরা হচ্ছে না।

ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার এবং তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য মূখ্য বার্তা সম্পাদক মুন্সি ফরিদুজ্জামান প্রডিউসার আমজাদ হোসেনকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নিউজ করার জন্য এ্যাটাচ করে দেয়। এখন সেই আমজাদ হোসেনকেই আওয়ামী লীগের ট্যাগ দিয়ে চট্টগ্রাম বদলির আদেশ জারি করেছে। অথচ যারা প্রধানমন্ত্রীর বিটের লোক আসিফুর রহমান এবং আতাউর রহমান তারা ঢাকায় দাপটের সাথে অফিস করছে।

যেদিন বিটিভিতে ভাংচুর এবং আগুন দেওয়া হলো সেদিন মূখ্য বার্তা সম্পাদকসহ অনেক প্রডিউসার পেছনের দরজা দিয়ে বিটিভি ছেড়ে জীবন বাচাতে পালিয়ে গিয়েছিল। প্রডিউসার আতাউর রহমান সমস্ত ভিডিও করে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব শাখাওয়াত মুনকে পাঠিয়েছিল এবং সেই সবশেষে অফিস ছেড়েছিল। (চলবে)