ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপি ভাবছে বিদেশি প্রভুরাই তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে: হানিফ

ঢাবি প্রতিনিধি
  • Update Time : ০৯:৫১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩
  • / ২৫৯ Time View

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরসার জায়গা দেশের জনগণ। আর বিএনপির ভরসা ষড়যন্ত্র এবং বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরণা। তারা ভাবছে বিদেশি প্রভুরাই তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে।

তিনি বলেন, বিএনপিকে আহবান জানাবো, নির্বাচনে অংশ নিন। আপনাদের তথাকথিত আন্দোলন মানুষ বহু দেখেছে। এতে কোনো লাভ হবে না।

রোববার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত প্রয়াত চিত্রনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের শোক ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ২০১২ সালের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির আন্দোলন দেশের মানুষ দেখেছে। আন্দোলন করে কোনো কিছু করা যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে এই সরকারে অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হলে নির্বাচনে আসুন। বিদেশি প্রভুর কাছে ধরণা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই। কারণ দেশের জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি দেশের কিছু তথাকথিত সুশীল, বুদ্ধিজীবী— তারা নির্বাচন নিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার জন্য অনেকে ইঙ্গিত করেন এবং আরেকটি দল বিএনপি তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয় এমন ধোঁয়া তুলে, দেশকে অস্থিতিশীল করে— আবার সেই এক এগারোর দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করছে।

হানিফ বলেন, অনেকে বলেন বাংলাদেশে আবার এক-এগারো সরকার আসার সম্বাবনা আছে কি না? দেশবাসীকে জানিয়ে দিতে চাই, যারা এমন স্বপ্ন দেখেন সেনাসমর্থিত সরকারের স্বপ্ন দেখছেন তাদেরকে বলবো ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। আপনাদের এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন থেকে যাবে। এক-এগারোর সরকার বাংলাদেশে দ্বিতীয়বার আসার সুযোগ নেই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে হানিফ বলেন, যারা নির্বাচনে অনিয়ম করবে তাদের নিষেধাজ্ঞা দিবে। আমরা অনিয়ম, বানচাল বা প্রভাব বিস্তার করতে চাই না। মার্কিন ভিসানীতিতে আমরা ভীত নই।

উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যদি কারো অবজারভেশন থাকে যত খুশি পর্যবেক্ষক পাঠান। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু অসাংবিধানিক পন্থায় চিন্তার কোনো সুযোগ নেই। বাংলার জনগণ সেই সুযোগ দেবে না।

এসময় প্রয়াত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে হানিফ বলেন, অভিনেতা হিসেবে নয়, সংসদ সদস্য হিসেবে নয় সবকিছুর উর্ধ্বে জাতির বীর সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে সম্মান জানাতে এসেছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছিলেন।

তিনি বলেন, বাংলার মিয়া ভাই খ্যাত একজন বীর সেনানী আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছেন। তিনি খুব বেশি ছবি করেছিলেন তা নয়। যা করেছিলেন হৃদয়ে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে। তার অভিনয় দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যেত।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠন করে প্রতিবাদ করেছিলেন। আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। আজকের প্রজন্মের অনেকে তার আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে চলেছে, বলেন হানিফ।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি এম নাদিম মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় শোক ও স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. শরফুদ্দিন আহমেদ, ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, গৌরব ‘৭১ সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন ও অভিনেতা জায়েদ খান। এছাড়াও ফারুকপুত্র রওশন হোসেন পাঠান শরত উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

বিএনপি ভাবছে বিদেশি প্রভুরাই তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে: হানিফ

ঢাবি প্রতিনিধি
Update Time : ০৯:৫১:১৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুন ২০২৩

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরসার জায়গা দেশের জনগণ। আর বিএনপির ভরসা ষড়যন্ত্র এবং বিদেশি প্রভুদের কাছে ধরণা। তারা ভাবছে বিদেশি প্রভুরাই তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দিবে।

তিনি বলেন, বিএনপিকে আহবান জানাবো, নির্বাচনে অংশ নিন। আপনাদের তথাকথিত আন্দোলন মানুষ বহু দেখেছে। এতে কোনো লাভ হবে না।

রোববার বিকাল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তনে (টিএসসি) বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত প্রয়াত চিত্রনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের শোক ও স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ২০১২ সালের পর খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপির আন্দোলন দেশের মানুষ দেখেছে। আন্দোলন করে কোনো কিছু করা যাবে না। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে এই সরকারে অধীনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। জনপ্রিয়তা যাচাই করতে হলে নির্বাচনে আসুন। বিদেশি প্রভুর কাছে ধরণা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ নেই। কারণ দেশের জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।

তিনি বলেন, আমরা দেখছি দেশের কিছু তথাকথিত সুশীল, বুদ্ধিজীবী— তারা নির্বাচন নিয়ে নানা পরামর্শ দিচ্ছেন। সংবিধানের বাইরে যাওয়ার জন্য অনেকে ইঙ্গিত করেন এবং আরেকটি দল বিএনপি তারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচন নয় এমন ধোঁয়া তুলে, দেশকে অস্থিতিশীল করে— আবার সেই এক এগারোর দিকে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত করছে।

হানিফ বলেন, অনেকে বলেন বাংলাদেশে আবার এক-এগারো সরকার আসার সম্বাবনা আছে কি না? দেশবাসীকে জানিয়ে দিতে চাই, যারা এমন স্বপ্ন দেখেন সেনাসমর্থিত সরকারের স্বপ্ন দেখছেন তাদেরকে বলবো ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। আপনাদের এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্ন থেকে যাবে। এক-এগারোর সরকার বাংলাদেশে দ্বিতীয়বার আসার সুযোগ নেই।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে হানিফ বলেন, যারা নির্বাচনে অনিয়ম করবে তাদের নিষেধাজ্ঞা দিবে। আমরা অনিয়ম, বানচাল বা প্রভাব বিস্তার করতে চাই না। মার্কিন ভিসানীতিতে আমরা ভীত নই।

উন্নয়ন সহযোগী দেশগুলোকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে যদি কারো অবজারভেশন থাকে যত খুশি পর্যবেক্ষক পাঠান। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু অসাংবিধানিক পন্থায় চিন্তার কোনো সুযোগ নেই। বাংলার জনগণ সেই সুযোগ দেবে না।

এসময় প্রয়াত অভিনেতা আকবর হোসেন পাঠান ফারুকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে হানিফ বলেন, অভিনেতা হিসেবে নয়, সংসদ সদস্য হিসেবে নয় সবকিছুর উর্ধ্বে জাতির বীর সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তাকে সম্মান জানাতে এসেছি। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধে তিনি জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছিলেন।

তিনি বলেন, বাংলার মিয়া ভাই খ্যাত একজন বীর সেনানী আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিয়েছেন। তিনি খুব বেশি ছবি করেছিলেন তা নয়। যা করেছিলেন হৃদয়ে দাগ কাটতে সক্ষম হয়েছে। তার অভিনয় দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যেত।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট গঠন করে প্রতিবাদ করেছিলেন। আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য ভূমিকা রেখেছিলেন। আজকের প্রজন্মের অনেকে তার আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে চলেছে, বলেন হানিফ।

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহ-সভাপতি এম নাদিম মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. আহসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় শোক ও স্মরণসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য ড. শরফুদ্দিন আহমেদ, ৭১ ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাজেদা শওকত আলী, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন, গৌরব ‘৭১ সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন ও অভিনেতা জায়েদ খান। এছাড়াও ফারুকপুত্র রওশন হোসেন পাঠান শরত উপস্থিত ছিলেন।