কাঠগড়ায় নওরোজ সম্পাদকের প্রশ্ন
বিচারকরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না?
- Update Time : ০৯:০৭:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫
- / ১৬৯ Time View
আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা করিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির’ অভিযোগ তুলেছেন ভুয়া চাঁদাবাজি মামলার আসামি দৈনিক নওরোজ পত্রিকার সম্পাদক শামসুল হক দুররানী। তিনি বলেছেন, লিয়াকত আলী মোল্লা চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা জজ থাকার সময় হেরোইনের বিভিন্ন মামলায় আসামিদের জামিন দেওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে নিউজ প্রকাশিত হয়েছিল নওরোজ পত্রিকায়। এর প্রতিবেদন ফলে বদলি হতে হয় তাঁকে। এর প্রতিক্রিয়ায় লিয়াকত আলী ও উপসচিব (প্রশাসন) গোলজার রহমান তাঁর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ করিয়েছেন।
ভুয়া চাঁদাবাজির মামলায় কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর কাঠগড়ায় দাঁঁড়িয়ে তিনি এ কথা বলেন। বিশ লাখ টাকার চাঁদাবাজির এ ভুয়া মামলায় নওরোজ সম্পাদক শামসুল হক দুররানী রোববার আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুর রহমান সম্পাদকের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
কারাগারে পাঠানোর আদেশের পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে নওরোজ সম্পাদক শামসুল হক দুররানী সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, ‘বর্তমান আইন সচিব লিয়াকত আলী মোল্লা চাপাইনবাবগঞ্জের জেলা জজ হিসেবে থাকাকালে ১০ কেজি হেরোইন মামলায়, সাড়ে তিন কেজি হেরোইনের মামলায়, এমনকি বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধারের মামলায় আসামিদের জামিন দেন। আমি তার বিরুদ্ধে নিউজ করি। নিউজ করার কারণে তাকে সঙ্গে সঙ্গে বদলি করা হয়। এ কারণে লিয়াকত আলী এবং উপসচিব (প্রশাসন) গোলজার রহমান আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’
তিনি বলেন, ‘বিচারকরা অন্যায় করলে কি নিউজ করা যাবে না, কিছু লেখা যাবে না।’
আইন সচিবই মামলা করিয়েছেন কীভাবে বুঝলেন প্রশ্নের জবাবে এ সম্পাদক বলেন, ‘এটা পুলিশ আমাকে বলেছে, তার নাম আমি বলবো না।’
১২ নভেম্বর রাজিবুল ইসলাম নামে এক ঠিকাদার শামসুল হক দুররানীকে আসামি করে আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। রোববার আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন শামসুল হক দুররানী। তাঁর পক্ষে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
আইনজীবী খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, শুনানি নিয়ে আদালত আসামির জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, জামালপুরের মেলান্দহে উপজেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসে এক কোটি ৩৪ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩২ টাকার ঠিকাদারি কাজ করছেন রাজিবুল ইসলাম। দীর্ঘদিন ধরে কিছু অচেনা ব্যক্তি কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করছেন।
এর মধ্যে গত ৭ নভেম্বর বিকালে এক ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে সাক্ষাৎ করতে বলেন। ওই ব্যক্তি জামালপুরের সমস্যা সমাধানেরও আশ্বাস দেন।
এজাহারে বলা হয়, রাজিবুল ঢাকা থেকে সাভার বাসস্ট্যান্ডে ৭টায় পৌঁছান; সেখানে তাদের দেখা হয়। তখন জামালপুরের ঝামেলা মেটাতে ২০ লাখ টাকা চান দুররানী। টাকা না দিলে কাজ করতে পারবে না বলে হুমকি দেন।
Please Share This Post in Your Social Media
-
সর্বশেষ
-
জনপ্রিয়














































































































































































